দিল ঠান্ডা তো দুনিয়া ঠান্ডা।
অনেক দিন আগে দেখে ছিলাম মুভিটা। এমনিতেও মুভিটার বয়সও কম না। সেই ১৯৮৬ এ রিলিজ হয়। তবে সেটা জানতে পারলাম একটু আগে, লেখার জন্য ডিটেল খুজতে গিয়ে।
ছোট্ট মেয়ে শিটা, তাকে নিয়ে সিক্রেট সার্ভিসের ব্যাপক সতর্কতা। কিন্তু এত সতর্কতার পরেও শেষ রক্ষা বুঝি হয় না। উড়োজাহাজে আক্রমন করে আকাশ দস্যুরা। উদ্দেশ্য একটাই, শিটাকে ছিনিয়ে নিয়ে যাবে।
মা বাপ হারা মেকানিক পাৎজু।
শহরের খনির মেকানিকাল সিস্টেম এ কাজ করে সহকারি হিসেবে। আকাশ থেকে পড়তে দেখে এক তারাকে। পড়ে তার হাতের সামনেই।
শিটার সাথে দেখা হয় পাৎজুর। এরপরে শুরু হয় সিক্রেট সার্ভিস ও আকাশদস্যুদের তাড়া।
কি যেন আছে শিটার কাছে। মহামুল্যবান। সেদিকে নজর সবার। কিন্তু সেটা আবার শিটা ছাড়া কেউ কাজ করাতে পারবে না। সুতরাং সবারই চাই শিটাকে।
পালাতে থাকে দুজনে।
খনির গভীরে দেখা হয় বুড়ো মাইনার এর সাথে। তাদের শোনায় অদ্ভুৎ এক জগতের গল্প। অতীতের অতলে হারিয়ে যাওয়া এক মহা উন্নত সভ্যতা। আকাশে ভাসমান ছিল তাদের শহর।
পাৎজুর মনে পড়ে যায় তার বাবার কথা। আকাশে ভেসে বেড়ান কিসের যেন এক ছবি তুলেছিল সে। সারা শহর উপহাস করেছিল তাকে। শেষ পর্যন্ত তাদের উপহাসের জ্বালাতেই বুঝি মারা যায় তার বাবা।
প্রতিজ্ঞা পাৎজুর, এই রহস্যের সত্যতা প্রমান করেই ছাড়বে।
বাকিটুকু দেখে নিন। চমৎকার একটা এনিমেশন ছবি।
দুটো মানুষের বন্ধুত্ব, তাদের একসাথে ছুটে চলা, একে অন্যের জন্য আকুলতা, কিছু চমৎকার মুহুর্ত...
সবশেষ একটা বিরাট চমক।
আই এম ডি বি রেটিং এ ৮.০ পেয়েছে এই মুভিটা। টপ লিস্টে ২৪৮ এ স্থান পেয়েছে।
তবে আমার ব্যক্তিগত মত, এর অবস্থান আরও উপরে হওয়া উচিত।
টরেন্ট লিংক
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।