আমি বাংলার...।
ফুকুশিমার দাইচির ১ নাম্বার পরমাণু চুল্লিতে বিস্ফোরণের পর ছড়িয়ে পড়ছে তেজস্ক্রিয় পদার্থ। কাছের একটি হাসপাতালে অসুস্থ এমন ২২ জনকে সনাক্ত করা হয়েছে যাদের শরীরে তেজস্ক্রিয় পদার্থের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। স্থানীয় শ্রমিক কেঞ্জি কোশিবা বার্তা সংস্থা এপিকে বলেছেন, “প্রথমে আমি ভূমিকম্পের কারণে ভীত ছিলাম। আর এখন পারমাণবিক তেজস্ক্রিয়তার ভয়ে ভীত।
আমি ওই পরমাণু কেন্দ্রের কাছেই বাস করি। আমি জানিনা এখন আমার কি করা উচিৎ। ”
এদিকে, দাইচি-১ পারমাণবিক চুল্লি বিস্ফোরণের পর এবার ৩ নাম্বার চুল্লিতে সমস্যা দেখা দিয়েছে। ওই পরমাণু কেন্দ্র পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৩ নাম্বার চুল্লির জরুরি শীতলকারক সিস্টেম অকার্যকর হয়ে যাবার পর চুল্লির ভেতরে চাপ বাড়ছে।
এই একই সমস্যার কারণে শনিবার ১ নাম্বার চুল্লিতে বিস্ফোরণ ঘটে।
সেকারণে ৩ নাম্বার চুল্লিতে বিস্ফোরণের আশঙ্কা বাড়ছে।
রোববার সকালে টোকিও ইলেক্ট্রিক পাওয়ার (টেপকো) জানায়, ৩ নাম্বার চুল্লির শীতলকারক সিস্টেম অকার্যকর হয়ে গেছে।
চুল্লির ভেতর ঠান্ডা করার জন্য কিছু তেজস্ক্রিয় পদার্থ সমৃদ্ধ বাতাস ভেতর থেকে বের করে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সরকারের মুখপাত্র ইউকিও এদানো।
তিনি বলেন, “বের করে দেয়া বাতাসে কিছু পরিমাণ তেজস্ক্রিয় পদার্থ আছে। তবে আমরা বিশ্বাস করি এর মাত্রা খুবই সামান্য যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর নয়।
আমরা চুল্লিগুলো স্থিতিশীল করতে পারবো। ”
তবে বিবিসি সংবাদদাতা ক্রিস হগ জানিয়েছেন, ৩ নাম্বার চুল্লিতে আলাদা ধরনের তেজস্ক্রিয় পদার্থ এমওএক্স (প্লুটোনিয়াম এবং ইউরেনিয়ামের সংমিশ্রন) ব্যবহার করা হতো। এজন্য সেখানে কোন বিস্ফোরণ হলে তা হবে ভয়াবহ।
শনিবার দাইচির ১ নাম্বার পরমাণু চুল্লিতে বিস্ফোরণে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হন। বিস্ফোরণের কারণে আশপাশের এলাকায় তেজস্ক্রিয় পদার্থ ছড়িয়ে পড়ে।
বার্তা সংস্থা কিয়োদো জানিয়েছে, বিস্ফোরণের পর আশপাশের এলাকায় তেজস্ক্রিয়ের উপস্থিতি নিরাপদ মাত্রার অনেক বেশি।
এরপর আশপাশের ২০ কিলোমিটার এলাকা থেকে এক লাখ ৭০ হাজার লোককে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
তেজস্ক্রিয় ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নাওতো কান তোশিবা কর্পোরেশনের প্রেসিডেন্ট নোরি সাসাকিকে নির্দেশ দিয়েছেন। তোশিবা ওই চুল্লিগুলো তৈরি করেছিল।
অন্যদিকে, ভয়াবহ ভূমিকম্প এবং সুনামির পর সেন্দাইসহ বেশকিছু জায়গায় খাদ্য, পানি এবং জ্বালানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
খাবার এবং অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী সংগ্রহের জন্য মানুষ দোকানে ভিড় করছে। লাইন ধরে অপেক্ষা করছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
প্রলয়ংকারী ওই দুর্যোগে মারা গেছে দু’হাজারের বেশি মানুষ। নিখোঁজ রয়েছে আরো কয়েক হাজার।
মিয়াগি জেলার মিনামিস্যানরিকু শহরের ১৭ হাজার বাসিন্দার মধ্যে এখন পর্যন্ত ১০ হাজার নিখোঁজ রয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে তারা সুনামির ঢেউয়ে সাগরে ভেসে গেছে। এ আশঙ্কা সত্য হলে মৃতের সংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বিবিসিকে জানিয়েছেন, সুনামিতে উপকূলীয় এলাকার ৯০ শতাংশ বাড়ি ভেসে গেছে।
দু’লাখ ১৫ হাজারের বেশি মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছে। উদ্ধার অভিযানে জাপানের পাশাপাশি জাতিসংঘসহ ৫০টি দেশ অংশ নিয়েছে।
শুক্রবার ৮.৯ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানার পর ১০ মিটার উচ্চতার সুনামিতে লণ্ডভণ্ড সোস্যাল বুকমার্কঃ
হয়ে যায় জাপানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ২১০০ কিলোমিটার এলাকা।
সুত্রঃ ইউকেবিডি ডেস্ক::
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।