আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মন্ত্রী বললেন - নদী মারা গেছে মাত্র ১টি, আরো মারা যাবে ৯৭টি

তোমাকে ভাবাবোই

১৯৭২ সালে ফারাক্কা বাধ চালু আর বাংলাদেশে বহমান সবগুলো নদীর উজানে একের পর এক বাধ নিমান করে ভারত আমাদের দেশ কে নদী শূণ্য আর পানি শূণ্য করে ফেলেছে। নতুন করে টিপাই মুখী বাধ নিমাণ করায় সুরমা, কশিয়ারা, মেঘনাকেও মেরে ফেলার সব বন্দোবস্ত করেছে তারা। আর আমরা নিশ্চুপ। আমাদের শিরায় উপশিরায় হাজার বছর ধরে বয়ে যাওয়া শত শত নদী গুলো এভাবে মারা যাচ্ছে আর আমরা নিবিকারভাবে বসে আছি? তাহলে কি মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানীই একমাত্র প্রতিবাদী কন্ঠস্বর ছিল? আমাদের স্বাদু পানির উৎস, কৃষির মূল চালিকা শক্তি এ নদীগুলোকে বাচাতে কি আমরা সোচ্চার হবো না? আর কত দেরী আমাদের জেগে ওঠার? এদিকে পানিসম্পদ মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন বলেছেন, বাংলাদেশে মৃত নদীর সংখ্যা ১টি এবং মৃত প্রায় নদীর সংখ্যা ৯৭টি। আজ রোববার জাতীয় সংসদে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, নাবত্যা রয়েছে এমন নদীর সংখ্যা ২শ ১২টি। সমগ্র বাংলাদেশের ভরাট হয়ে যাওয়া নদী ও খাল পুনরুদ্ধারে একটি ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রোপোজাল (ডিপিপি) প্রণয়নাধীন আছে। বর্তমান সরকার সমগ্র দেশের প্রধান প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ নদ-নদীগুলো খননের মাধ্যমে নাব্যতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্যাপিটাল ড্রেজিং নামে ১৫ বছর মেয়াদী বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে ৯৪২.১৫ কোটি টাকা ব্যয় সম্বলিত গড়াই নদী পুনরুদ্ধার প্রকল্প, ১০২৮.১২ কোটি টাকা ব্যয় সম্বলিত ক্যাপিটাল পাইলট ড্রেজিং অব রিভার সিস্টেম ইন বাংলাদেশ প্রকল্প, ৯৪৪.০৯ কোটি টাকা ব্যয় সম্বলিত বুড়িগঙ্গা নদী পুনরুদ্ধারের প্রকল্প, ১৩০৯.৮৮ কোটি টাকা ব্যয় সম্বলিত বাংলাদেশ নদী ডেজিংকল্পে ড্রেজার ও এনসিলারি ইকুপমেন্ট ক্রয় প্রকল্প এবং ৫৯.৫৩ কোটি টাকা ব্যয় সম্বলিত চন্দনা বারাসিয়া নদী পুনঃখনন প্রকল্পের কাজ চলছে। এভাবে কি হবে? আমরা আর আমাদের সঙ্গে কত প্রতারণা করবো?


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.