প্রতিটা মানুষেরই জীবনের কোনো না কোনো সময়ে একবারের জন্য হলেও পাখি হওয়ার ইচ্ছে জাগে। ‘পাখি যদি হতাম আমি, ঘুরতাম সারা বিশ্ব রে!’ -ছড়াকাররা এমন করে পাখি হওয়ার বাসনা প্রকাশ করেছেন। সে বাসনা ছড়িয়ে গেছে আমাদের প্রাণেও। পাখি হয়ে সারা বিশ্ব ঘুরে দেখার বাসনা থেকেই
কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার লক্ষ্য কিউইদের। বিশ্বকাপের মাস কয়েক আগে থেকে তাদের পারফরমেন্সের গ্রাফ নিম্নমুখী।
বাংলাদেশ ও ভারতের কাছে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর নিজেদের মাটিতে পাকিস্তানের কাছে সিরিজ হার। ভেট্টরিদের তবুও সতর্কভাবে নিতে হচ্ছে সব দলকে। কারণ বিশ্বকাপে কখনোই ফেভারিটের তালিকায় না থেকেও চার চারবার সেমিফাইনাল খেলেছে কিউইরা। ফাইনালের টিকিট কোনোবারই সংগ্রহ করা হয় নি তাদের। এই অপূর্ণতা ঘোঁচানোর লক্ষ্য ভেট্টরিদের।
কাজটা মোটেও সহজ হবে না তাদের জন্য। অন্যবারের চেয়ে এবারের বিশ্বকাপ আলাদা। ফেভারিটের তালিকা বেশ বড়। এককভাবে কোনো দলের পক্ষেই বাজি ধরা যাচ্ছে না। সম্ভাব্যদের তালিকায় খুব জোরেসোরে যাদের নাম আসছে সেসব নামের মাঝে ভেট্টরি বাহিনীদের নাম নেই।
আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে তারপরও আশাবাদী ভেট্টরি বাহিনী। গত ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজেদের নতুন করে ফিরে পেয়েছেন কিউই ক্রিকেটাররা। অনেকদিন থেকে ফর্ম নিয়ে ভুগতে থাকা ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ফিরেছেন ছন্দে। বোলাররাও ছন্দ ফিরে পেয়েছেন। পাকিস্তানকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে এক পা দিয়ে রাখতে চায় কিউইরা।
বিশ্বকাপের শুরুতে অধিনায়ক বিতর্ক, স্পট ফিক্সিংয়ে তিন ক্রিকেটারের নিষিদ্ধ হওয়ার মত ঝড় বয়ে গিয়েছিলো পাকিস্তান দলের উপর দিয়ে। ফেভারিটের তালিকায় ছিলো না পাক বাহিনীর নাম। প্রতিষ্ঠিত ছিলো বিপজ্জনক দল হিসেবে। প্রথম তিন ম্যাচেই জিতে কোয়ার্টার ফাইনাল প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে আফ্রিদির পাকিস্তান। আজ কিউইদের বিপক্ষে জিতলে হাতে চলে আসবে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট।
গত ম্যাচে কানাডাকে প্রায় এক হাতেই হারিয়ে একজন অতিমানব হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে নিয়েছেন আফ্রিদি। ব্যাট হাতে তেমন কিছু করেেত না পারলেও বল হাতে যা করছেন তা অতিমানবীয়। কানাডার বিপক্ষে হারার শঙ্কায় পেয়ে বসেছিলো তাদের। আফ্রিদির অতিমানবীয় পারফরমেন্সেই সে যাত্রায় রক্ষা পেয়েছে পাকিস্তান। তিন ম্যাচের তিনটিতেই জিতে পাকিস্তান যেমন গ্রুপের শীর্ষে তেমন তিন ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত উইকেট শিকারিদের তালিকায় শীর্ষে পাকিস্তান অধিনায়ক।
তবে ব্যাটিংটা বিশেষ করে ওপেনিং ব্যাটিং বেশ ভোগাচ্ছে পাকিস্তানকে। কিউইদের বিপক্ষে এই ঘাটতিটা পুষিয়ে নিতে চায় তারা। পাক ওপেনার মোহাম্মদ হাফিজ বলছেন, ‘ভালো শুরুর ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী আমরা। ’ তরুণ আহমেদ শেহজাদকে নিয়ে ভালো একটি সূচনা দিতে বেশ মরিয়া দেখাচ্ছে হাফিজকে। সামনে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হতে হবে তাদের।
গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে হলে অসিদের বিপক্ষে জিততেই হবে। আর সে ম্যাচ জিততে হলে ছোট-খাটো ভুল-ত্রুটিগুলোকেও শোধরাতে হবে পাকদের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফিল্ডিংটা বাজে ছিলো পাকিস্তানের। কয়েকটি ক্যাচ পড়েছিলো ফিল্ডারদের হাত থেকে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আজকের ম্যাচ সেসব ভুল-ত্রুটি শোধরানোরই সুযোগ।
এ পর্যন্ত ৮৮ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে দুদল। পাকিস্তান জয়ী ৫১টিতে আর নিউজিল্যান্ড ৩৪টিতে। একটি টাই এবং দুটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড ম্যাচে এ পরিসংখ্যান তেমন কোনো ভূমিকা রাখবে না। আজ জয়ের ব্যাপারে দুদলই আত্মবিশ্বাসী।
পরিসংখ্যানের মতো আজ আত্মবিশ্বাসেও এগিয়ে থাকবে পাকিস্তান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।