যারা আল্লাহ ও রাছুলদের প্রত্যাখ্যান করে এবং তাঁদের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করে-প্রকৃত পক্ষে ইহারাই কাফির এবং ইহাদের জন্য কঠিন লাঞ্চনাদায়ক শান্তি রয়েছে। [৪: ১৫০, ১৫১]
কোন র্ধম গ্রন্থই স্বয়ং আল্লাহ, ফরেস্তো এমনকি অধিকাংশ নবীগণও নিজ হাতে লিখেননী; লিখেছনে সাধারণ মানুষ, আর মানুষ কোনক্রমেই ভুলের উর্দ্ধে নয় বা হতে পারে না।
আমরা যারা হাদীসকে বিশ্বাস করি; বিশেষ করে বোখারী শরীফকে সহীহ বলে দাবী করি তারা কি জানি; হাদীস কিভাবে সংগ্রহ হয়েছে? হাদীস কেবলী অনুমানের উপর বিশ্বাস করে রচিত হয়েছে। অবশ্য আল্লাহ কোরআনে বলেছেন অনুমানের উপর ভিত্তি করে কোন কথা বলা বড় অপরাধ। অনুমান গুনাহ্ র কাজ এই অনুমান সম্বন্ধে সূরা ইউনুস ১০:৩৬ আয়াতে আল্লাহ্ বলেন
وَمَا يَتَّبِعُ أَكْثَرُهُمْ إِلاَّ ظَنًّا إَنَّ الظَّنَّ لاَ يُغْنِي مِنَ الْحَقِّ شَيْئًا إِنَّ اللّهَ عَلَيمٌ بِمَا يَفْعَلُونَ
অর্থঃ বস্তুতঃ তাদের অধিকাংশই শুধু আন্দাজ-অনুমানের উপর চলে, অথচ আন্দাজ-অনুমান সত্যের বেলায় কোন কাজেই আসে না।
আল্লাহ ভাল করেই জানেন, তারা যা কিছু করে।
কেবল রাসুল (সা) মূখে থেকে শুনে সঙ্গে সঙ্গে সাহাবাদের দ্বারা বিভিন্ন পাথর,ফলক,গাছের বাকল বা চামড়ায় লিখিত আকারে যে গ্রন্থটি লিপি বদ্ধ হয়েছে সেটি হলো পবিত্র কোরআন। হাদীস রাসুলের মূখে থেকে শুনে কোন সময়'ই লিপি বদ্ধ হয় নাই। ইতিহাস তা বলে না। বরং রাসুল (সা)এর মৃত্যুর বহু বছর পর তা মানুষের মূখে থেকে শুনে সংগ্রহ করে লিখা হয়েছে।
তাহলে এবার আপনারাই বলেন কিসের ভিত্তিতে আমরা হাদীসকে সহীহ বলছি? সময় থাকতে আমাদের জান্তে হবে প্রকৃত ইতিহাস। আর তা না হলে সোয়াবের চায়তে গুনাহ্ বাড়তে থাকবে জীবনের প্রতিক্ষনে ক্ষনে। আল্লাহ্ আমাদের সঠিক পথে চলার তৌফিক দিন---আমেন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।