আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ক্ষেত্র দিয়েই সবকিছুর সৃষ্টি আর ঈশ্বরের অনুপস্হিতি। পুচকীশদের জন্য পার্টিক্যাল ফিজিক্স

আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!

অনেকদিন ধরে লকারে পড়ে আছে দুটো পুরোনো ঘড়ি, চলছে না আর। ভেতরের স্টেপার মটর আর কাজ করছে না বলেই এই ঘড়ি ঠিক করার দিকে মন নেই কারো। হঠাৎ নিজেকে ইন্জ্ঞিনিয়ারের চেয়ারে বসিয়ে খুজতে বসলেন ঘড়ির ভেতরে কি আছে যা দিয়ে সবাইকে নিখুত সময় বলে দেয়। ঘড়ি ভাংতে থাকলেন, কত শত গীয়ার, চাকা।

মাথায় কিছুই ঢুকছে না। এসব অর্থহীন অথবা দুর্বোধ্য কলকব্জা দিয়েই ঘড়ি তৈরী। বিকেলের চা খেতে বেরিয়ে গেলেন রহিম চাচার মুদীর দোকানে। রহমত সাহেবের ভিলা বাড়ি ভাঙ্গা হচ্ছে ২ সপ্তাহ ধরে। এই ভিলা বাড়িতে ছোটবেলা কত খেলেছেন আপনি।

এত সুন্দর বাড়ি সবসময় ভাবতেন কেই বা তৈরী করলো, কিভাবেই বা তৈরি হলো। ছোট ছোট ইটের ব্লক, সিমেন্ট রড সবকিছু জায়গা মতো তৈরী করা হয়েছিলো এই সুন্দর বাড়িটি। এখানে এখন তৈরী হবে বিশাল বড় এপার্টম্যান্ট বিল্ডিং। একই জিনিস দিয়ে তৈরী হবে কিন্তু গঠন হবে আলাদা। কারন তাদের সজ্জা আলাদা, তাদেরকে বিশেষভাবেই সজ্জা এবং পরিমান অনুসারে একের পিঠে এক বসিয়েই তো তৈরী করা হবে, তাই না? পার্টিক্যাল ফিজিক্স এমন একটা বিষয় যেটার মাধ্যমে আমরা জানতে পারি এই যে মহাবিশ্ব এটা কি দিয়ে তৈরী এবং কিভাবে তৈরী।

প্রতিদিন যখন আপনি বাসার বাইরে বেরিয়ে রহিম চাচার দোকানে চা খাবেন তখন দেখবেন রহমত চাচার ভিলা বাড়ি কি দিয়ে তৈরী হয়েছিলো এবং নতুন এপার্টম্যান্ট কিভাবে তৈরী হবে। পার্টিক্যাল ফিজিক্স সে ধারনারই জন্ম দেয়। দৃশ্যমান এবং অদৃশ্য (আলো, ডার্ক ম্যাটার ইত্যাদি) সবকিছুই এরকম কিছউ দিয়ে তৈরী। ১৮ শতক পর্যন্ত আমরা মনে করতাম পৃথিবীর সমস্ত কিছুই এই ম্যান্ডেলিফের পর্যায় স্মরনীতে থাকা মৌলিক পদার্থ দিয়েই তৈরী। এর উপর গড়ে উঠেছে ক্যামিস্ট্রি নামের অসাধারন একটা বিষয়, একটা প্রতিষ্ঠান।

যখন মানুষ আরও ভিতরে ঢুকতে লাগলো তখন মানুষ বুঝতে পারলো এসব মৌলিক পদার্থও কিছু না কিছু দিয়ে তৈরী। অনু, পরমানু, ইলেক্ট্রন, নিউক্লিয়াস, প্রোটন, নিউট্রন পাওয়া যায়। এসবের সাজ সজ্জা এবং পরিমানের উপর ভিত্তি করেই তো এই মৌলিক পদার্থ এবং আমাদের মহাবিশ্বের মধ্যে থাকা এত কিছু সবকিছুই এগুলো দিয়ে তৈরী। এর পর প্রযুক্তি আর মানুষের মেধার বিকাশের সাথে আমরা জানতে পারি আসলে এই মহাবিশ্ব শুধু পর্যায় স্মরনী দিয়ে আদৌ ব্যাখ্যা করা যায় না। এটাকে ব্যাখ্যা করার একমাত্র যে মডেল টি বিদ্যমান সেটা হলো স্ট্যান্ডার্ড মডেল।

