আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পেখম মেলেছে ''গ্রুপ অব ডেথ"



গত পরশু রাতের আইরিশ বিপ্লব এই বিশ্বকাপের ''গ্রুপ অব ডেথ'' তকমা পাওয়া ''বি'' গ্রুপকে সত্যিই মৃত্যু কূপ বানিয়ে দিয়েছে। নেট রান রেটের খাঁড়ায় বাংলাদেশ এখন পয়েন্ট টেবিলের ৭ নম্বরে নেমে গেছে। শুধু নেদারল্যাণ্ডস আছে বাংলাদেশের পেছনে। এর আগে ভারত-ইংল্যাণ্ড অবিস্মরণীয় টাই ম্যাচ এই গ্রুপে নতুন মোড় ঘুরিয়ে। তবে সত্যি সত্যি ঘুরিয়ে মেরে বিশ্বকাপের মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছেন কেভিন ও'ব্রায়ান।

এই গ্রুপ এখন উন্মুক্ত। কোন চার দল যাবে কোয়ার্টার ফাইনালে এক মাত্র ওপরওয়ালাই জানেন। বাংলাদেশ এই ঘুর্ণিপাকের ভেতর আজ খেলতে নামছে নতুন এক ওয়েস্ট ইণ্ডিজের সাথে। ২০০৭ সালে ওদের দেশে গিয়ে উপমহাদেশীয় দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই প্রথমবারের মতো ওদের বাড়ি গিয়ে হোয়াইট ওয়াশসহ ওদেরকে সিরিজ পরাজয়ের স্বাদ উপহার দিয়েছে। কিন্তু এই দিন সেই দিন নয়।

এবার নতুন দিন। ক্রিস গেইলরা দলে ফিরেছেন। সেদিনের নবীন কেমার রোচ এই বিশ্বকাপে হ্যাট্রিক করে ভয়ঙ্কর রূপে দেখা দিয়েছেন। এক কালের বিশ্ব-শাসক দলটিকে আবার ওরা নতুন করে গড়ে তুলতে চাইছেন। যদিও সেই সম্বল তাদের নেই।

কিন্তু এরপরও গেইল রোচেরা অঘটন ঘটাবার সামর্থ্য যে রাখেন তাতে সন্দেহ নেই। তবে বাংলাদেশও তৈরী। বাংলাদেশও ২০০৭ পেরিয়ে অনেক পরিণত। বোলিং ফিল্ডিংয়ে দুর্দান্ত। শুধু সমস্যা ব্যাটিং নিয়ে।

কারণ ওটা যে আমাদের প্রধান কোচ জিমি সিডন্সের এলাকা। আরেকটা ছোট সমস্যা দেখা যাচ্ছে। বারবার বলা হচ্ছিলো এটা স্পিনারদের বিশ্বকাপ। কিন্তু এখন পর্যন্ত বোলিং দাপট চলছে পেসারদেরই। বাংলাদেশও মূল সাফল্য পেলো পেসার সফিউলের কাছ থেকে।

অন্য দলেও তাই। স্পিন কূলের মান বাঁচিয়ে রেখেছেন একমাত্র শাহীদ আফ্রিদী। তিন ম্যাচের দু'টিতে ৫টি করে আরেকটিতে ৪টি সহ ১৪ উইকেট নিয়ে তিনি সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী। অসি পেসার জনসন ২ ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে। বাংলাদেশ আবার স্পিন ভরসা করে মাঠে নামছে।

কিছু সাফল্য যে পায়নি তা নয়। তবে বাংলাদেশের মূল ভরসা ১১ জন লড়িয়ে সৈনিক আর ক্রিকেট উন্মাতাল কিন্তু দারুন সুশৃঙ্খল ১৬ কোটি মানুষ। ঘুরিয়ে মারার জন্য আর কি চাই ? এগিয়ে চলো বাংলাদেশ। গ্রুপ অব ডেথ তত্ত্বকে মাড়িয়ে চলো।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।