আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জামাতকে মুসলিমরা প্রত্যাখান করেছে

জীবন এক প্রবাহমান নদী, এখানে দু:খগুলো ভাটার মত, যা বাধ দিয়ে সংরক্ষনও করতে পারেন আবার জোয়ারের অপেক্ষায় ধৈর্যও ধরতে পারেন । শাহবাগে উপস্থিত লোকেরা যদি নাস্তিক এবং ফ্যাসিবাদী হয় তাহলে এর জন্যে জামায়াত ইসলামী’ই দায়ী । ১৯৭১ এ ধর্মকে ব্যবহার করে ওরা নিজেদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যে যা করেছে তা’ই বাংলাদেশের মানুষকে ধর্মবিমুখ করার জন্যে যথেষ্ঠ । এরপর গত সরকারের আমলে তাদের কর্মকান্ডের কথা যদি আমলে নেওয়া হয় তাহলে দেখবেন সেখানে বোমাবাজি,জঙ্গিবাদের উথান,অস্ত্র চোরাচালান,হেরোইন চোরাচালান , নিষিদ্ধ সুদের ব্যবসাকে ধর্মের নামে প্রচলন এবং তাদের নেতাদের বাড়ির পুকুর থেকে ত্রানের টিন উদ্ধার হওয়া ইত্যাদী,ইত্যাদী । আমাদের তথাকথিত ইসলামিক দলের যদি এই অবস্থা হয় তা দেখে তরুন প্রজন্ম যদি ইসলাম বিদ্বেষী হয়ে যায় , তাহলে এর জন্যে দায়ী কে ? অবশ্যই জামায়াত ।

তারা যদি সত্যিকারের ইসলামিক দল হতো তা হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লগ্নেরও আগে থেকে রাজনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়েও ৯০ % মুসলিম মানুষের দেশে তাদের এই দশা হতো না । কোন মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট দেশের সিংহভাগ মানুষ যখন একমাত্র (?) ইসলামিক দল নিষিদ্ধের দাবীতে একাত্নতা পোষন করে , তখন আর যায় হোক এটাকে ইসলামিক দল বলা যায় না । আজকের গন মানুষের প্রানের দাবী হলো জামাতকে নিষিদ্ধ করা হোক,তাদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে জাতীয়করন করা হোক, তাদের শীর্ষ নেতাদের ফাসী দেওয়া হোক ইত্যাদী, ইত্যাদী । তাই এরই প্রেক্ষিতে বলতে হয় মানুষ জামায়াত ইসলামীকে ইসলামিক দল হিসেবে প্রত্যাখান করেছে । নিজেদের বাচাতে যতই জামাতী মিডিয়া এইটাকে নাস্তিক-ফ্যাসীবাদী আন্দোলন বলুক না কেন তাতে কেউ বিশ্বাস স্থাপন করবে না ।

কেননা এই আন্দোলনের সাথে গনমানুষ ঔতপৈাত ভাবে জড়িয়ে রয়েছেন.... এই জন সমুদ্রের সাথে স্কুলছাত্র, ক্রিকেটার,প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বড় বড় মাওলানারা পর্যন্ত প্রতিনিয়ত একাত্নতা ঘোষনা করে চলেছেন । এই একাত্নতা আলিঙ্গনের নয় প্রত্যাখানের । এখন জামায়াত এ সত্য যদি বুঝে নেয় তাহলে তা তাদের জন্যে ভালো হবে । তাদেরকে অবশ্যই বুঝতে হবে এ দেশের মানুষ আজ ধর্ম বিষয়ে অনেক বেশি সচেতন । এখানে ধর্ম বেচে আর খাওয়া যাবে না ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.