নিজের সম্পর্কে কিছু বলার মত নাই। এক কথায বলতে গেলে উদ্দেশহীন ভাবে বেচে থাকা এক অলস যুবক।
ঘুমানোর সময় এই দুঅ’াটি পড়বে-
أَللَّهُمَّ بِاسْمِكَ أَمُوْتُ وَاَحْيَا অথবা بِاسْمِكَ اللّهُمَّ أَمـوتُ وَأَحْـيا .
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা বিস্মিকা আমূতু ওয়া আহয়া। অথবা বিসমিকা আল্লাহুম্মা আমূতু ওয়া আহয়া।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি তোমারই নামে মৃত্যু বরণ করি (ঘুমাই) আর তোমারই নামে জীবিত তথা জাগ্রত হই।
ফায়েদাঃ যে ব্যক্তি ঘুমানোর সময় এই ভাবে আল্লাহর নাম যিকির করে ঘুমাবে কিয়ামতের দিন তাকে এই ঘুমানোর জন্য আল্লাহর কাছে লজ্জিত হতে হবে না।
দলীলঃ আবু হুরাইরা (রাঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর যিকির না করে ঘুমাবে, তার এই ঘুমানো কিয়ামতের দিন আফসোসের কারণ হবে।
হুযাইফা (রাঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যখন রাত্রে ঘুমাতেন তখন চেহারার নীচে হাত রেখে বলতেনঃ আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমূতু ওয়া আহয়া।
এক বার এই দুআ পড়বে-
اللّهُمَّ إِنَّكَ خَلَقْتَ نَفْسي وَأَنْتَ تَوَفّاها لَكَ ممَاتها وَمَحْياها ، إِنْ أَحْيَيْتَها فاحْفَظْها ، وَإِنْ أَمَتَّها فَاغْفِرْ لَها . اللّهُمَّ إِنَّي أَسْأَلُكَ العافِيَة .
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নাকা খালাকতা নাফসী, ওয়া আনতা তাওয়াফফাহা, লাকা মামাতুহা, ওয়া মাহয়াহা, ইন আহয়াইতাহা ফাহফাযহা, ওয়া ইন আমাত্তাহা ফাগফির লাহা। আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল আফিয়াহ।
অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমিই আমার জান সৃষ্টি করেছ এবং তুমিই তাকে মৃত্যু প্রদান করবে, তোমারই হাতে তার জীবন ও মৃত্যু। যদি তাকে জীবিত রাখ তাহলে তার রক্ষণাবেক্ষণ কর। আর যদি মৃত্যু দিয়ে দাও তাহলে তাকে ক্ষমা কর। হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে শান্তি ও নিরাপত্তা কামনা করছি।
দলীলঃ আব্দুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) এক ব্যক্তিকে বললেনঃ যখন তুমি ঘুমাতে যাবে তখন এই দুঅ’া পড়বে- আল্লাহুম্মা ইন্নাকা খালাকতা নাফসী, ওয়া আনতা ---।
লোকটি বলল, আপনি কি এটি উমর (রাঃ) থেকে শুনেছেন? তখন বললেনঃ উমর থেকে অনেক উত্তম ব্যক্তি অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) থেকে শুনেছি।
এক বার এই দুআ পড়বে-
سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ رَبِّي بِكَ وَضَعْتُ جَنْبي ، وَبِكَ أَرْفَعُه ، إِنْ أَمْسَكْتَ نَفْسي فَاغْفِرْلَهَا ، وَإِنْ أَرْسَلْتَها فاحْفَظْها بِما تَحْفَظُ بِه عِبادَكَ الصّالِحين .
উচ্চারণঃ সুবহানাকা আল্লাহুম্মা রাব্বী বিকা ওয়াদ্বা’তু জাম্বী ওয়া বিকা আরফাউহু ইন আমসাকতা নাফসী ফাগফির লাহা ওয়া ইন আরসালতাহা ফাহফাযহা বিমা তাহফাযু বিহী ইবাদাকাস্সালিহীন।
অর্থঃ হে আল্লাহ আমার প্রভূ! তুমি পবিত্র। তোমার উপর ভরসা করে আমি শুয়েছি এবং তোমারই সাহায্যে আবার উঠব। যদি আমার জানকে রেখে দাও তাহলে তাকে ক্ষমা কর।
আর যদি তাকে ছেড়ে দাও অর্থাৎ জীবিত রাখ তাহলে তার রক্ষণাবেক্ষণ কর। যেভাবে তোমার সৎ বান্দাদের রক্ষণাবেক্ষণ করে থাক।
দলীলঃ আবু হুরাইরা (রাঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ যখন কোন ব্যক্তি ঘুমানোর জন্য নিজের বিছানায় আসে তখন সে যেন বলে- সুবহানাকা আল্লাহুম্মা রাব্বী বিকা ওয়াদ্বা’তু জাম্বী ওয়া বিকা আরফাউহু ইন আমসাকতা নাফসী ফাগফির----।
একবার আয়াতুল করসী পাঠ করবে -
দলীলঃ আবু হুরাইরা (রাঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ঘুমানোর সময় আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে, তার সাথে ফজর পর্যন্ত আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন রক্ষণাবেক্ষণকারী থাকে। আর ফজর পর্যন্ত শয়তান তার কাছে আসবেনা।
তিনবার এই দুঅ’া পাঠ করবে-
اللّهُـمَّ قِنـي عَذابَـكَ يَـوْمَ تَبْـعَثُ عِبـادَك .
