পরিবর্তনের জন্য লেখালেখি
রুনার "সুখ তুমি কি বড় জানতে ইচ্ছে করে " আমার খুব প্রিয় একটা গান। কাল বিকেলে দেখি আব্বু ব্লগে পোস্ট লেখার জন্য খুব কসরৎ করছে। এই বয়সে নতুন করে কম্পিউটার, ই মেইল, ইন্টারনেট, ব্লগ - এসব শেখা যে কি বিরাট ঝক্কি সেইটা আমি আব্বু আম্মুকে শিখাতে গিয়ে টের পেয়েছি। নতুন নতুন টেকনোলজি শিখতে গিয়ে তাঁরা এখন নতুন শিশু আর আমি হয়েছি মা।
তো, আব্বু দেখি মহাবিরক্ত! কেন? 'হয়েছে' লিখতে গিয়ে 'য়'-কে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
কার এত্ত বড় সাহস যে বর্ণমালার 'য়' নিয়ে দিনে দুপুরে চম্পট দিলো! বহুত কষ্টে হাসি চেপে দেখিয়ে দিলাম। আব্বু আগে প্রায় ১০ বছর ধরে বিজয় আর বাংলা কি বোর্ড দিয়ে লিখে অভ্যস্ত। এখন আবার নতুন করে 'অভ্র' আর 'ফোনেটিক' শিখতে হচ্ছে। তো দেখিয়ে দেওয়ার পরে পুরো পাঁচ লাইন বানান করে করে লিখলেন। আর একটু পর পর "আরে! হয়ে গেলো তো!" , "এই তো পেয়েছি", "এইটাও তো হয়ে গেলো", "বাহ! পারছি তো!" - বলে বলে খুশিতে উজ্জ্বল হয়ে উঠলেন।
বাচ্চাদের মতোই কি তার হাসি আর খুশি!
নিজের সমস্ত অতি জরুরী কাজ ফেলে, বসে বসে আব্বুর আনন্দ দেখলাম। পাঁচ লাইন লিখতে লাগলো প্রায় ২০ মিনিট। তারপরেও মনে হলো, সারাটা জীবন যাকে কিছু একটা দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতেই চলে গেলো, তাকে এইটুকু দিতে পেরে 'সুখ' পাখির একটা পালক হয়ত সত্যি সত্যি - "আমি পেলাম! আমি ইহাকে পেলাম!"
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।