জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২১ ফেব্র“য়ারির প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শত শত পুলিশের সামনে মীর মশাররফ হোসেন হলের এক ছাত্রকে ছাত্রদল কর্মী বানিয়ে মারপিট করেছে ছাত্রদল থেকে ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারী ছাত্রলীগনেতা আজগর আলী। এতে শহীদ মিনারে ফুল দিতে আসা শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার রাত ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের ছাত্র তৌকির (অর্থনীতি বিভাগ, ৩৮ তম ব্যাচ) শহীদ মিনারে ফুল দিতে আসলে ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সরকার আজগর আলী (ছাত্রলীগ থেকে বহিস্কৃত) তাকে ছাত্রদল কর্মী বলে গালাগাল করে এবং এক পর্যায়ে মারপিট শুরু করে। এসময় তার সাথে থাকা ছাত্রলীগের কর্মীরাও মার পিট শুরু করে। শহীদ মিনারের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা শত শত পুলিশ তখন নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্তা ব্যক্তিরা এসময় শহীদ মিনার এলাকায় উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সরকার আজগর আলী নিজে মওলানা ভাসানী হল শাখা ছাত্র দলের ২০০৫ সালের কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। পরে ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশ করে ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক পদ পান। এবং বর্তমানে ছাত্রলীগ থেকে বহিস্কৃত হয়েও একটি বিশেষ মহলের সহায়তায় ক্যাম্পাসের আধিপত্য নিয়েছে।
মারপিটের শিকার তৌকির বলেন, আমি শহীদ মিনারে ফুল দিতে গেলে আজগর ভাই আমাকে ছাত্রদল কর্মী বলে চর থাপ্পর মারতে শুরু করে।
এ সময় তার সাথে থাকা অন্যরাও আমাকে কিল ঘুসি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে শহীদ মিনারের পাশে পড়ে গেলেও নির্মম ভাবে আমাকে মারপিট করে। তিনি বলেন, আমি কোন দিনও ছাত্র দল করিনি, হলে ছাত্রলীগের সকল বিষয়ে অংশ নেই।
মীর মশাররফ হোসেন হলের ছাত্রলীগ নেতা শরীফুল ইসলাম বলেন, “তৌকির ছাত্রলীগের একনিষ্ট কর্মী। ওকে ছাত্রদল বলে মারপিট করারর ঘটনার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে বিচার দাবি করছি”।
আজগর আলী মারপিটের ঘটনা স্বীকার করে বলেন, তৌকির স্থানীয় ছাত্রদলের সাথে যুক্ত।
এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেন, প্রতিটি ছাত্রের শহীদ মিনারে ফুল দেয়ার অধিকার আছে। ছাত্রলীগের এসকল কর্মকাণ্ডের বিচার দাবি করেন তিনি।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. আরজু মিয়া বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
#...........................
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।