পাওয়ার অব পিপল স্ট্রংগার দেন দি পিপল ইন পাওয়ার। http://mhcairo.blogspot.com/
প্রাচীন মিশরের ফারাও তুতেনখামেনের 'রত্নভান্ডার' চাক্ষুষ করার দূর্লভ সুযোগ আসছে এবার ভারতীয়দের সামনে। যিশুর জন্মের ২৩০০ বছরেরও আগে নীল নদের দেশে রাজত্ন করা তুতেনখামেনের সমাধির সংগে উদ্ধার হওয়া অমূল্য প্রত্নসামগ্রী ও বিপুল রত্নরাজির একটা বড় অংশ নিয়ে জমকালো একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হচ্ছে ভারতে।
বালক-রাজা তুতেনখামেনের মিশরে রাজত্ব করেছিল খ্রিস্টপূর্ব ১৩২৩ থেকে ১৩৪১ পর্যন্ত। কিন্তু গত শতকে প্রাচীন পিরামিডের অন্ধকার থেকে তার ঐশ্বর্যময় সমাদি আবিস্কারের পর সারা পৃথিবী জুড়ে তুতেনখামেন সম্পর্কে আগ্রহ বেড়ে যায় মানুষের।
১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত 'তুতেনখামনের রত্নভান্ডার' সারা পৃথিবীতে ঘুড়ানো হত। সে সময় দেশে দেশে প্রতিটি প্রদর্শনীতে ভিড় উপচে পড়ত।
ভারতে নিযুক্ত মিশরীয় রাস্ট্রদূত বলেন, আমরা মুবারক-বিরুধী বিক্ষোভের সময় পর্যটকদের নিরুৎসাহিত করেছিলাম। কিন্তু নতুন মিশরে পর্যটকদের আবার স্বাগত জানাচ্ছি। এবার তারা পিরামিডের সাথে নতুন একটা ঐতিহাসিক নমুনা দেখতে পাবেন।
তাহরির স্কোয়ার। নতুন মিশরের জন্মস্থল।
মিশরের পর্যটন বিভাগের পরিসংখ্যান বলেছে, গত বছরে ১ লক্ষ ১৪ হাজার ভারতীয় পর্যটক এসেছে নীল নদের দেশে। তারা সামনে আরো বেশি পর্যটক আশা করছেন এশীয় অন্চল সমূহ থেকে।
তবে ঠিক কোন কোন প্রত্নসামগ্রী ভারতে আসবে সেটা নিয়ে নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্চে না।
কারণ তুতেনখামেনের মমীর সংগে ভু সামগ্রীও উদ্ধার হয়েছে। কায়রোর জাতীয় মিউজিয়ামে ১লক্ষ ২০ হাজারের বেশি প্রত্নসামগ্রী আছে। তার মধ্যে কী কী এবং কতগুলো সামগ্রী ভারতে আসবে সেটা এখনও নিশ্চিত হয়নি। ভারত চায় তুতেনখামেনের মমির সোনার মুখোশটাও প্রদর্শনীতে আসুক। এই মুখোশ প্রাচীন মিশরের প্রতীক।
কিন্তু বাধ সাধছে মিশরের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের এক ঘোষণা। এই মুখোশকে 'অতিভংগুর'' বলে ঘোষনা করা হয়েছে। ফলে এতদূর আনাটা একটা সমস্যা। সব সমস্যা কাটিয়ে ফল কী দাঁড়াবে তার জন্য ভারতীয়দের আরো মাস কয়েক অপেক্ষা করতে হবে।
তার পরও যা আসছে তার জন্যই অপেক্ষার দিন গননা শুরু করছেন ভারতের ইতিহাস প্রেমিকরা।
ভারত সরকারও এই সমস্ত সামগ্রীর সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যাবস্থা করবেন বলেও ঘোষনা দিয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।