মানুষ মরেনা কখনো এখনকার পরিস্থিতিতে আর বলার অপেক্ষা রাখে না বাংলাদেশের প্রতিটি সাধারন নাগরিকের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার কি অবস্থা! দেশের সার্বিক পরিস্থিতি দেখে মনে হয় এই অবস্থা থেকে পরিত্রানের তেমন কোন স্বাভাবিক উপায় নেই। এখন জামায়াতের এ তান্ডবের কাছে কি আমরা পুরো জাতী জিম্মি হয়ে গেলাম? আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারিদের বিচার আমরা করতে পারবো না? গণধর্ষন, হত্যা, রাহাজানির কোন বিচার আমরা পাবো না? এত শক্ত আবরনে আচ্ছাদিত এই দুষ্কৃতিকারীরা? তাহলেতো আমাদের আর বাংলাদেশী হয়ে বেঁচে থাকায় কোন গৌরব রইলো না, আমরা পরাজিত একটা জাতী হিসেবে খুব শীঘ্রই আত্নপ্রকাশ করতে যাচ্ছি বলেই মনে হচ্ছে! আর এ দেশে তাহলে আইনের শাসন আর প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে না যদি এই সাম্প্রতিক রায়গুলো কার্যকর করা না যায়। কারন, এ রায় এবং বিচার যদি ভেস্তে যায়, তবে এটা প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে যে রাজনৈতিকভাবে সাংগঠনিক শক্তি যদি যথেষ্ট থাকে তবে যে কোন ভাবে একজন সর্বাত্নকভাবে প্রমাণীত অপরাধীকেও বাঁচানো যাবে। আর তার প্রেক্ষিতে আমাদের মত আম জনতার আর কখনো ন্যায়বিচার পাবার সম্ভাবনা থাকবে না, যদি সেই বিবাদি একজন রাজনৈতিক নেতা হয়। তবে হ্যাঁ, এখনো যে সবাই ন্যায়বিচার পাচ্ছে তা না। ন্যায়বিচার বাংলাদেশে টাকা আর ক্ষমতার কাছে বহু আগে থেকেই পরাজিত হয়ে রাস্তার মোড়ে মোড়ে ডুকড়ে কাঁদছে! কিন্তু এবার ক্ষমতার পক্ষে থেকেও ন্যায়বিচারকে হারতে হচ্ছে অপরাজনীতির কটুকচাল আর সাম্প্রদায়িক শক্তির কাছে। বর্তমান পরিস্থিতি থেকে মুক্তির উপায় মনে হয় একটিই হতে পারে, তা হচ্ছে জরুরী অবস্থা ঘোষনা - যা আমাদের বিরোধীদলের কাছে খুব আদরনীয় ও স্বাগত হবে। কারন, এর মাধ্যমেই শুধু তাদের তত্বাবধায়ক সরকারের পুনপ্রবর্তনের দাবীর বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। কিন্তু তাদের বিবেক বিষর্জিত মাথায় একবারও কি বিবেচনায় আসলনা যে, শিয়ালের কাছে মুরগি বর্গার ফলাফল কী হয়!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।