আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কোলকাতার দাদারা আমাদের ক্রিকেট নিয়ে কি লিখেছে পড়ুন

দ্রিমু য্রখন ত্রখন স্রবট্রাতেই দ্রিমু

লোটা-কম্বল ব্লগে এই লেখা পড়ার পর দাদাদের থাপড়াইতে মন চাইতাছে। সরাসরি কপি-পেস্ট করে দিলাম। কিরকেটের বিশ্বকাপ - দাদাভাই এসে গেল কিরকেটের বিশ্বকাপ। দাদা আর ভায়ের দেশ মিলেজুলেই আয়োজন করেছে। ঢাকার মানুষ কিছুদিন হল কিরকেট শিখেছে।

আর তারা হারিয়েও দিয়েছে বারদুয়েক দিল্লীকে। সুতরাং, ঢাকার মানুষ রাতারাতি হয়ে গেছে ক্রিকেট বিশারদ। বিশারদদের পত্রিকা থেকে ব্লগ - সর্বত্রই গোঁসা। আরে ধুর মিয়া ভারত কি কইর‌্যা টেস্টের এক নম্বর টিম হয়। ওয়ান ডে তে তো বাংলাদেশেরও নিচে থাকার কথা।

সেই টিম টাকার জোরে আই-সি-সির ওপর ছড়ি ঘুরিয়ে এক নম্বর। বলাই বাহুল্য এদের অধিকাংশই অবশ্য আই-সি-সির পয়েন্ট সিস্টেম সম্পর্কে কিছুই জানে না, যারা জানে তারাও চুপ থাকে। এদিকে ওই একই পয়েন্ট সিস্টেমে সাকিব আল হাসান বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার, সেই বিশেষণটা ওনারা নামের আগে জুড়তে ভোলেন না। ঢাকা থেইক্যা এক পোলা আগেরবারে আইল আইপিএল খ্যালতে। তো সেই মাশরাফির জায়গা হল না প্রথম এগারোয়।

দেশে আবার গোঁসা। আই-পি-এলে চারজন বিদেশী মাত্র খেলার সীমাবদ্ধতা রেখে ভারতীয় বোর্ড নাকি নাক উঁচু মনোভাবের পরিচয় দিয়েছে। দুই দিন পরে বাংলাদেশে টি-২০ লিগ শুরু হল, যাতে দলপিছু মাত্র দুইজন বিদেশী খেলতে পারবে। ঢাকার নাক যে দিল্লীর দ্বিগুণ উঁচু সেই খবর অবশ্য সকলে জানে না। এর সাথে এসেছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।

ঢাকার মাঠে বিশ্বকাপের উদ্বোধন। মাসখানেক আগে থেকেই শোনা গেল অনেক ভারতীয় শিল্পী আসবেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে। ভাল কথা, কিন্তু জ্বলে উঠল বাংলাদেশের ব্লগোসমাজ ও সাংবাদিকেরা। কেন ঢাকায় অনুষ্ঠান করতে মুম্বাইকরেরা? সামুতে অনেকদিন ধরে স্টিকি পোস্ট চলল। পোস্টে এত কমেন্ট যে পেজটা লোড হতেই মিনিট চলে যায়।

সবই ওই ভারতীয় সংষ্কৃতির আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানর কথা। এমনিতেই বলিউডের সংষ্কৃতি কতটা ভারতীয় সেটা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়, তবে এনারা সেসব শুনবেন না। ঢাকায় হল মানববন্ধন, অনেক লোকে জড়ো হয়ে হাতে হাত মিলিয়ে শপথ নিয়েছে ভারতীয় সংষ্কৃতির আগ্রাসনের কবল থেকে দেশকে বাঁচানোর জন্য। কিন্তু ও হরি। বাংলাদেশের কিছু মুখপোড়া পত্রিকা হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিয়েছে।

বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিন দেশের শিল্পীদের অনুষ্ঠানই থাকবে। বাংলাদেশ হোস্ট বলে তাদের অনুষ্ঠানই নাকি বেশী করে থাকবে। আর বলিউডের অনেক শিল্পীই আসছেন বটে ঢাকায়, কিন্তু তারা থাকবেন দর্শকাসনে। আহা, মানববন্ধনের কি পরিণতি। মানুষের সময়ের দাম নেই, বোঝা যায়।

এর মধ্যে আবার গোদের ওপর বিষফোঁড়া। এদিকে তো শাহরুখের শো দেখতে ঢাকায় স্টেডিয়াম উপচে পড়ে। ওদিকে, বিশ্বকাপে বাংলাদেশের জন্য একটি থিম সঙ্গীত গেয়েছেন আরেফিন (নাকি মরফিন) রুমির ব্যান্ড দুরবীন। তা সেই দূরবীন একটা সুন্দর গান গেয়েছে বটে কিন্তু সম্প্রতি দেখা গেছে এই গানের সুরের সাথে তামিল জনপ্রিয় একটি গানের হুবহু নাকি মিল। বাংলাদেশের গায়ক সুরকাররা আজকাল ভারতীয় "অপ"সংষ্কৃতির কপিও দারুণ নামাচ্ছেন।

