বৃহস্পতিবার থেকে এই বিএনপি নেতার পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরুর আদেশ দিয়েছে বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীর নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের শেষ দিনে সালাউদ্দিন কাদেরের বিরুদ্ধে মোট ২৩টি অভিযোগের মধ্যে ১৭টি অভিযোগে সাক্ষীদের আদালতে দেয়া বক্তব্য উল্লেখ করে যুক্তি উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন।
বাকি ছয়টি অভিযোগের বিষয়ে প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ বলেন, ওই অভিযোগগুলোর সাক্ষীদের আদালতে হাজির করার আগেই যেহেতু তদন্ত কর্মকর্তা নিজেই সাক্ষ্য দিয়েছেন, তাই এসব অভিযোগে সাক্ষী হাজির করা হয়নি।
এরপর মামলার আইনি দিক এবং আসামিপক্ষের সাক্ষীদের দেয়া জবানবন্দির বিভিন্ন অসঙ্গতি তুলে ধরে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর তুরীন আফরোজ।
এরপর প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুমের সমাপনী যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় প্রসিকিউশনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন।
প্রসিকিউটর তুরীন আফরোজ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় চট্টগ্রামের রাউজানে সংঘটিত বিভিন্ন গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ, অপরাধে সম্পৃক্ততা ও পরিকল্পনায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দায়ভার, ব্যক্তিগত দায়ভার ও ‘জয়েন্ট ক্রিমিনাল এন্টারপ্রাইজ’র (জেসিই) কারণে অপরাধী ছিলেন অভিযুক্ত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী।
“জেসিই অনুযায়ী কোনো ‘কমন প্ল্যানে’র বাইরে কোনো একজন যদি কোনো ঘটনা ঘটায়, তার দায়ভারও পুরো দলকেই নিতে হবে। তাছাড়া কমন প্ল্যানের বাইরে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যদি ঘটে, তবে তার দায়ভারও পুরো দলকেই নিতে হবে। প্ল্যানের বাইরে ঘটনা যত ছোটই হোক না কেন দায়ভার সবারই। ”
নিজের দেয়া সাক্ষ্যে মুসলিম উম্মাহ’র একজন সদস্য হওয়ার কারণে `কমিউনিস্ট ও ধর্মনিরপেক্ষবাদীদের’ গঠন করা ট্রাইব্যুনালে বিচার হচ্ছে বলে সালাউদ্দিন কাদের যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা খণ্ডন করেন তুরীন আফরোজ।
“সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর দেয়া জবানবন্দি, জেরা এবং একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে তার জীবনযাপন এবং জীবনবোধের যে পরিচয় আমরা পাই, তাতে প্রথাগত একজন সাধারণ মুসলমান ছাড়া তিনি বিশেষ কিছু নন। তার জীবনযাপনের কোথাও ধর্মীয় অনুশাসন পালনে কাউকে (কোনো ধর্মীয় গুরু বা ব্যক্তিকে) অনুসরণ করতে দেখা যায়নি এবং নিজেও তা পালন করেননি। ”
“তিনি এমন স্বর্গে বাস করেন যেখানে তিনি নিজেই রাজা। তার ওপরে কেহ নাই। তিনি যে রাসপুতিনকে খুঁজছেন, তা তিনি নিজেই।
আয়নার সামনে দাঁড়ালে তিনি দেখতে পাবেন সেই রাসপুতিনকে, যাকে এই দেশ, এই জাতি এতদিন খুঁজছে। ”
এরপর সমাপনী বক্তব্যে প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত তেজগাঁ বিমানবন্দর থেকে পৃথিবীর কোথাও কোনো বিমান যায়নি। এ কারণে অনেক বিদেশি সাংবাদিক, দূতাবাসের কর্মকর্তা ও তাদের পরিবার বাংলাদেশে আটকাও পড়েন। এ সংক্রান্ত কাগজপত্রও প্রসিকিউশনের হাতে রয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।