জামাতকে নিষিদ্ধ করা হলে তারা আন্ডার গ্রাউন্ডে চলে যাবে না তো?
এ দেশের তৃতীয় বৃহৎম রাজনৈতিক শক্তি হল জামাতে ইসলাম বাংলাদেশ। যুদ্ধাপরাধের দায়ে দলটির কিছু নেতার বিচার চলছে, সেই সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে দেশের সহিংসতা। কিন্তু সর্বশেষ জামাতে ইসলামকে নিষিদ্ধ করার যে প্রক্রিয়া চলছে এবং এর ফলে কেবল ঢাকাতেই কোন কর্মসূচি বা হরতাল ছাড়া যে পরিমান গাড়ী ভাংচুর হয়েছে তা শিউরে উঠার মত। জামাত একটি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ রাজনৈতিক সংগঠন। তাদের যেমন অর্থনৈতিক পিছু টান নেই, নেই তাদের দলে উচ্চ শিক্ষিত মানুষের অভাবও।
নিষিদ্ধ ঘোষিত অপরাপর জঙ্গী সংগঠনের মত নয় জামাতে ইসলাম। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে জামাতে ইসলামকে নিষিদ্ধ করার ফলে তারা যদি আন্ডার গ্রাউন্ডে চলে যায়, জঙ্গীপনার পথ বেচে নেয়, এখন থেকে আরো বেশি সহিংসতার দিকে যায় এবং তাদের অর্থনৈতিক শক্তি ও মেধাকে এ কাজে ব্যবহার করে, আওয়ামী সরকার কি পারবে তা মোকাবিলা করতে?
বর্তমান পাকিস্তানের কথা একটু চিন্তা করুন....। তালেবানদের পাকিস্তান সরকার শুরু থেকেই আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে আসছিল, তারা যথেষ্ট শক্তি অর্জন করল। একটা সময়ে এসে সরকার তাদের নিষিদ্ধ করতে বাধ্য হয়। ফলশ্রুতিতে পাকিস্তানে এখন কি হচ্ছে? এমন কোন দিন নেই যেদিন আত্মঘাতি বোমা হমলায় কেউ না কেউ মারা যাচ্ছে, আহত হচ্ছে, সারা জীবন পঙ্গুত্বের অভিশাপ বয়ে বেরাচ্ছে।
সেখানে মন্ত্রী থেকে শুরু করে সাধারন মানুষের জীবনের কোন নিরাপত্তা নেই। পাকিস্তানের বে নজির ভু্ট্টো ও এই জঙ্গী হামলার শীকার হয়ে প্রাণ দিলেন। জামাত-শিবির কে নিষিদ্ধ করা হলে তারা ও যে এমন কিছু করবে না তার কোন গ্যারান্টি আছে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।