বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চে বৃহস্পতিবার এই মামলায় বিচারিক আদালতে ৩৩ সাক্ষীর দেয়া জবানবন্দি ও জেরা উপস্থাপন শেষ হয়।
সাক্ষী ও জেরার তথ্য উপস্থাপন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী খবির উদ্দিন ভূঁইয়া ও আমিনুর রশিদ রাজু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. খোরসেদুল ইসলাম।
সুপ্রিম কোর্টে দুই আসামির আইনজীবী খবির উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, প্রধান বিচারপতির আদেশে দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য মামলাটি হাই কোর্টের এই আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক অবকাশের পর অন্য আনুষ্ঠানিকতাসহ যুক্তি তর্ক হবে বলে জানান তিনি।
গত ৩০ ডিসেম্বর বিচারিক আদালতে এ মামলার রায়ে আসামি সাইফুল ইসলাম, মো. আল আমীন, আকবর আলী লালু, রফিকুল ইসলাম ও সেলিম চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। রায়ের সময় সেলিম পলাতক ছিলেন।
গত ৫ মার্চ মধ্যরাতে গুলশানে নিজের বাসার কাছে গুলিবিদ্ধ হন সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ আল আলী (৪৫)। পরদিন ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
হত্যাকাণ্ডের দুই দিন পর পুলিশ গুলশান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
আর সাড়ে চার মাস পর চারজনকে গ্রেপ্তার করে, যাদের পরিচয় দেয়া হয় ‘ছিনতাইকারী’ হিসাবে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. ওবায়দুল হক গত ২০ সেপ্টেম্বর এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয়ার পর ৩১ অক্টোবর পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত।
আসামি আল আমীন বিচারকের কাছে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেন, সাইফুলসহ বাকি চারজন ওই রাতে খালাফকে ঘিরে ধরেন এবং তার কাছে ডলার চান। ডলার না দেয়ায় তাদের মধ্যে ধস্তাধাস্তি হয়। পরে সাইফুল তার হাতে থাকা রিভলবার দিয়ে খালাফকে গুলি করে পালিয়ে যান।
তদন্ত কর্মকর্তা এ কথাগুলো অভিযোগপত্রেও উল্লেখ করেন।
তবে গ্রেপ্তার চার আসামি গত ১০ ডিসেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন এবং ন্যায়বিচার প্রার্থনা করে।
রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলায় মোট ৩৩ জন সাক্ষ্য দেন। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ২০ ডিসেম্বর রায়ের তারিখ দেয়া হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।