যারা উত্তম কে উচ্চকন্ঠে উত্তম বলতে পারে না তারা প্রয়োজনীয় মুহূর্তে শুকরকেও শুকর বলতে পারে না। এবং প্রায়শই আর একটি শুকরে রুপান্তরিত হয়।
আদিগন্ত বিস্তৃতিতে শুয়ে আছি পাশাপাশি
যেন ভালোবাসাহীন নগরীতে বৃষ্টির অপেক্ষায়
মরুভূমিতে হেঁটে চলা বৃশ্চিক গ্রীবা তুলে বলে সহজ নয়,
সহজ নয় এই চরাচরে দ্বৈততার ভাঙ্গন
বিশ্লেষণ শুষ্ক কন্ঠে অনুরাগের বাঁধন
মহাপুস্তকগুলো কালে কালে জানিয়ে গেছে
সৌন্দর্য্য কখনোই প্রাকৃতিক নয়
পাঠক তুমি মনোযোগী হও
আরেকটু নিবিষ্ট হলেই তুমি দেখতে পাবে
সহগামী প্রাজ্ঞদের কুঞ্চিত ত্বকে তার অনুপস্থিতির জীবন্ত বলিরেখা
সবকিছু জেনে ফেলার ভারে বেঁচে থাকার জীর্ণ ভরাট খাতা
একজোড়া হাত তবুও করে থাকে তীব্র আলিঙ্গন
ভেতর থেকে জড়িয়ে
মরুর বালুতে ক্যাকটাসের ক্রন্দন
বুকের ভেতরে দ্রিমিকি দ্রিমিকি বেজে চলে আদিম মাদল
মরুর মরিচীকায় অভিনীত হয় ইকারুসের ডানা খসে পড়ার চিত্রগাঁথা
কোমর দুলিয়ে ঝুনিঝুনি বাজায় র্যাটল
যেন আকাশ থেকে নেমে আসা স্বপ্নের নকশীকাঁথা
তবুও আলিঙ্গন এতটুকু হয়না শিথীল
মুক্ত আরেক জোড়ায় জড়িয়ে থাকে কেউ
কেউ খেলা করে খসে পড়া তারা নিয়ে
কেউ জাগিয়ে তোলে ভালোবাসার নতুন ঢেউ
খুব নিশ্চিত উপস্থিতি জানান দিয়ে যায় এপাড়ে ওপাড়ে
একটা সতর্ক দৃষ্টিও হয়না বঞ্চিত
সড়সড় করে উঠে আসে অজানা শঙ্কা
শিকারী স্বপ্নের ভয়ে দুজনেই তখন স্থিত
দুজনগুলো কখনো হয় না অন্য কারো মত
তিন, চতুর্থ বা সপ্তমও নয়
দ্বৈততা থেকে সরে যাওয়া যায় দূরে
তবুও দ্বৈততেই স্বপ্নের শুরু হয়
অথচ চন্দ্রালোকিত যাযাবর, মহাকাশ মাপজোক করে বলে
ছেড়ে দাও ঐ তুচ্ছ হাত, ক্ষণিকের স্বপ্ন মন্থন
ছুড়ে ফেলে দাও নিজের যা আছে কিছু
ভেঙ্গেচুরে দাও ক্যাকটাসের ক্রন্দন
পরাস্ত আমি তবুও শুয়ে থাকি শীতল বালুর চরে
দিগন্তে তাকিয়ে দেখি কি করে নিশাচর ঘরে ফেরে
ভোরের আলোতে একে একে নিভে আসে পথ দেখানো তারাগুলো
আর আমাদের যুগল বাহুতে জমা হতে থাকে শুষ্ক শিশিরের ধুঁলো
ছবি: অনভিপ্রেত বাধ্য সৌজন্যে নিশ্চয়ই এস রাফী....
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।