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা কিনী আযাবাকা ইয়াউমা তাবঅ’াছু ইবাদাকা।
অর্থঃ হে আল্লাহ! যে দিন তুমি তোমার বান্দাদেরকে পুণরূত্থান করবে, সেই দিন তোমার আযাব থেকে আমাকে মুক্তি দাও।
দলীলঃ হাফসা (রাঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ঘুমানোর সময় ডান হাত মুখের নীচে রেখে তিনবার আল্লাহুম্মা কিনী আযাবাকা ইয়াউমা তাবঅ’াছু ইবাদাকা- পড়তেন।
একবার এই দুঅ’া পড়বে-
الحَمْدُ للهِ الَّذي أَطْعَمَنا وَسَقانا، وَكَفانا، وَآوانا، فَكَمْ مِمَّنْ لاكافِيَ لَهُ وَلا مُؤْوي. উচ্চারণঃ আলহামদু লিল্লাহিল্লাযী আত্আমানা ওয়া সাকানা ওয়া কাফানা ওয়া আওয়ানা ফাকাম মিম্মান লা কাফিয়া লাহু ওয়া লা মূ’ওয়ি। অর্থঃ সকল প্রশংসা সেই আল্লাহর জন্য যিনি আমাদের খাওয়ালেন এবং পান করালেন এবং আমাদের জন্য বস করে দিলেন এবং আমাদের ঠিকানা দিলেন।
কারণ অনেকে আছেন যাদের জন্য কোন বস করনেওয়ালা নেই এবং ঠিকানা দানকারী নেই।
দলীলঃ আনাস (রাঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যখন ঘুমাতে যেতেন, তখন এই দুঅ’া পড়তেন- আলহামদু লিল্লাহিল্লাযী আত্আমানা ওয়া সাকানা ----।
একবার এই দুআ পড়বে-
اللّهُمَّ عالِمَ الغَيبِ وَالشّهادةِ فاطِرَ السّماواتِ وَالأرْضِ رَبَّ كُلِّ شَيءٍ وَمَليكَه، أَشْهدُ أَنْ لا إِلهَ إِلاّ أَنْت، أَعوذُ بِكَ مِن شَرِّ نَفْسي، وَمِن شَرِّ الشَّيْطانِ وَشِرْكِه، وَأَنْ أَقْتَرِفَ عَلى نَفْسي سوءاً أَوْ أَجُرَّهُ إِلى مُسْلِم .
উচ্চারণঃ- “আল্লাহুম্মা আলিমাল গায়বি ওয়াশ্ শাহাদাতি, ফাতিরাস্ সামাওয়াতি ওয়াল আরদি, রাব্বা কুল্লি শাইয়িন ওয়া মালিকাহু, আশ্হাদু আল্লা ইলাহা ইল্লা আন্তা, আউযুবিকা মিন র্শারি নাফ্সী, ওয়া মিন র্শারিশ্ শায়ত্বানী ওয়া শিরকিহী। ওয়া আন আকতারিফা আলা নাফসী সূঅ’ান আউ আজুররাহু ইলা মুসলিমিন। ”
ফায়েদাঃ এই দুঅ’াটি নবী কারীম আবুবকর (রাঃ) কে শিক্ষা দিয়েছেন।
সুতরাং তার ফাদেয়া বলার অপেক্ষা রাখে না।
দলীলঃ আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেনঃ আবু বকর (রাঃ) নবী কারীম এর কাছে আরয করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! সকাল-সন্ধ্যায় পড়ার জন্য আমাকে কিছু শিক্ষা দেন। তিনি বললেনঃ বল- ‘আল্লাহুম্মা আলিমাল-----। ’ বললেনঃ এই দুঅ’াটি সকাল-সন্ধ্যা এবং ঘুমানোর সময় পড়বে।
একবার সুরা বাকারার শেষ দুটি আয়াত পড়বে-
آمَنَ الرَّسُولُ بِمَا أُنزِلَ إِلَيْهِ مِن رَّبِّهِ وَالْمُؤْمِنُونَ كُلٌّ آمَنَ بِاللّهِ وَمَلآئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ لاَ نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّن رُّسُلِهِ وَقَالُواْ سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ .لاَ يُكَلِّفُ اللّهُ نَفْسًا إِلاَّ وُسْعَهَا لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ رَبَّنَا لاَ تُؤَاخِذْنَا إِن نَّسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا رَبَّنَا وَلاَ تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِنَا رَبَّنَا وَلاَ تُحَمِّلْنَا مَا لاَ طَاقَةَ لَنَا بِهِ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَآ أَنتَ مَوْلاَنَا فَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ.
