ডাক্তারের ডায়েট চার্ট অনুযায়ী ভারী খাবার খেয়ে নেওয়া হয় সন্ধ্যারাতেই। তাহলে কেন ঘুমের আগে হালকা নাশতা করার কথা বলা হয়? এর পিছনে হয়ত একটাই যুক্তি থাকতে পারে। আর তা হল মাঝরাতে যেন ক্ষুধায় ঘুম না ভাঙে। ঘুমানোর আগে অল্প কিছু খেয়ে ঘুমালে ক্ষুধায় ঘুম ভেঙ্গে যাবার সম্ভাবনা কম থাকে। কিন্তু এগুলো খেলে যে আপনার চোখে ঘুম আসবে এমন ধারনা ভুল।
দুধ, ভেষজ চা- এ ধরনের প্রাকৃতিক সব উপাদান আপনার শরীর শিথিল করতে সাহায্য করবে বটে, কিন্তু তার ফলে ঘুম আসবে কিনা তা নিশ্চিত করে বলা যায় না।
দুধের সাথে বিস্কিট বা রুটি, রুটির ওপরে পিনাট বাটার, পনিরের সাথে রুটি বা বিস্কুট হলো ঘুম আনার জন্য উপযুক্ত খাবার। এটা অনেকেরই ধারণা। কিন্তু এই ধারনার কারন হয়ত কেউ জানে না। এর পেছনে যুক্তি হলো, ট্রিপটোফ্যান নামের এক ধরনের অ্যামিনো এসিড আমাদের ঘুম পাড়ানোর জন্য উপযুক্ত।
এই ট্রিপটোফ্যান আসে আমিষ জাতীয় খাবার থেকে, যেমন দুধ, পিনাট বাটার এবং পনির। এদের সাথে বিস্কিট বা রুটি থাকলে ভালো কারণ তা মস্তিষ্কে এই ট্রিপটোফ্যান শোষিত হতে সাহায্য করে।
ট্রিপটোফ্যানের এই ঘুমপাড়ানি প্রভাবের ওপরে গবেষণা করে দেখা যায়, কমপক্ষে ১৫ গ্রাম ট্রিপটোফ্যান না থাকলে ঘুমের এই প্রভাব কার্যকর হয় না। আর এতখানি ট্রিপটোফ্যান পাওয়ার জন্য এক গ্লাস দুধ আর কয়েকটা বিস্কিটের হালকা নাশতা মোটেই পর্যাপ্ত নয়।
কী খাবেন, কী এড়িয়ে চলবেন
কিছু খাবার আছে যা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়।
ঘুম ভালো হবার জন্য কী খাবেন তা জানার চাইতে বেশি জরুরী হলো কী খাবেন না, সেটা জেনে রাখা। এগুলো হলো- উচ্চমাত্রায় চর্বিযুক্ত খাবার, রসুন দেওয়া এবং বেশি মশলা দেওয়া খাবার, অ্যালকোহল, চা/কফি এবং ক্যাফেইন জাতীয় সব পানীয়।
জেনে নিন ঘুম ভালো হওয়ার কিছু টিপস:
১. প্রতি দিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যান এবং ঘুম থেকে উঠুন। ছুটির দিনেও এই নিয়ম বজায় রাখুন।
২. দিনের বেলায় বেশি ঘুমাবেন না।
দিনে বেশি ঘুমালে রাতে ঘুম এমনিতেই কম হবে।
৩. নিয়মিত ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। তবে ঘুমাতে যাবার কমপক্ষে তিন ঘণ্টা আগে ব্যায়াম শেষ করুন।
৪. ধূমপান থেকে বিরত থাকুন।
৫. ঘুমানোর ঘরের পরিবেশ যেন আরামদায়ক হয় তার দিকে লক্ষ্য রাখুন।
৬. ঘুমানোর আগে নির্দিষ্ট কিছু কাজের রুটিন ঠিক করুন। এতে আপনার শরীর বুঝতে পারবে ঘুমানোর সময় আসছে এবং সে নিজেই প্রস্তুত হয়ে যাবে।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।