তাও আবার সেই বিশ্বকাপের বাংলাদেশের থিম সং হিসাবেই আসছে। দুদিন আগে ছিল ভারতীয় "অপ"সংষ্কৃতির আগ্রাসন, এখন হয়ে গেল কপি। যাব্বাবা, ছিল বেড়াল হয়ে গেল রুমাল। একেই কি বলে ফাঁকা কলসি বেশী বাজে? এইবারে সূরগুলো দিই - সামুর স্টিকি আর মানববন্ধন - Click This Link ফেসবুক গ্রুপ - Click This Link নকলনবিশি - Click This Link ================================== লেখার ওপর কয়েকটি কমেন্টসঃ ১। প্রথমে বলি,আমি একজন বাংলাদেশী এবং ধর্মে সনাতন ধর্মাবলম্বী।

সেই ১৯৯২ থেকে ক্রিক্রেট বুঝতে পারার পর থেকেই ভারতের সাপোর্টার। বাংলাদেশ তখনও সহযোগী সদস্য। তবু,সেইসময় এমসিসি,বিভিন্ন দেশের এ,বি দল ঢাকায় আসত খেলতে। আমি রেডিওতে শুনতাম অখাদ্য ধারাবিবরনী। বাংলাদেশের কমেন্টেটররা সুপার অলরাউন্ডার।

তারা বিশ্বের এমন কোনো খেলা নেই যাতে কমেন্ট্রী করতে অক্ষম। আর কোয়ালিটি? বল কখনও কখনও মাটি কামড়ে ছয় হয়ে যায়!!!! তো,সেই আমি ১৯৯৯ বিশ্বকাপে দেশের হয়ে মন থেকেই ভাল চাইলাম,নান্নু যখন ভাল খেলল,খুবই আনন্দ পেলাম। আমার ১ম দল হল বাংলাদেশ। এরপর এল ২০০১ সাল। বাংলাদেশে একটি দলকে ভোট দেওয়ার অপরাধে কি শাস্তি পেতে হয়,তা দেখলাম।

নিজে শাস্তি পেলাম। মনের মধ্যে পরিবর্তন ঘটে গেল। এখনও বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাফল্যে আনন্দিত হই,গতকালও ৩০০ হাত পতাকা নিয়ে মিছিল করে আসলাম। কিন্তু এখন আমার প্রথম পছন্দ ধোনি এন্ড কোং। প্রথম ম্যাচ যেহেতু আমার ১নং আর ২ নং দলের সাথে,খুব বড় ব্যবধানে ভারত না জিতলে খুশী হব।

আর বাংলাদেশের কিছু সমর্থক যে ধর্মের ভিত্তিতে ভারতকে নিয়ে প্রলাপ বকবে,এতে আশ্চর্যার্নিত হওয়ার কিছু নেই। এদের কাছে ভারত মানেই দাদাবাবু,ধুতি পরা হিন্দুর দল,ঘটির ঘাঁটি। এদের লাগামছাড়া ভারতবিদ্বেষ দেখলে মাঝে মাঝে বাংলাদেশের সাপোর্ট করতে আর ইচ্ছা করে না। তবে প্রথম খেলায় আমি মোটামুটি ৬০-৪০। বাজেভাবে না হারলেই হলো।

আর হিন্দী সংস্কৃতি নিয়ে যে মেক্সিকান ঘরজামাই ব্লগ গরম করেন,তিনি নিজেই একটা পোষ্ট দিয়েছিলেন হিন্দী এক সিনেমার ডায়ালগ দিয়ে শুরু করে। কুষ্টিয়ার লালন আখড়ায় এবার বেজেছে 'মুন্নী বদনাম হুই'। সবখানেতেই বিবর্তন। যেটা আকর্ষনীয়,জয় তারই হবে। ঘটিবাটি যতই ধোয়া হোক না কেন,নিজের পাত ময়লা হবেই।

২। হাঃ হাঃ... সামহোয়ারে চোখ রাখুন। আজকে সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়েছে আবারো নতুন মজা। নাগরিক ব্লগে একমাস ধরে কাউন্টডাউন হচ্ছিল। “অপমানের আশঙ্কায়”।

ভারতীয়রা নাকি বিশ্বকাপ উপলক্ষে উনাদের ইয়ে মারতে চাইছেন। বাংলাদেশ এর সুর্য সেনকে নিয়ে ভারতীয় মালোয়ান গুলো কেন ফ্লিম বানাবে তা নিয়েও গালাগালি করা যায়। একজন প্রধানমন্ত্রীও বছরে চারবার কেক কেটে জন্মদিন পালন করেন রাজনীতি করতে। সরাসরি লিঙ্ক এইখানে

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.