দুয়েকটা ছোটখাটো প্রশ্ন ছাড়া প্রায় সকল প্রশ্নের নিখুত সমাধান দিয়েছে এই স্ট্যান্ডার্ড মডেল। স্ট্যান্ডার্ড মডেলে অন্তরীন যত কনিকা আছে তাদের ধর্ম বিন্যাস এবং সজ্জার রকমফের দিয়েই সৃষ্ট এত রকমের মৌলিক পদার্থ যার উপর ভিত্তি করে আছে এই মহাবিশ্বের এতরকম গঠন। মানুষ আরও ভাবতে চাইলো, তারা দেখলো এইসব কনিকা এমনকি ইলেক্ট্রনও এসব আসলেই একেকটা ক্ষেত্র। ক্ষেত্র জিনিসটা কি? ক্ষেত্র বলতে আমরা ধরে নিতে পারি এমন একটা বিস্তৃতি যেখানে কোনো একটা বল বা শক্তি কাজ করবে। ছোটবেলায় আপনারা সবাই ম্যাগনেট নিয়ে খেলা করেছেন।

চুম্বকের আবিষ্কার কে করেছিলো জানেন? আমি যতদূর জানি এক রাখাল। হাজার বছর আগে তার লাঙ্গল বইতে গিয়ে হঠাৎ একটা পাথরে আটকে যায়। অনেক কষ্ট করে সেটা ছুটাতে হয়। সে দেখে যে লোহা দিয়ে তৈরী বস্তুকে সে আকর্ষন করে। এভাবেই আবিস্কার হয় চুম্বক।

আপনি যখন কিনে আনবেন তখন আপনি ঐরাখালের থেকে বেশী জানবেন। ঐ চুম্বকে দুটো মেরু আছে, উত্তর দক্ষিন। বাসায় এনে খেলতে গিয়ে দেখলেন সম মেরু যখন এক সাথে রাখার চেষ্টা করবেন তখন এটি বিকর্ষন করে আবার বিপরীত মেরু একসাথে রাখলে আকর্ষন করে। আপনি যতই চেষ্টা করেন, বল প্রয়োগ করেন বিপরীত মেরু একসাথে রাখতে গেলে আপনার কষ্ট হবে। এর কারন হলো এদের মধ্যে যে জিনিসটা বাধা প্রদান করছে সেটা হলো চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের মধ্যে থাকা চৌম্বকীয় বল।

আপনি যদি এই চৌম্বকীয় ক্ষেত্রকে তড়িৎ ক্ষেত্রের সাথে সমন্বয় করতে পারেন তাহলে সেটা দিয়ে আপনি আপনার রুমের ফ্যান থেকে শুরু করে বড় বড় শক্তিশালী ক্রেন ´পর্যন্ত নাড়াতে পারবেন। অথবা আপনি হয়তো জানেন গাছের থেকে আপনি যখন লাফ দেন তখন আপনি নীচেই পড়েন কোনো এক আকর্ষনে, কখনো উপরে উঠে যান না। এটা গ্রাভিটি। এটাও একটা ক্ষেত্র যেখানে গ্রাভিটি বল আপনার উপর ক্রিয়া করছে। এমনকি আপনি যে আলো দেখেন সেটাও কিন্তু একটা ক্ষেত্র।

