চেম্বার বিচারপতির দেয়া একটি আদেশের বিরুদ্ধে করা আবেদন শুনে প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃ্ত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেয়।
একইসঙ্গে বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন নেতৃত্বাধীন আদালতে আগামী ৩ মাসের মধ্যে মূল রিটের শুনানি করার নির্দেশ দিয়েছে আপিল বিভাগ।
এর আগে সাতটি বেসরকারি সংগঠনের দায়ের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি করে গত ১ অগাস্ট ওই প্রকল্পের কাজ বন্ধ রাখতে বলেছিল হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ।
পরে ২০ অগাস্ট চেম্বার বিচারপতি ওই আদেশ স্থগিত করে দেন। চেম্বার বিচারপতির স্থগিতাদেশ তুলে নিতে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) আপিল বিভাগে আবেদন করায় সোমবার স্থিতাবস্থার এই নতুন আদেশ এলো।
আদালতে বেলার পক্ষে শুনানি করেন ফিদা এম কামাল। তাকে সহায়তা করেন মো. ইকবাল কবির লিটন। রাজউকের পক্ষে ছিলেন মো. মোতাহার হোসেন সাজু।
আদেশের পর মো. ইকবাল কবির লিটন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আপিল বিভাগ ওই প্রকল্পে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে। ফলে সেখানে সম্পদ হস্তান্তর ও উন্নয়নের সব কাজ বন্ধ থাকবে।
”
হাই কোর্ট মূল রিটের আদেশে ওই দুটি মৌজায় পূর্বাচলের নতুন প্রকল্পের নকশা কেন ‘অবৈধ ও জনস্বার্থবিরোধী’ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছিল।
পাশাপাশি ওই দুই মৌজার বন, কৃষি জমি, জলাধার ও প্রতিবেশ রক্ষার কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- তাও আদালত জানতে চায়।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব, ভূমি সচিব, পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তর, রাজউকসহ ১০ বিবাদিকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), আইন ও সালিশ কেন্দ্র, এএলআরডি, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন, আইএডি এবং নিজেরা করি যৌথভাবে ওই রিট দায়ের করে।
রিট আবেদনে বলা হয়, সংশ্লিস্ট এলাকায় পুর্বাচলের এ প্রকল্পে পরিবেশগত ছাড়পত্র নেয়া হয়নি।
এমনকি মাটি ভরাট ও কাঠামোগত পরিবর্তনের জন্যও কোনো অনুমতি নেয়া হয়নি। অথচ এ এলাকার ১৬ শ’ একর জমি ২০১০ সাল থেকে ভরাট করছে রাজউক।
হাই কোর্টের আদেশের দিন ইকবাল কবির লিটন সাংবাদিকদের বলেন, রাজউক এ প্রকেল্পর জন্য পরিবেশগত ছাড়পত্র না নেওয়ায় রিট আবেদন করা হয়েছে। ওই এলাকার ৪৬ শতাংশ ভূমিই বন, জলাভূমি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।