সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তা খালাফ আল আলী হত্যা মামলায় তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, এক আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল ও এক আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের আপিল ও ডেথরেফারেন্সের ওপর (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন) শুনানি শেষে আজ সোমবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। গত বৃহস্পতিবার এই বেঞ্চে রায় ঘোষণা শুরু হয়েছিল।
খালাফকে হত্যার দায়ে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর এক রায়ে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪। আসামিরা হলেন সাইফুল ইসলাম ওরফে মামুন, মো. আল আমীন, আকবর আলী লালু ওরফে রনি, রফিকুল ইসলাম খোকন ও সেলিম চৌধুরী ওরফে সেলিম আহম্মেদ।
এর মধ্যে সেলিম চৌধুরী শুরু থেকে পলাতক।
আজ রায়ে সেলিম চৌধুরীকে খালাস দেওয়া হয়েছে। সাইফুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখা হয়। আল আমীন, আকবর আলী ও রফিকুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন হাইকোর্ট।
রায়ের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খুরশীদুল আলম প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, সেলিমের বিরুদ্ধে তেমন সাক্ষ্যপ্রমাণ না থাকায় তাঁকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
সাক্ষ্য পর্যালোচনায় সাইফুল গুলি করেছে বলে প্রতীয়মান হওয়ায় তাঁর মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে। সাক্ষ্য পর্যালোচনায় অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনা করে বাকি তিনজনকে যাবজ্জীবন সাজা দেন হাইকোর্ট।
আদালত সূত্র জানায়, এই রায়ের বিরুদ্ধে চার আসামি প্রথমে জেল আপিল ও পরে আপিল করেন। একই সঙ্গে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য হাইকোর্টে আসে। পরে ৩০ জুলাই থেকে হাইকোর্টে এর ওপর শুনানি শুরু হয়।
গত বছরের ৫ মার্চ রাত একটায় গুলশানের কূটনীতিক এলাকার ১২০ নম্বর সডকের ১৯/বি নম্বর বাসার অদূরে গুলিবিদ্ধ হন খালাফ আল আলী। ৬ মার্চ ভোরে হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় ওই সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ৭ মার্চ গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোশারফ হোসেন মামলা করেন। ওই বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর ডিবি পুলিশ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।