ভুমিকম্প ও সুনামির ফলে জাপানের ফুকুসিমা ও আর একটি নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টে বিস্ফোরণ এ বিশ্বমিডিয়ার নানা ধরনের সংবাদ নিয়ে জনগণের মনে নানামুখি সংশয় দেখা দিয়েছে।
আসলে সেখানে এখনো যা ঘটেছে তার সর্বশেষ খবরের বলা হয়েছে......রিয়াক্টরের ভেশেল সেল এখনো অক্ষত আছে।
তাহলে কি রেডিয়েশনের আতংক অমুলূক??
আসলে যাদের এটমিক পাওয়ার প্লান্ট সম্পর্কে ধারণা আছে,তারা জানেন যে পারমানবিক প্লান্টের জ্বালানী হচ্ছে ইউরিনিয়াম এর বিভিন্ন আইসোটোপ।
যার দ্বারা তৈরী হয় ফুয়েল রড।
আর এই ফুয়েল রড থাকে ফুয়েল ভেশেলের মাঝে।
যা অত্যন্ত তাপ উৎপাদন করে। সেই তাপ দিয়ে পানি বাষ্প করে জেনেরেটর ঘুরানো হয়। যা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।
জাপানের ক্ষেত্রে যা ঘটেছে..........
ফুকুসিমার প্লান্ট হচ্ছে ফার্স্ট জেনেরাশান এটমিক পাওয়ার প্লান্ট। যার মেয়াদ ২০১০ এ শেষ হয়ে গেছে।
তারপর ও ওটার মেয়াদ ১০ বছর এক্সটেনশান করা হয়েছে।
প্রথম ৮ দশমিক ৯ মাত্রার ভুমিকম্পের ফলে প্লান্টের সেফটি ওয়ালে ফাটল ধরে এবং প্লান্ট বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু ফুয়েল ভেশেল ঠান্ডা হতে বেশ সময় লাগে। তখন ওটাকে ঠান্ডা করতে ইমার্জেনসি জেনেরাটর চালু হয়ে যায় এবং অটমেটিক কুলিং সিস্টেম চালু হয়।
কিন্তু ১০-২০ মিটার উচ্চতার সুনামি আঘাত করার পরে ইমার্জেনসি জেনেরাটর টাও অকেজো হয়ে পড়ে।
ফলে কুলিং সিস্টেম টাও বন্ধ হয়ে যায় পুরোপুরি। শুরু হয়ে সবথেকে মারাত্মক আতংকের ঘটনা।
অপরদিকে ভেশেলের ভিতরের তাপমাত্রা বেড়েই চলছে। ফলে ফুলেল রড গলে যেতে পারে যাকে বলা হয় মেল্ট ডাউন। আর এই মেল্ট ডাউন ই হল সব থেকে ভয়াবহ।
যা থেকে ছড়িয়ে পড়তে পারে রেডিয়েশন।
কিন্তু জাপানের বিজ্ঞানীরা এই বিপর্যয় রোধ করার জন্য ফুয়েল ভেশেলের ভিতর কার কিছু গ্যাস বাহিরে ছেড়ে দিছে। এই গ্যাসের বেশির ভাগই হল হাইড্রজেন। আর এই হাইড্রজেন যখন বাহিরে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে তখন বাতাসের সাথে সংঘর্সের ফলে আগুন জ্বলে উঠছে। যা থেকে মনে হচ্ছে প্লান্ট বিষ্পোরণ ঘটছে।
তবে এই বাহির হয়ে যাওয়া গ্যাসের সাথে কিছু পরিমাণ রেডিয়েশন বের হয়ে আসতে পারে। যার কারণে ফুকুসিমা প্লান্টের চারপাশে ৩০ কিলো। জায়গায়র মানুষদের ঘরের মাঝে থাকতে বলা হয়েছে। কারণ রেডিয়েশন যত দূর অতিক্রম করবে তত তার শক্তি কমে আসবে। তাই এই রেডিয়েশনে অত ব্যাপক কোন বিপর্যয়ের কোন আশংকা নেই।
............
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।