কিন্তু আলো তো ফোটনের তৈরী এমনকি আমরা জানি বিদ্যুৎ এটাও তো ইলেক্ট্রনের তৈরী। তাহলে ক্ষেত্র কেনো? আসলে যখন আমরা আরও গভীরে যাই তখন দেখা যায় আসলেই সব ক্ষেত্র যার মধ্যে বিভিন্ন বল ক্রিয়াশীল। স হজ কথায় বলি, একটা খালি জায়গা। এখানে যদি গাছ থাকে তাহলে আপনি বলবেন এটা জঙ্গল, যদি সমতল ভূমির ঘাস থাকে তাহলে আপনি বলবেন এটা মাঠ। তেমনি একটা স্হানে যে বল ক্রিয়াশীল সেখানে আমরা ঐ ক্ষেত্রগুলোর দ্বারা নামকরন করে দেই।

তবে এই ক্ষেত্রগুলো যদি মাইক্রোস্কোপের নীচে রেখে দেখতে পারি (আমরা এসব ক্ষেত্রে দেখতে পারি না এই যেমন চৌম্বকীয় ক্ষেত্র বা গ্রাভিটির ক্ষেত্র বা বল) তাহলে দেখা যাবে এগুলো একেকটা উত্তাল সাগর আর এই যে ইলেক্ট্রন প্রোটন নিউট্রন এসব হলো এই সাগরের ঢেউ। মানে একটা উত্তাল সাগরের শত শত স হস্র কোটি ঢেউ গুলিই কনিকার মতো আচরন করে। আপনি হয়তো বলতে পারেন তাহলে যেই ক্ষেত্র আমরা দেখি না তা থেকে আমাদের অস্তিত্ব হলো কি করে? হিগস ফিল্ড এবং অন্যান্য! হুমায়ুন আহমেদের যারা হার্ডকোর ফ্যান তারা তার অনেক উপন্যাসে দেখবেন শুভ্র নামের একটা চরিত্র যে ঢাকা ইউনিভার্সিটির এপ্লাইড ফিজিক্সের ছাত্র সে ফিজিক্স পড়া ছেড়ে দিয়েছে। তার কারন হলো সকল ভরযুক্ত কনিকা ভাংলে আমরা পাই শক্তি। শক্তির ভর নেই তাহলে তো আমাদেরও ভর থাকারও কথা না।

কিন্তু আপনার আমার সবারই বুড়া কালে ওজন বেড়ে যায়, কোনো ভারী জিনিস উঠাতে গেলে কোমড় ব্যাথা করে। তাহলে পদার্থবিজ্ঞান ভূয়া। কথাটা নিয়ে অনেকেই ভেবেছেন, এই সামান্য কথার উত্তর পাবার জন্য এলএইচসি নামের একটা লক্ষ কোটি দামের একটা মেশিন বসানো হয়েছে যার পেছনে অর্ধ শতাধিক দেশে হাজার হাজার বিজ্ঞানী দিন রাত নিরলস পরিশ্রম করছে। খুশীর খবর হলো উত্তরও পেয়েছি আমরা এবং হুমায়ুন আহমেদ যদি বেচে থাকতেন তাহলে আমি শিওর তার গল্পের শুভ্র নামের চরিত্রটিকে আবারও এপ্লাইড ফিজিক্সে মনোযোগী করে তুলতেন। আমরা হয়তো বুঝতে পেরেছি এই ফিল্ড থেকে কনিকা কিভাবে পাই।

বিভিন্ন ক্ষেত্রে শক্তির উত্তাল বা উত্তেজিত অবস্হার কারনেই কনিকার দেখা পাই কিন্তু প্রথমিক অবস্হায় এই কনিকাগুলোর ভর থাকে না। আমরা অনেকেই জানি এই যে এত ক্ষেত্র কোনোটা চুম্বকীয় বল ব হন করে, কোনোটা তড়িৎ বল কোনোটা গ্রাভিটি, তেমনি একটা বল আছে যেটা বস্তুর ভরের জন্য দায়ী। ভরের সাথে আপনি অভিকর্ষ ত্বরন গুন করলেই কিন্তু আপনার ওজন পেয়ে যাচ্ছেন। তো এই ভর যুক্ত ক্ষেত্রের পরিব্যাপ্তী কিন্তু সর্বব্যাপী মানে সব দিকে বিরাজমান। এর কাজই হলো কিছু বিশেষ ধরনের কনিকা তাদের সাথে মিথস্ক্রিয়ায় অংশগ্রহন করা এবং এর ফলে তারা ভরপ্রাপ্ত হয়।

