আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জামাতের ভণ্ডামির চালচিত্র পর্ব-৩ " জামাতে ইসলামীর তাত্ত্বিক পুরোধা মওদুদীর ইসলাম বিদ্বেষী অবমাননাকর ও ধৃষ্ঠতামূলক লেখেনী "

আমি ঘুরিয়া ঘুরিয়া সন্ধানো করিয়া স্বপ্নেরও পাখি ধরতে চাই আমি স্বপ্নেরও কথা বলতে চাই আমার অন্তরের কথা বলতে চাই... যারা তথাকথিত ইসলামী আন্দোলন করে, তারাও যখন প্রিয় নবীর প্রতি ধৃষ্ঠতামূলক লেখেন ও অসম্মান করেন, তখন কি আপামর মুসলিম জনতা এগিয়ে আসেন তার প্রতিবাদে ও প্রতিরোধে ? তখন কি ধর্মীয় অবমাননা হয় না ? তাহলে, মুসলিম সমাজে এই অসংগতি কেন? জামাতে ইসলামীর তাত্ত্বিক পুরোধা আর পাকিস্তানী লেখক মওদুদী যখন প্রিয় নবীর প্রতি অবমাননাকর ও ধৃষ্ঠতামূলক লেখেন, তখন তার প্রতিক্রিয়া ও প্রতিবাদ অনিবার্যকারণবশত:তেমনটা সরব হয় না। উল্ল্যেখ্য মউদুদি পাকিস্তানের অধিবাসী ছিলেন, জামাতে ইসলামির প্রতিষ্ঠাতা আমীর ছিলেন তার টেক্সট গুলোই জামাতের মূলনীতি, এই বিখ্যাত মোল্লার নামটি বিশ্লেষণ করে নিই। তাঁর পুরো নাম- মাওলানা সৈয়দ আবুল আ’লা মওদুদি। এই নামের অনুবাদ- “Our Master,Owner, the Father of the Most Glorious, Maududi”। এটি খুবই অদ্ভুত ব্যাপার যে এই তথাকথিত মহান ইসলাম বিশেষজ্ঞ ৭৬ বছর এই নাম নিয়ে বেঁচে ছিলেন।

পবিত্র কোরআন সম্পর্কে তিনি বলেছেন, "কোরআন করীম হেদায়াতের জন্য যথেস্ট, কিন্তু নাজাত বা মুক্তির জন্য নয়" (মওদুদীর তাফহিমাত, 1ম খন্ড, পৃষ্ঠা 312)। তাফহিমুল কুরান ১ নং খন্ডের ৩৪০ পৃষ্ঠায় নারী যুদ্ধবন্দীদের উপর তার বক্তব্যের “আজকের দিনেও সরকারের উচিত নারী বন্দিদেরকে মুসলমান সৈন্যদের কাছে বিলি করে দেওয়া যাতে তাঁরা তাদেরকে “ব্যবহার” করতে পারেন। এই আইন সব ধর্মের নারী বন্দীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য”। শরিয়া স্ত্রীর সংখ্যা সীমিত করলেও রক্ষিতার সংখ্যা সীমিত করে না। একজন পুরুষ নিজের ইচ্ছেমত রক্ষিতার সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হতে পারবে এবং একারণে তার লজ্জিত হওয়ার কোনই কারন নেই।

(তাফহিমুল কুরান ১:৩৪০ এবং ৫:১৪) এই মউদুদি সাহাবাদের সম্পর্কে বলেছেন, "সাহাবাদের মধ্যে জাহিলিয়াতের বদস্বভাবের পুনরাবৃওি ঘটে" (মওদুদীর তাফহিমাত, 2য় খন্ড, পৃষ্ঠা 155)। এধরণের অসংখ্য ভ্রান্ত ও অসংলগ্ন কথা মওদুদীর লেখায় পাওয়া যায়। দাজ্জাল সম্পর্কিত হাদীসগুলো সম্পর্কে তিনি লেখেন, "এসম্পর্কে যেসব কথা হুজুরের নিকট হাদীস থেকে বর্ণিত হয়েছে, মূলত এগুলো ছিল তার অনুমান (কিয়াস)। এসম্পর্কে নিজেও সন্দিগ্ধ ছিলেন। এসব কথা তিনি অহী লাভের ভিওিতে বলেননি, বরং অনুমান করে বলেছিলেন" (মওদুদীর রাসায়েল ও মাসায়েল, পৃষ্ঠা 55-56)।

তার লেখার অনুসারী, ধারক ও বাহকরা অবশ্যই মুসলমানদের মধ্যে বিভ্রান্তি ও উন্মাদনা ছড়াবে, তা আর বিচিএ কি? ধর্মীয় দাঙ্গায় মদদ দেয়া এবং নিরীহ মানুষ হত্যার দায়ে ১৯৫৩ সালে তাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয় পরবর্তীতে রাজনৈতিক পঠ পরিবর্তনের কারণে ঐ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়নি, কিন্তু কথা হচ্ছে এই ব্যাক্তি প্রথম যিনি নিজেকে কোরআনের অনুবাদক দাবী করেন এবং পরবর্তীতে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হন। এই উপমহাদেশের অন্যতম মুসলিম মনীষী মাওলানা যাকারিয়া মওদুদীর লেখার এই অসংগতি নিয়ে লিখেছেন। তিনি বলেন, "আমার মতে মওদুদী সাহিত্যের সবচেয়ে মারাত্মক ও ভয়ংকর দিক হলো পবিএ কোরআনের মনগড়া ব্যখ্যা। মওদুদী সাহেব নিজেই স্বীকার করেছেন, "নিজের তফসীর লেখার সময় তিনি মনকুলাত বা হাদীস ও পুরনো তফসীরগ্রন্থরাজির প্রতি দৃস্টিপাত করা প্রয়োজন মনে করেননি"। তার তফসীরের শুরুতে তিনি লিখেছেন, "কোরআন পড়ে আমি যা বুঝেছি, আমার মনে যে প্রভাব পড়েছে হুবহু তাই আমি নিজের ভাষায় প্রকাশ করার চেস্টা করেছি" অথচ পবিত্র তিরমিযী শরীফের উল্ল্যেখ আছে, "যে ব্যক্তি পবিত্র কোরআনের মনগড়া ব্যাখ্যা দেয় সে যেন তার স্থান দোযখে তালাশ করে"।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ২১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.