আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রক্তচোষা এক মহান জাদুকর!



গতকাল বলছিলাম, ডঃ মুহাম্মদ ইউনুসের জন্য সাদাদের এতো দরদ উতলে উঠার কারণ কি? নিজ দেশের হাজার হাজার মানুষের শান্তি কেড়ে নেয়া একজন মানুষ পেয়ে যান শান্তিতে নোবেল! রাজনীতিবিদ না হয়েও দম্ভের সাথে ঘোষণা করতে পারেন, দুই নেত্রীকে একটি ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখা দরকার। ওয়ান-ইলেভেনের সময় যখন দেশে সব ধরণের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ, তখন কোন খুটির জোরে ইউনুস সাহেব নাগরিক শক্তি নামের রাজনৈতিক দল গঠনের পায়তারা করতে পারলেন, মাইনাস টু থিওরি বাজারজাত করণের ঠিকাদারী... এই ধরণের বিষয়গুলোকে সামনে রাখলে এবং নির্মোহ পর্যালোচনা করতে পারলে কারণটা স্পষ্ট হয়ে যাবার কথা। আমেরিকার বড় ইচ্ছে ইউনুস সাহেবের নামটি পরিবর্তন করে নতুন একটি নাম রাখা। সেই নামটি হবে হামিদ কারজাঈ! এটা কি আমার দেশের তথাকথিত সেই সুশীল শ্রেণী বুঝতে পারছেন? না পারলে তাদেরকে আর লেখাপড়া করতে বলেছিলো কে? অনেকের কাছেই একটি ব্যাপার স্পষ্ট নয়। শান্তিতে নোবেল পাবার জন্য ড. ইউনুসের ব্যাকগ্রাউন্ডটা কী ছিলো? সুদের কারবারি হলেও তিনি একজন অর্থনীতিবিদ।

তাকে অর্থনীতিতে নোবেল দেয়া হলেও না হয় একটা কথা ছিলো। দেয়া হলো শান্তিতে! ঘটনা কী? সম্প্রতি আমি একটি কারণ খুঁজে পেয়েছি। সে অলোকে একটা ব্যাখ্যাও দাঁড় করাতে চেষ্টা করেছি। সেটা এরকম, ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের যৌথ মেহনতে ৮ টি এনজিও’র মাধ্যমে পার্বত্য চট্রগ্রামের চারটি জেলায় মুসলমানসহ বিভিন্ন ধর্মাবলম্বি মানুষকে খ্রীষ্ট ধর্মে দীক্ষিত করার কর্মকাণ্ড বেশ জোরেসুরেই চলছে। শতশত কোটি টাকা নিয়ে মাঠে নেমেছে তারা।

সস্থির কথা হচ্ছে বিষয়টি আমাদের সরকারের নজরেও এসেছে। উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত চলছে। আমাদের স্বরাষ্ট্র সচিব আবদুস সুবহান জানিয়েছেন,পার্বত্য অঞ্চলের এনজিওগুলোর কাজ সার্বক্ষণিকভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। প্রতারকদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আর সম্ভবত পার্বত্য চট্রগ্রামের চার জেলা খাগড়াছড়ি, বান্দরবন, রাঙ্গামাটি ও কক্সবাজারের মানুষকে ছলে বলে কলে কৌশলে ধর্মান্তরিত করা এবং মওকা বুঝে বিচ্ছিন্নতাবাদী কোনো গোষ্টীকে উসকে দিয়ে দেশের অখণ্ডতার পাঁজরে আঘাত বসানো এবং অবশ্যই শান্তিপূর্ণ উপায়ে, এই কাজটির গোপন কোনো কন্টাক্ট ইউনুস সাহেবকে দেয়া হয়ে থাকলে শান্তিতে নোবেলের সার্থকতা প্রশ্নাতীত।

কাজটি ঠান্ডা মাথায় এবং শান্তিপূর্ণভাবেই চলছে! প্রসঙ্গক্রমে আবার চলে আসে সুশীল শ্রেণীর কথা। ড. ইউনুসের জন্য তাদের অনেকের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে! হতেই পারে। নুন, দেশি হোক বা বিদেশি, খেলে তো গুণ গাইতেই হয়। ড. ইউনুসের মতো একজন ধোয়া তুলসির পাতাকে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে অপসারণ করার কারণে দেশের ভাবমূর্তি কত হাত মাটির নিচে চলে গেছে, সেটা নিয়ে তাঁরা চিন্তিত! দেশের ভাবমূর্তি রক্ষার এই মিছিলে শরীক হয়েছেন দেশনেত্রীও, সদলবলে। ইউনুস সাহেবের পক্ষে বিবৃতির ফুলঝুরি বর্ষিত হচ্ছে বেগম জিয়ার মুখ থেকে।

এই ইস্যুতে আবার হরতাল-টরতাল ডেকে বসেন কি না-কে জানে! বিএনপি দেশের প্রধান বিরোধীদল। বিরোধীদলের মানে কি সরকার যা করবে, সব কাজেরই বিরোধীতা করা? ড. ইউনুসের ঋণ বাণিজ্যের পাল্লায় পড়ে সর্বশ্রান্ত হওয়া এদেশের হাজার হাজার মানুষের দুর্গতি বেগম জিয়াকে বিচলিত করলো না! ইউনুস সাহেবের কল্যাণে বাড়িঘর বিক্রি করে খোলা আকাশের নিচে বাস করতে থাকা এদেশের অসংখ্য মানুষের দুর্দশা নেত্রীকে কষ্ট দিলো না! তিনি ব্যস্ত হয়ে পড়লেন ইউনুস সাহেবের ভাবমূর্তি নিয়ে! হায়রে বাংলাদেশের রাজনীতি!! আমি জানিনা ডঃ ইউনুসের প্রতি আমাদের প্রধানমন্ত্রীর বা সরকারের কোনো আক্রোশ আছে কি না! আমি জানিনা তিনি সরকারের রোষানলের শিকার কি না। অনেকেই এটা বলছেন। সত্য-মিত্যা জানিনা আমি। আমি বলবো, হতে পারে! তবে সরকারের উদ্দেশ্য যাই হোক, তাতে ইউনুস সাহেবের আমলনামা হালকা হয়ে যায় না! যে কথা বলছিলাম।

বেগম খালেদা জিয়া এবং ড. ইউনুসের জন্য আদাজল খেয়ে মাঠে নামা মুরব্বীরা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের আমলনামার কথা ভুলে গেছেন। সমস্যা নেই। আমরা ছোট’রা আছি কী জন্যে! ইউনুস সাহেবের সুকীর্তি’র অতি সামান্য কিছু চিত্র সামনে নিয়ে আসলে তাদের মনে পড়বে ইউনুস কতো মহৎ! ...চলবে, ধারাবাহিক

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।