সাংবাদিক, শিক্ষক
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে পান বরজে বারংবার অগ্নিকান্ডের ঘটনায় সড়ক অবরোধের পর পুলিশ ৩ জনকে আটক করলেও আজ পর্যন্ত ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে আটকসহ ঘটনার মূলরহস্য উদ্ধার করতে পারেনি। জবাব দিহিতা এড়াতেই ঘটনার দিন পুলিশ ৩ জনকে আটক করেছে। এলাকায় পুলিশি টহল অব্যাহত রয়েছে। গত বছরের মতো উপজেলার খর্দ্দরায়গ্রামে এক মাসে পান বরজে ৩ দফায় অগ্নিকান্ডের ঘটনায় শতাধিক বিঘা জমির পান বরজ পুড়ে ৫ কোটি টাকার অধিক ক্ষতি হয়। বারবার ভয়াভয় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা থেকে রেহাই পেতে পানচাষীরা ২৫ ফেব্রুয়ারি ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নান, উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার"ল আজিম আনার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনজুমান আরাসহ পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে এলাকায় মতবিনিময় ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
সমাবেশের ১৪ ঘন্টার ব্যাবধানে আবারো পান বরজে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এলাকার বিক্ষুব্ধ পানচাষিরা ঘন্টাব্যাপী ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক সড়ক অবরোধ করে। পরে এমপির হস্তক্ষেপে পানচাষিরা অবরোধ তুলে নেয়। কালীগঞ্জ থানা পুলিশের অগ্নিকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে খর্দ্দরায়গ্রামের শৈলজ কুমারের ছেলে সমির কুমার, দুলাল মুন্দিয়া গ্রামের জিয়াউর রহমান ও রফিকুল ইসলাম নামে ৩ জনকে আটক করে। এ ঘটনায় বাসুদেব সেন নামে এক পানচাষি থানায় একটি মামলা করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন পান চাষি জানান, বর্তমান বাজার দর হিসেবে এখন ১ বিঘা জমি ১ বছরের জন্য ২০ হাজার টাকায় লিজ দেয় মালিক পক্ষ। পূর্বে যার লিজ মূল্য ছিল মাত্র ৫ হাজার টাকা। আগে যাদের জমি লিজ নেওয়া ছিল জমির মালিক তাদের লিজের টাকা বাড়াতে পারছেনা। তাই অনেকে মনে করেন মালিক পক্ষই কারসাজি করে কাউকে দিয়ে এ আগুন লাগিয়ে দিতে পারে। এ পর্যন্ত যাদের পানবরজ পুড়ছে তাদের অনেকেরই জমি লিজ নেওয়া।
তারা আরো বলেন, অগ্নিকান্ডে র ঘটনায় যাদেরকে আটক করা হয়েছে তারা এ ঘটনার সাথে জড়িত আছে কিনা তা নিয়ে তাদেরও সন্দেহ রয়েছে। পানবরজে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় উপরি মহলের কাছে জবাবদিহিতা থেকে রেহাই পেতে পুলিশ তাদেরকে আটক করেছে বলে অনেকে মন্তব্য করেন। তা না হলে ঘটনার ১০ দিন পার হলেও অগ্নিকান্ডের রহস্য পুলিশ এখনো উদ্ধার করতে পারেনি।
এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম ফার"ক হোসেন জানান, পুলিশের টহল জোরদার রয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।