উচ্ছারণঃ আমানার রাসূলু বিমা উনযিলা ইলাইহি মিন রাব্বিহী ওয়াল মু’মিনূন কুল্লুন আমানা বিল্লাহি ওয়া মালাইকাতিহী ওয়া কুতুবিহী ওয়া রুসুলিহী লা নুফাররিকু বাইনা আহাদিম মির রূসুলিহি ওয়া ক্বালু সামি’না ওয়া আতা’না গুফরানাকা রাব্বানা ওয়া ইলাইকাল মাছীর।
লা ইয়ুকাল্লিফুল্লাহু নাফসান ইল্লা উসঅ’াহা লাহা মা কাসাবাত ওয়া আলাইহা মাকতাসাবাত রাব্বানা লা তুআখিযনা ইন নাসিনা আউ আখতা’না রাব্বানা ওয়ালা তাহমিল আলাইনা ইছরান কামা হামালতাহু আলাল্লাযিনা মিন কাবলিনা রাব্বানা ওয়ালা তুহাম্মিলনা মা লা ত্বাকাতা লানা বিহি ওয়া’ফু আন্না ওয়াগফির লানা ওয়ারহামনা আনতা মাওলানা ফানছুরনা আলাল কাউমিল কাফিরীন।
অর্থঃ রাসূল তদীয় প্রতিপালক হতে তৎপ্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তা বিশ্বাস করে এবং মুমিনগণও (বিশ্বাস করে) তারা সবাই আল্লাহকে, তাঁর ফেরেশতাগণকে, তাঁর গ্রন্থসমূহকে এবং রাসূলসমূহকে বিশ্বাস করে থাকে, এবং আমরা তাঁর রাসূলগণের মধ্যে কাউকেও পার্থক্য করি না, তারা বলে, আমরা শ্রবণ করলাম ও স্বীকার করলাম, হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা আপনারই নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং আপনারই দিকে চরম প্রত্যাবর্তন। কোন ব্যক্তিকেই আল্লাহ তার সাধ্যের অতিরিক্ত কর্তব্য পালনে বাধ্য করেন না। কারণ সে যা উপার্জন করেছে তা তারই জন্যে এবং যা সে উপার্জন করেছে তা তারই উপর। হে আমাদের প্রতিপালক! যদি আমাদের ভ্রম অথবা ত্র“টি হয় তজ্জন্যে আমাদেরকে ধৃত করবেননা, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের পূর্ববর্তীগণের উপর যেরূপ গুরুভার অর্পণ করেছিলেন, আমাদের উপর তদ্রুপ ভার অর্পণ করবেন না।
হে আমাদের প্রভূ! যা আমাদের শক্তির অতীত ঐরূপ ভার বহনে আমাদেরকে বাধ্য করবেন না, এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন ও আমাদেরকে মার্জনা করুন এবং আমাদেও দয়া করুন। আপনিই আমাদের অভিভাবক। অতএব কাফির সম্প্রদায়ের বিরূদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করুন।
ফায়েদাঃ যে ব্যক্তি রাত্রে এই দুইটি আয়াত পড়বে তার জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবে।
দলীলঃ আবুমাসঊদ (রাঃ) বলেনঃ নবী কারীম (সাঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রাত্রে সূরা বাকারার শেষ দুটি আয়াত পাঠ করবে তার জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবে।
ঘুমানোর সময় একবার সূরা মুল্ক পাঠ করবে।
(সূরা মুলক কুরআন মজীদের ২৯ তম পারার প্রথম সূরা, যা ‘তাবারাকাল্লাযী বিয়াদিহিল মুলকু -- দ্বারা শুরু হয়েছে। )
