অনেক কিছু লিখতে ইচ্ছে করে কিন্তু গুছিয়ে লিখতে পারি না ...
১২০ টি ছোট-বড় দ্বীপ নিয়ে পো এবং পিয়েভ নদীর মুখে রয়েছে ছোট্ট একটি সাম্রাজ্য। কেউ কেউ শখ করে নাম দিয়েছে " লা ডমিন্যান্তে"। আবার কারো কাছে আদরের নাম " সিটি অব লাইট"। কারো কাছে আবার " সিটি অব ব্রিজেস নাম'টা পছন্দ। হাজার হাজার বছর ধরে হাজার হাজার নাম রাখা হয়েছে এর।
রোমান সভ্যতার পীঠস্থান এই অঞ্চলের চলতি নাস " ভেনিস", যাকে আবার " কুইন অব দ্য অ্যাড্রিয়াটিক"- বলা হয়। ইতিহাস যেন মাখামাখি হয়ে আছে ভেনিসের প্রতিটি বাড়িতে। ৯০০ বছরের পুরনো সেন্ট র্মাকস ব্যাসিলিকা আর ব্যাসিনিয়ায় ঢোকার মুখে দাঁড়িয়ে থাকা ব্রোঞ্জের ঘোড়া রোমান সম্রাটের বিপুল বৈভবের কথা মনে করিয়ে দেয়।
ভেনিস বেড়াতে গেলে, আর গন্ডোলায় সয়োরার হবে না, তা কি হয়? ভেনিসের বিশেষত্বই যে গন্ডোলায় লুকিয়ে আছে। ভেনিসে লম্বা লম্বা সরু নৌকার নাম গন্ডোলা।
আসলে আস্ত ভেনিস শহরটা জলের উপর ভাসছে। শহরের টুকরো টুকরো অংশগুলো আদতে এক একটা দ্বীপ। দ্বীপগুলোকে জুড়ে রেখেছে কারুখচিত বাঁকানো সেতু। সেতুর নীচ দিয়ে নীল জলরাশি বয়ে চলেছে অবিরাম গতিতে। আর দুই পাশে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে প্রাচীন স্থাপত্যের নির্দশন।
কিন্তু কুইন অব দ্য অ্যাড্রিয়াটিকের আকটা অসুখ করেছে। প্রতিদিনই নাকে শহরখানা একটু একটু করে তলিয়ে যাচ্ছে জলের নীচে। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা আগামী ৫০ বছরের মধ্যে নাকে গোটা ভেনিসই ভ্যানিশ হয়ে যাবে জলের নীচে। গ্লোবাল অয়ার্মিং-এর ফলে সমুদ্রের জলতল বেড়ে চলেছে। আর তাতেই নাকে ডুবতে বসেছে ভেনিস।
ইতিমধ্যে সেন্ট র্মাকস ব্যাসিলিকা বামদিকে হেলে পড়েছে। তাই পুরো ভেনিস পানির নীচে তলিয়ে যাবার আগে একবার চাক্ষুস করে আসা উচিত ডুবন্ত শহরটাকে।
{ ছোটখাটো ভুলগুলা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেইখেন, প্লীজ.... }
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।