ধরা যায় ইলেক্ট্রনের ক্ষেত্রতে ইলেক্ট্রন কনিকা সমূহ বিদ্যমান। এই ক্ষেত্রে যখনই হিগসের ক্ষেত্রের সাথে মিথস্ক্রিয়া করে তখনই এর কনিকা সমূহ ভর প্রাপ্ত হয়। এটা হলো ভরের উত্তর যার প্রমানের জন্য মানবজাতীকে অপেক্ষা করতে ২০১৩ পর্যন্ত। কিন্তু বস্তুর দৃশ্যমানতা এখনও অনেকের ক্লিয়ার হয় নি। আসলে বিশাল সাগর যখন অনেক উপর থেকে দেখেন তখন কিন্তু এর ছোটখাটো ঢেউ দেখা যায় না।

কিন্তু এই উত্তাল সাগরে আপনি যখন সাতার কাটতে যাবেন তখন বড় বড় ঢেউগুলো আপনার উপর আছড়ে পড়বে। এখন যদি এই বিশাল বিশাল ঢেউ যখন বিশাল টর্নেডোর বা ঘূর্নিঝড়ের সৃষ্টি করে তখনই আপনি অনেক দূর থেকে দেখতে পাবেন। তখন আপনাকে সাগরে না নামলেও চলবে। কনসেপ্ট টা এরকমই। এইসব ক্ষেত্রে যে ঢেউ গুলোর কারনে কনিকার উদ্ভব হয় সেগুলো প্লাংক সময় ৫.৩৯*১০^-৪৪ সেকেন্ড (তার মানে হলো এক সেকেন্ডকে ১০ এর পর ৪৪ টা শূন্য দিয়ে তার সাথে ৫ গুন করলে যেটা পাবেন তত ভাগ করতে হবে) বিরতিতে ঘটে।

এই কনিকাগুলো ঢেউ আকারে এত অল্প সময় পর পর উদ্ভব হয়। আপনি যখন টিভি দেখেন তখন টিভির একটা ছবি বানাতে তার পেছনে সেকেন্ডে ৩০টা ফ্রেম বা স্হির ছবি চালায়। আমাদের মস্তিষ্ক এমন যে সেকেন্ডে যদি ১৬ টা ছবি চালানো হয় তাহলে আমাদের কাছে মনে এগুলো সব স্হির ছবি ছিলো। কিন্তু এর উপরে গেলে সব চলমান। আর টিভিতে যেহেতু প্রতি ফ্রেমে ৩০টা তাই আমাদের কাছে মনে হয় একটা মসৃন চলমান বাস্তবতা আমাদের চোখের সামনে ভেসে আসছে।

সে হিসেবে আমাদের অস্তিত্ব হওয়াটাও এভাবে টিকে আছে। তাহলে ঈশ্বর আছে বলেই এরকম সম্ভব তাই নয় কি? আসলে ঈশ্বরের প্রশ্নটি বেশ ঘোলাটে বিজ্ঞানের কাছে। এখন কেউ যদি আপনাকে বলে,"দোস্ত, আমি গাড়ি কিনছি!" আপনাকে নিশ্চয়ই সেটা দেখে বুঝতে হবে যে আপনার গাড়ি চাপা মারছে না সত্যি কিনছে অথবা যদি কিনেই থাকে তাহলে সেটা খেলনা গাড়িই কিনা। যদি ল্যাব এক্সপেরিমেন্টে দেখা হয় তাহলে দেখা যায় সব কিছুই স্বতঃস্ফূর্ত তৈরি হচ্ছে। এর জন্য ঐশ্বরিক কোনো উপস্হিতির দরকার নাই।

