আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আসুন সবাই জামাতের শান্তিপূর্ন কর্মসূচিতে যোগ দিই।

এখনো গেলনা আঁধার............... গত কয়েকদিন ধরে সাইদির মুক্তির দাবীর নাম করে সারাদেশে জামাত যে তান্ডব চালিয়েছে ইতিহাসে তা একটি ঘৃণিত অধ্যায় হিসেবে লিখা থাকবে। মিছিল হতে পুলিশের উপর হামলা, থানা ভাংচুর, উপজেলা সদর ভাংচুর, হিন্দু বাড়ী জ্বালিয়ে দেয়া, দোকান পাট- যানবাহন ভাংচুর, নিরীহ পথচারীর উপর হামলা, রেললাইন উপড়ে ফেলা, সেতু উপড়ে ফেলা, বায়তুল মোকাররমে নামাজের গালিচায় আগুন ধরানো, শহীদ মিনার ভেংগে ফেলা, জাতীয় পতাকা ছিড়ে ফেলা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয় গুড়িয়ে দেয়া, শান্তিপূর্ন আন্দোলন কারীদের হত্যা, পুলিশ হত্যা, আওয়ামীলীগ নেতাকমীদের হত্যা সহ সারাদেশে এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় যা আমাদের একাত্তর সালে রাজাকারদের বর্বর নির্যাতনের কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। কার্টুন ও বাস্তব পুরোটাই মিল এ দলটি যখন নিজেদের কোরআনের রক্ষক বলে তখন শিহরিয়ে উঠতে হয়। একটি রায় যখন তাদের বিরুদ্ধে গিয়েছে তারা কি পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে? যদি কখনো তারা ক্ষমতায় পূর্নাংগ ভাবে আসে ( যদিও অলীক কল্পনা) তাহলে তারা কোন গণতন্ত্র কায়েম করবে এদেশে? তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার প্রতি তাদের আচরণ কি হবে? ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের প্রতি তাদের আচরণ কি হবে? এক কথায় বলতে গেলে জামায়াতের রাজত্ব হবে ত্রাসের রাজত্ব। যা নাৎসী হিটলারকেও ছাড়িয়ে যাবে।

গত চারদিনে মৃতের সংখ্যা প্রায় শতাধিক। জামাত শিবিরের নৈরাজ্য প্রতিহত করতে গুলি না চালিয়ে উপায় ছিলনা পুলিশের। যেখানে পুলিশ সরাসরি গুলি চালায়নি, সেখানে প্রাণ দিয়েছে পুলিশ নিজে। আহত জামাতের চেয়ে আহত পুলিশের সংখ্যা কম নয়। আমরা এই হত্যা নির্যাতনের বিচার চাইছি।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রশ্নে তাদের নিদোর্ষ দাবী করে জামাত এই তান্ডব চালাচ্ছে। কিন্তু যুদ্ধে যদি পাকিস্তান জিতত, তা হলে এই মুক্তিযোদ্ধারা হতো যুদ্ধাপরাধী। তাদের নিয়ে কি করা হতো তা তখনকার সংগ্রাম পত্রিকা দেখলেই বোঝা যায়। সংগ্রাম পত্রিকার ভাষায় এই মুক্তিযোদ্ধারা দুস্কৃতিকারী ছিল। তাদের হত্যার জন্য বারবার প্ররোচিত করা হতো।

যুদ্ধ শেষে জামায়াত ট্রাইবুন্যাল গঠনের অপেক্ষা করতোনা। সবার লিষ্ট তৈরী করে প্রত্যেকের জন্য একটি করে বুলেট বরাদ্দ করতো যেমন করা হয়েছিল বুদ্ধিজীবিদের জন্য। মুক্তিযোদ্ধাদের বউ মেয়ে বোনদের কোরআনের দোহাই দিয়ে গণিমতের মাল বানাতো। তাদের সহায় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে নিত। তাদের সন্তানরা আজীবন চাকরিতে অযোগ্য ঘোষিত হতো।

দাসে পরিণত হতো। ইসলামের নামে অপকর্ম করাই তাদের লক্ষ্য কোরআন ছুয়ে মুক্তিযোদ্ধা নিধনের শপথ করছে জামাত, ১৯৭১। ৭১ সালের সংগ্রাম পত্রিকায় নিজামী ও মুজাহিদের কলাম। বিশাল এক আর্কাইভ রয়েছে যেখানে পাবেন হাজারো প্রশ্নের উত্তর। http://www.facebook.com/omi.pial/photos_albums আমরা সবাই জামাতের প্রতিষ্টাকালীন হতে মুক্তিযুদ্ধ এবং তার পরবর্তী ৪২ বৎসর জামায়েতের হিংস্র মানষিকতা ও ঘৃণিত কার্যকলাপ এবং ভোল পাল্টানো কথা বার্তা সম্পর্কে জানি।

প্রধান বিরোধীদল তাদের জন্ম শপথ অনুসারে জামাতকে সাপোর্ট দিবে এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। কারণ দুটো দল মিলে মুলত একটিই দল। খালেদা জিয়ার ভাষ্যনুযায়ী শান্তিপূর্ন কর্মসূচি পালন করছে জামাত। শান্তিপূর্ন পুলিশ নিধন কর্মসূচি পালন করছে জামাত। শান্তিপূর্ণ অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট কর্মসূচি।

জুমার নামাজের পর অগ্নিসংযোগ, যানবাহন ভাংচুরের মাধ্যমে শান্তিপূর্ন কর্মসূচি পালিত। রেললাইন উৎপাটন কর্মসূচি। দেশের স্বাধীনতা - সার্বভৌমত্ব আজ হুমকির মুখে। জামাত যেটা করছে তা সূচনা বা ডেমো মাত্র, তারা যা করার প্ল্যান করছে তা অতি ভয়াবহ। তারা এদেশকে আফগানিস্তান বানাতে চায়।

আমাদের দাবী পরিষ্কার= রাজাকারের ফাঁসি চাই, জামাতের রাজনীতি ব্যান চাই ফাঁসি চাই ফাসি চাই বলে হিংসাত্মক কর্মসূচি পালন করছে আন্দোলনকারীরা, যা ঘুম হারাম করেছে জামাত-বিএনপির। এই আন্দোলন ফ্যাসিবাদের বহিপ্রকাশ। এখন আপনি ভাবুন, হাতে চুড়ি পড়ে বসে থাকবেন- নাকি জামাতের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামবেন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.