ফায়েদাঃ এই সুরা পাঠ করলে কবরের আযাব থেকে মুক্ত থাকবে। এবং সুরা সুপারিশ করে পাঠকারীকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে।
দলীলঃ আবুহুরায়রা (রাঃ) বলেনঃ নবী কারীম (সাঃ) বলেছেনঃ কুরআনে ত্রিশ আয়াত বিশিষ্ট একটি সূরা আছে, যা কোন ব্যক্তির জন্য সুপারিশ করলে তাকে ক্ষমা করে দেয়া হবে।
সুরাটি হল, তাবারাকাল্লাযী বিয়াদিহিল মুলকু।
তিনি (রাঃ) আরো বলেনঃ নবী কারীম (সাঃ) বলেছেনঃ আল্লাহর কিতাবে একটি সুরা, যার আয়াত হল ত্রিশটি। যা কোন ব্যক্তির (পাঠকারীর) জন্য সুপারিশ করবে, অতঃপর তাকে জাহান্নাম থেকে বের করে জান্নাতে প্রবেশ করাবে।
আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেনঃ রাসূল কারীম (সাঃ) বলেছেনঃ সুরা ‘তাবারাক’ কবরের আযাব থেকে বাধা দানকারী।
জাবের (রাঃ) বলেনঃ রাসূল কারীম (সাঃ) শয়নের পূর্বে যতক্ষণ সুরা ‘আলিফ লাম মীম সাজদাহ’ এবং সুরা ‘তাবারাকাল্লাযী’ পাঠ করতেন না, ততক্ষণ ঘুমাতেন না।
ঘুমানোর সময় একবার সূরা কাফিরুন পাঠ করবে।
قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُون(১) لَا أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ ) (২وَلَا أَنتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ )৩ (وَلَا أَنَا عَابِدٌ مَّا عَبَدتُّمْ )৪( وَلَا أَنتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ) ৫ (لَكُمْ دِينُكُمْ وَلِيَ دِينِ )৬ (
উচচারণঃ কুল ইয়া আইয়ুহাল কাফিরূন। লা আ’বুদু মা তা’বুদূন। ওয়ালা আন্তুম আবিদূনা মা আ’বুদ। ওয়ালা আনা আবিদুম্মা আবাদ্তুম।
ওয়ালা আন্তুম আবিদূনা মা আ’বুদ। লাকুম দীনুকুম ওয়া লিয়া দ্বীন।
অর্থঃ বলুন, হে কাফিরকুল, আমি ইবাদত করিনা তোমরা যার ইবাদত কর, আর তোমরাও ইবাদতকারী নও যার ইবাদত আমি করি এবং আমি ইবাদতকারী নই যার ইবাদত তোমরা কর, তোমরা ইবাদতকারী নও যার ইবাদত আমি করি, তোমাদের কর্ম ও কর্মফল তোমাদের জন্য আর আমার কর্ম ও কর্মফল আমার জন্য।
ফায়েদাঃ যে ব্যক্তি এই সুরা পাঠ করে ঘুমাবে সে শিরক থেকে মুক্ত থাকবে।
দলীলঃ আনস (রাঃ) বলেনঃ রাসূল কারীম (সাঃ) বলেছেনঃ ঘুমানোর সময় সুরা ‘কাফিরূন’ পাঠ কর।
কেননা তা শিরক থেকে বিরত থাকার স্পষ্ট নিদর্শন।
ঘুমানোর সময় সর্ব শেষ এই দুআ পড়বে -
اللّهُمَّ أَسْلَمْتُ نَفْسي إِلَيْكَ، وَفَوَّضْتُ أَمْري إِلَيْكَ، وَوَجَّهْتُ وَجْهي إِلَيْكَ، وَأَلْجَاْتُ ظَهري إِلَيْكَ، رَغْبَةً وَرَهْبَةً إِلَيْكَ، لا مَلْجَأَ وَلا مَنْجا مِنْكَ إِلاّ إِلَيْكَ، آمَنْتُ بِكِتابِكَ الّذي أَنْزَلْتَ وَبِنَبِيِّكَ الّذي أَرْسَلْت .
