সামুতে অর্থহীন অশুদ্ধ বাংলা ও বাংলিশ শব্দ পরিহার করি
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) 'গ্লোবাল স্ট্যাটাস রির্পোট অন অ্যালকোহল অ্যান্ড হেলথ' নামের গবেষণা প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মদ্যপানের কারণে বিশ্বে বছরে প্রায় ২৫ লাখ মানুষ মারা যায়। প্রাণঘাতী এইডস, যক্ষা বা সহিংসতার চেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয় মদ্যপানে। প্রতিবছর বিশ্বে মোট মৃত্যুর প্রায় চার শতাংশই মদ্যপানের কারণে হয় বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
সব দেশেই নারীর তুলনায় পুরুষের মধ্যে মাদকাসক্তির হার বেশি এবং প্রতি চারজন পুরুষের জায়গায় একজন নারী মাদকাসক্ত বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়। ডব্লিউএইচও বলেছে, তরুণরাই মদ্যপানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
১৫ থেকে ৫৯ বছর বয়সী পুরুষের সর্বোচ্চ মৃত্যু ঝুঁকি এই মদ্যপানে।
রাশিয়া ও কমনওয়েলথ অব ইন্ডিপেনডেন্ট স্টেটেস (সিআইএস) ভুক্ত দেশগুলোতে প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে এক জনের মৃত্যু ঘটে মদ্যপানে। এ দেশগুলোতেই মদ্যপানে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
মানুষের আয় বাড়ায় ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ এশিয়া ও আফ্রিকার জনবহুল দেশগুলোতে মদ্যপায়ীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। তাছাড়া উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অতিরিক্ত মদ্যপান একটি ভয়াবহ সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে বলে জানায় ডব্লিউএইচও।
ডব্লিউএইচও জানায়, ব্রাজিল, কাজাখস্তান, মেক্সিকো, রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ইউক্রেনে অতিরিক্ত মদ্যপানের প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। তবে এ প্রবণতা এখন সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মদ্যপানের কারণে সড়ক দুর্ঘটনা, সন্ত্রাস, জটিল রোগ, সন্তানদের প্রতি অবহেলা এবং কর্মক্ষেত্রে অনিয়ম ব্যাপকভাবে বাড়লেও বেশিরভাগ দেশে 'মাদক নিয়ন্ত্রণ নীতি' এখনও দুর্বল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।