যদ্যপি আমার গুরু শুড়ি বাড়ী যায়,তথাপি তাহার নাম নিত্যানন্দ রায়। এটি বাংলা ভাষার শ্রেস্ট কথাশিল্পী আহমদ ছফার “যদ্যপি আমার গুরু” থেকে নেয়া হয়েছে। বইটি খুবই সুখপাঠ্য। পাঠকরা এতে জানবেন সর্বজন শ্রদ্বেয় প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাক সম্পর্কে,কিসিংজারও যার ছাত্র ছিলেন। জানবেন শিল্পী সুলতান সম্পর্কে অজানা তথ্য।
এক কথায় দারুন উপভোগ্য একটি বই।
আর যে দুটি বইয়ের কথা না বললে ব্লগটি অসম্পুর্ন থেকে যাবে তা হলো,আলী কেনানের উলথান পতন ও গাভী বৃত্তান্ত। শুধু এরকম দূটি বইয়ের জন্যই তিনি বাংলা সাহিত্যে টিকে থাকবেন অনন্তকাল। নীতির প্রশ্নে তিনি কি রকম আপোষহীন তা তার পরিচিত জনরা জানেন। তিনি তার বইয়ের বিক্রির জন্য বাংলা একাদেমীর বইমেলায় পত্রিকায় চাকুরিরত লেখকদের ন্যায় হ্যাংলার মত দাঁড়িয়ে অটোগ্রাফ দিতেন না,কিংবা হলুদ হিমু কালো র্যাব জাতীয় বইও লিখতেন না।
কখনো নিজের জন্য তিনি কিছুই চাননি। কিন্তু দরিদ্র,বেকার যুবকদের জন্য তিনি প্রচুর চাকরীর উমেদারি করেছেন। ঢাকা শহরে তিনি ছিলেন সকল অসহায়দের আশ্রয়স্থল। পরের জন্য তার মন কেমন কাঁদে একটি ঘটনা বললে বুঝতে পারবেন,১৯৭২ সালে শহীদ মুত্তিযোদ্বা পরিবার হিসাবে লেখক হুমায়ুন আহমেদের পরিবার মোহাম্মদপুরে একটি প্লট পান,কিন্তু জনৈক প্রভাবশালি সামরিক লোক গায়ের জোরে তাদের উতখাত করতে লেগে পড়ে। পরিবারটির এই বিপদের দিনে আহমদ ছফা এসে দাড়ান,এবং ঘোষনা দেন যদি সরকার এর বিহিত না করেন,তাহলে তিনি নিজের গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন জালিয়ে আত্নহত্যা করবেন।
বলাবাহুল্য তিনি যে তা করতেন তাতে কোন সন্দেহ ছিল না। ঐ লোক ভয়ে আর অপকর্মটি করতে সাহস করেনি। আমি আর গল্প লম্বা করবোনা। তার উপন্যাস গুলো পড়ুন এবং জানুন বাংলা সাহিত্যের অমুল্য সম্পদ সম্পর্কে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।