এই যে এত বেসিক কনিকা এসব তৈরী করার জন্য কোনো ঝাড়ফুক বা ইবাদতের দরকার হয়নি। সবকিছুই স্বতঃস্ফূর্ত। এর জন্য শুধু প্রয়োজন ছিলো কিছু নিয়ম মেনে চলা এবং সজ্জা ধরে রাখা। এবং এসব যখন ল্যাবে তৈরী করা হচ্ছে তখন মহাবিশ্বে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা টেলিস্কোপ লাগিয়ে দেখছেন এসব ঘটনা তারকা মন্ডলীতে অহরহই ঘটছে। তাহলে ঈশ্বর কনসেপ্টের উপর কিভাবে নির্ভরশীল? অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন, এখানে যা হচ্ছে তা হলো শক্তি রূপান্তর বা ক্ষেত্র থেকে সৃষ্ট কনিকা সমূহ।

তাহলে ক্ষেত্র কিভাবে এলো, এসব নিয়মই বা কিভাবে তৈরী হলো। এই প্রশ্নের জবাব এখনও দেয়া সম্ভব দেয়া হয়নি। যদিও অনেকে মাল্টিভার্স তত্ব দিয়ে যুক্তি এগিয়ে নিতে চায় কিন্তু সমস্যা হলো সুপার সিমেট্রির দেখা এখনো পাওয়া যাচ্ছে না। সেখানে মাল্টি ভার্স কনসেপ্ট অনেকটা অনুরোধে ঢেকি গেলার মতোই। বিজ্ঞান অনেক এগোলেও এসব প্রশ্নের জন্য এখনও অতোটা এগোয়নি।

তবে বিজ্ঞানের অপূর্ব নিদর্শন হলো মানবজাতীর উন্নয়ন এবং তার জন্য কিছু করা, ধর্মেরও একই উদ্দেশ্য। যদি ধর্ম বলে কিছু নাই থাকতো অথবা ঈশ্বরের অনুপস্হিতি এতটাই প্রয়োজনীয় ছিলো তাহলে মানবজাতী ধর্ম হীন হয়েও সকল সমস্যার সমাধান পাচ্ছে না কেন? এটা ঠিক, অনেক নাস্তিক দেশে ধনী দরিদ্রের কোনো ব্যাবধান নেই। সবাই একসাথে খায় ঘুমায়, দারিদ্র‌্য জাদুঘরে। তারা এমন সিস্টেম গড়ে তুলেছে যে যতই মন্দা লাগুক তাদের দারিদ্র‌্যতা স্পর্শ করে না যদিও তাদের অনেক খনিজ সম্পদ নেই। অথবা ন্যায়বিচার কাঠামো বা সবকিছুতে এগিয়ে আছে কিন্তু সেই সিস্টেমগুলো অন্য কোথাও খাটছে না।

খাটলেও সফলতা পাচ্ছে না। যদিও ঈশ্বরের প্রসংগ এখানে মূখ্য না হলেও ধর্ম একটা বড় ফ্যাক্টর আবার অনেকই বলতে ধর্ম ভিত্তিক দেশগুলোও কি আদর্শ? না সেটাও না। মাঝে মাঝে মনে হয় সবকিছু মনুষ্য সৃস্ট বলেই এত সমস্যা। আবার মনে হয় যদি ঈশ্বর না থাকতো তাহলে মানুষ নিজের তৈরী নিখুত সিস্টেম দিয়েই সবকিছু পরিবর্তন করে ফেলতো! কিন্তু হচ্ছে না। ঈশ্বরের প্রয়োজনীয়তা এখনো আছে কারন স্বতঃস্ফূর্তের জন্য স্বতঃস্ফূর্ততার প্রয়োজনীয়তা কতটা দরকার এটার মতো অলীক ভাবনার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া।

বাকী সব সবার উপরই ছেড়ে দেই আরেকটা পড়ার বিকল্প নাই। কোরান শরীফের নাজিলকৃত প্রথম বাক্য শুরুই হয়েছিলো: পড়, তোমার ঈশ্বরের নামে!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.