শূন্য মানব , যে মুসলিম হিসাবে গর্বিত । যে সত্য বলতে পিছপা হয় না । যে ধর্মভিত্তিক মানবতায় বিশ্বাসী । যে কুরআন ভিত্তিক শাসনে বিশ্বাসী । এর মানে এই নয় যে আমি ধর্মব্যবসায়ীদের পক্ষে ।
কারন, এরাই ইসলামের বড় শত্রু । একাত্তরে পাকিস্তান জয়ী হলে মুক্তিযোদ্ধারা হতেন 'যুদ্ধাপরাধী'। তখন 'যুদ্ধাপরাধী'দের বিচার কীভাবে হতো?
কোনো অর্ডার বা অ্যাক্ট পাশ হতো না, কোনো ট্রাইবুনাল বসত না, জেনেভা কনভেনশন বা মানবাধিকারের ধুঁয়া উঠত না, 'যুদ্ধাপরাধী'দের বিচারের জন্য কোনো আন্দোলনেরও দরকার হতো না। কী হতো তাহলে?
সারা 'পূর্ব পাকিস্তানের' আনাচেকানাচে ছড়িয়ে থাকা মুক্তিযোদ্ধাদেরকে মুজাহিদ-মির কাশেম-কামারুজ্জামান-কাদের মোল্লা-সাইদিদের নেতৃত্বে 'আল্লাহু আকবার' বলে জবাই করা হতো;
বিশ্বের কোনো দেশ, কোনো মানবাধিকারসংগঠন টুঁ শব্দটা পর্যন্ত করত না। গোলাম আজম হতো 'পূর্ব পাকিস্তানের' গভর্নর।
প্রতিবছর ২৬শে মার্চ ও ১৬ই ডিসেম্বর সারা দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা ছাত্রসংঘকর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত হতেন। মুক্তিযোদ্ধাদের বংশধরদেরকে সরকারি চাকরিতে অযোগ্য ঘোষণা করা হতো।
আমরা রাজাকার-আলবদরদেরকে আইনি উপায়ে বিচার করছি, এটিই ওদের সৌভাগ্য; অথচ ওরাই এখন দেশকে অস্থির করে তুলছে। বিশ্বের আর কোনো রাষ্ট্রে যুদ্ধাপরাধীরা এতটা তাণ্ডব দেখাতে পেরেছে কি না, দেশের অর্থনীতি-রাজনীতিতে এভাবে গেঁড়ে বসতে পেরেছে কি না, একটি বড় রাজনৈতিক দলের প্রকাশ্য ইন্ধন পেয়েছে কি না; তা কারোর জানা আছে কি? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।