পোস্ট পইড়া ভাল লাগলে কম্পুর স্ক্রীন চাটবেন, কামে দিব...
২০২৭ সাল। এখন বাংলাদেশ বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। তবে এই দেশটি পৃথিবীর বুকে উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে স্থান করে নিয়েছে বেশিদিন হচ্ছে না। অল্প কয়দিনের মধ্যে এই দেশের যে বিস্ময়কর উন্নতি, তার কর্ণধার প্রেসিডেন্ট আবদুল মুতাকাব্বির জুলকারনাইন। বয়সে তিনি তরুণ, মাত্র ২৯ বছর তার বয়স।
২৯ বছর বয়স প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য বাংলাদেশের সংবিধান অনুসারে যথেষ্ট নয়, কিন্তু তিনি আসলে ক্ষমতা দখল করেছেন। যদিও তিনি ক্ষমতায় এসেছেন সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে, কিন্তু যতই সময় এগুচ্ছে, তার জনপ্রিয়তা ততই বাড়ছে। প্রত্যেকটি ধাপেই তিনি পরিচয় দিচ্ছেন প্রকৃত স্বদেশপ্রেমিকের। এখন ঢাকা শহরে নেই কোন যানজট, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত। অবশ্য ঢাকা এখন আর বাংলাদেশের রাজধানী নয়, বাংলাদেশের রাজধানী এখন চট্টগ্রাম।
দুটো শহরেই এখন সবকিছু ঝকঝকে, যা প্রকৃতপক্ষে পুরো বাংলাদেশের চিত্র হাইলাইট করে।
দেশের তরুণ বিজ্ঞানী, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মিসবাহ আহমেদ গত বছর ২০২৬ সালে ম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরির মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যে কোন বস্তুর অবস্থান পাল্টানোর উপায় আবিষ্কার করেছেন। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে চোখের পলকে কোন একটি বস্তুকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায়। প্রযুক্তিটা এভাবে কাজ করেঃ
পৃথিবীতে আমরা বস্তুগত যা কিছু দেখি সবই ত্রিমাত্রিক। এর দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা; এই তিনটি মাত্রা রয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে আমাদের আরও একটি মাত্রা রয়েছে এবং তা হল সময়। আমাদের ক্ষেত্রে এই মাত্রাটি সাধারণত স্থির থাকে বলে আমাদের চতুর্মাত্রিক না ধরে ত্রিমাত্রিক ধরা হয়। বিজ্ঞানী আলবার্ট আইন্সটাইন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে একটি সুত্র দিয়েছিলেন; কোন বস্তুর উপর যদি শক্তিশালী ম্যাগনেটিক ফিল্ড সৃষ্টি করা হয় তাহলে বস্তুটির চতুর্থ মাত্রাটি পরিবর্তিত হয়ে যাবে এবং এই কারণে বস্তুটি ঐ স্থান থেকে হারিয়ে যাবে। আজ থেকে চার বছর আগে বাংলাদেশেরই একজন পদার্থবিজ্ঞানী মুহাম্মদ ওমর ফারুক বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলে এরকম ম্যাগনেটিক ফিল্ডের অস্তিত্ব নিশ্চিত করেছেন এবং আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সংস্থা ঐখানে কোন কিছু গেলে তা অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে এটাকেই দায়ী করেছে। বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলে হারিয়ে যাওয়া বস্তু কোথায় যায় তা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করা যায়নি, কিন্তু কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট চৌম্বকক্ষেত্রে হারিয়ে যাওয়া বস্তুটির অবস্থান নির্ণয় করতে সমর্থ হয়েছেন বিজ্ঞানী মিসবাহ আহমেদ।
একই সাথে তিনি আরও কয়েকজন বাংলাদেশী বিজ্ঞানীর সাথে আগে থেকে ঐ বস্তুটির অবস্থান নির্ধারণ করে দেওয়ার প্রক্রিয়া আবিষ্কার করেছেন।