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা আসলামতু নাফসী ইলাইকা, ওয়া ফাওয়াদ্বতু আমরী ইলাইকা, ওয়া ওয়াজ্জাহতু ওয়াজহী ইলাইকা, ওয়া আলজা’তু যাহরী ইলাইকা, রাগবাতান ওয়া রাহবাতান ইলাইকা, লা মালজাআ ওয়া লা মানজা মিনকা ইল্লা ইলাইকা, আমানতু বিকিতাবিল্লাযী আনযালতা ওয়া বিনাবিয়্যীকাল্লাযী আরসালতা।
দলীলঃ বারা ইবনু আযিব (রাঃ) বলেনঃ নবী কারীম (সাঃ) এক ব্যক্তিকে উপদেশ দিতে গিয়ে বলেছেনঃ যখন তুমি ঘুমাতে যাবে তখন বলবে- ‘আল্লাহুম্মা আসলামতু নাফসী ইলাইকা, ওয়া ফাওয়াদ্বতু আমরী ইলাইকা, ------। , তারপর যদি তোমার মৃত্যু হয় তাহলে ফিৎরাত তথা ইসলামের উপর তার মৃত্যু হবে।
ঘুম থেকে উঠার সময় এই দুঅ’া পাঠ করবে।
اَلْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا وَإِلَيْهِ النُّشُوْرُ .
উচ্চারণঃ আলহামদু লিল্লাহিল্লাযী আহয়ানা ব’াদা মা আমাতানা ওয়া ইলাইহিন নুশুর।
অর্থঃ সেই আল্লাহর সমস্ত প্রশংসা যিনি আমাদেরকে জীবিত করেছেন মৃত্যুর (ঘুমের) পরে, আর তার দিকেই আমাদের প্রত্যাবর্তন করতে হবে।
দলীলঃ আবু যার (রাঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যখন ঘুম থেকে জাগ্রত হতেন তখন বলতেনঃ ‘আলহামদু লিল্লাহিল্লাযী আহয়ানা ব’াদা মা আমাতানা--’ ।
হুযাইফা (রাঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যখন ঘুম থেকে জাগ্রত হতেন তখন বলতেনঃ ‘আলহামদু লিল্লাহিল্লাযী আহয়ানা ব’াদা মা আমাতানা------’।
ঘুম থেকে উঠার পর এই দুআ পড়বে-
لا إلهَ إلاّ اللّهُ وَحْـدَهُ لا شَـريكَ له، لهُ المُلـكُ ولهُ الحَمـد، وهوَ على كلّ شيءٍ قدير، سُـبْحانَ اللهِ، والحمْـدُ لله ، ولا إلهَ إلاّ اللهُ واللهُ أكبَر، وَلا حَولَ وَلا قوّة إلاّ باللّهِ العليّ العظيم. رَبِّ اغْفرْ لي.
উচ্চারণঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুওয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর।
সুবহানাল্লাহি, ওয়াল হামদু লিল্লাহ, ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার। ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আযীম। রাব্বিগফিরলী।
অর্থঃ আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন মাবুদ নেই। তিনি একক, তার কোন শরীক নেই।
রাজত্ব ও তাঁর এবং প্রসংশাও তাঁরই জন্যে। তিনি প্রত্যেক বস্তুও উপর শক্তিশালী। আল্লাহ পবিত্র, আল্লাহরই জন্য সমস্ত প্রশংসা, আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন মাবুদ নেই এবং আল্লাহ অতি মহান। আর আল্লাহর সাহায্য ব্যতীত ভাল কাজা করা এবং পাপ থেকে দুরে থাকার কোন শক্তি আমাদের নেই। হে আমার প্রভূ আমাকে ক্ষমা কর।
দলীলঃ উবাদাহ ইবন ছামিত (রাঃ) বলেনঃ রাসূল কারীম (সাঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ঘুম থেকে উঠে বলবে- ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ------। ’ তারপর সে যা দুঅ’া করবে তা আল্লাহ তাঅ’ালা কবুল করবেন। আর যদি নামায পড়ে তাও আল্লাহ তাআলা কবুল করবেন।
ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে একবার এই দুঅ’া পড়বে-
الحمدُ للهِ الذي عافاني في جَسَدي وَرَدّ عَليّ روحي وَأَذِنَ لي بِذِكْرِه .
উচ্চারণঃ আল হামদু লিল্লাহিল্লাযী আফানী ফী জাসাদী ওয়া রাদ্দা আলাইয়া রূহী ওয়া আযিনা লী বিযিকরিহী।
অর্থঃ সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহর জন্য যিনি আমার শরীরে আমাকে শান্তি দিয়েছেন এবং আমার রূহ আমাকে পুনরায় ফিরিয়ে দিয়েছেন এবং আমাকে তাঁর যিকিরের অনুমতি দিয়েছেন।
দলীলঃ আবুহুরাইরা (রাঃ) বলেনঃ রাসূল কারীম (সাঃ) বলেছেনঃ যখন তোমাদের কেউ ঘুম থেকে উঠবে তখন বলবে- ‘আল হামদু লিল্লাহিল্লাযী আফানী ফী জাসাদী ওয়া রাদ্দা আলাইয়া রূহী ওয়া আযিনা লী বিযিকরিহী ’।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।