বাংলাদেশ পরমাণু শক্তিতেও ক্রমাগত এগিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে কাজ করছেন বাংলাদেশের তরুণ পরমাণু বিজ্ঞানী আহমেদ সাঈদ। এটি বন্ধের জন্য পশ্চিমাবিশ্ব থেকে বাংলাদেশকে প্রচণ্ড চাপ দেওয়া হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সাথে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছিল কিন্তু প্রেসিডেন্ট জুলকারনাইন তা তাচ্ছিল্যের সাথে প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং তিনি বাংলাদেশের কোন বিষয়ে ভবিষ্যতে নাক না গলানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে পশ্চিমাবিশ্বের জন্য হুমকি স্বরূপ বলে পশ্চিমের সব দেশকে একত্রিত করেছে। তাদের পক্ষ থেকে জুলকারনাইনকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। জুলকারনাইন ক্ষমতা থেকে সরবেন না জানানোয় বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ এখন অনিবার্য।
বাংলাদেশ তাদের জল, স্থল ও আকাশ সীমায় গোপনে চৌম্বকক্ষেত্র তৈরি করে রেখেছে। বাংলাদেশে প্রবেশ করতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে চৌম্বকক্ষেত্রের মধ্যদিয়েই প্রবেশ করতে হবে।
ফলে ঐ স্থান থেকে তাদের যুদ্ধযান সরে যাবে নির্ধারিত স্থানে, যেখানে আগে থেকেই প্রচুর সৈন্য মোতায়েন করে রেখেছেন প্রেসিডেন্ট জুলকারনাইন।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ‘ব্যবস্থা’ নেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র এগুতে শুরু করেছে। তারা অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যুদ্ধজাহাজ ও বিমান নিয়ে বাংলাদেশের বিশ্বাসঘাতক প্রতিবেশী দেশ ভারতে সৈন্য সমাবেশ করেছে। ৩০ নভেম্বর তারা প্রথমবার যেই বর্ডার ক্রস করে বাংলাদেশে প্রবেশ করে, সাথে সাথে তারা তাদের সব যুদ্ধযান উপর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলে। তাদের যুদ্ধযান বাংলাদেশের নির্ধারণ করে রাখা স্থানে চলে আসে।
বাংলাদেশের সৈন্যরা তাদেরকে আটক করে ও যুদ্ধযানগুলো দখল করে নেয়। পরে তারা আবারো বাংলাদেশে প্রবেশের প্রচেষ্টা চালায়। কিন্তু আবারো একই ঘটনা। তাদের সৈন্যরা বাংলাদেশে এক রাউন্ড গুলিও ছুড়তে পারল না। পরে আর উপায় না দেখে তারা কম শক্তির পারমানবিক বোমা নিয়ে বাংলাদেশের আকাশ সীমায় যুদ্ধবিমান পাঠায়।
সীমান্ত অতিক্রমের সাথে সাথে তাদের যুদ্ধবিমান গুলোও পরমাণুঅস্ত্র সহ বন্দী হয়ে যায়। কিন্তু বাংলাদেশ সীমান্তের নির্দিষ্ট স্থানের ম্যাগনেটিক ফিল্ডে interval দিয়ে তাদের দিকে মিসাইল নিক্ষেপ করতে শুরু করলে তাদের অবস্থা চরম আকার ধারন করে।
অবস্থা বেগতিক দেখে তারা আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়, বাংলাদেশের হাতে পতন ঘটে সাম্রাজ্যবাদী যুক্তরাষ্ট্রের। আল্লাহর নির্দেশে এক জুলকারনাইন অত্যাচারী ইয়াজুজ-মা'জুজকে বন্দী করেছিলেন যা এখনো বন্দী, আরেক জুলকারনাইনের হাতে পতন ঘটে দজ্জালের অনুসারী(ক'দিন আগে শুনলাম ওরা নাকি দজ্জালকে গড মানে), সাম্রাজ্যবাদী একটি জাতির, যারা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী ও যত যুদ্ধবিগ্রহের মূল কারণ।
[কাল্পনিক, তবে কল্পনাটি বাস্তব রূপ পাওয়া অসম্ভব কিছু নয়]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।