তোমারে বন্দনা করি স্বপ্ন-সহচরী লো আমার অনাগত প্রিয়া, আমার পাওয়ার বুকে না-পাওয়ারতৃষ্ণা-জাগানিয়া! তোমারে বন্দনা করি…. হে আমার মানস-রঙ্গিণী, অনন্ত-যৌবনা বালা, চিরন্তনবাসনা-সঙ্গিনী! ইসলামী ছাত্রশিবিরের
এক নেতার পরিকল্পনায়
গণজাগরণ মঞ্চের
কর্মী ব্লগার আহমেদ
রাজীব
হায়দারকে হত্যা করা হয় বলে অনুসন্ধানে জানতে পেরেছে গোয়েন্দা পুলিশ। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত
অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের
পর শনিবার গোয়েন্দা পুলিশের
এক সংবাদ
সম্মেলনে একথা জানানো হয়েছে। গ্রেপ্তার পাঁচজনই নর্থ সাউথ
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
তারা এই
হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ
নেয়ার কথা স্বীকার করেছেন
বলে গোয়েন্দা পুলিশের মুখপাত্র মনিরুল ইসলাম
জানিয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ফয়সাল
বিন নাইম (২২), মাকসুদুল
হাসান (২৬), এহসানুর
রেজা রোমান (২৩), নাঈম
সিকদার (১৯) ও নাসির
ইমতিয়াজ (২২)।
তারা সবাই নর্থ সাউথ
বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন
বিভাগে পড়েন। এদের দুজন ছুরি ও
চাপাতি নিয়ে সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ
নেয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বাকি তিনজন ছিলেন
আশপাশেই। মনিরুল ইসলাম বলেন,
শিবিরের একজন হত্যাকাণ্ডের
পরিকল্পনায় ছিলেন
বলে গ্রেপ্তারকৃতরা জানিয়েছে।
এদের প্ররোচিত করেন
শিবিরের ওই ব্যক্তি।
‘পরিকল্পনাকারী’ ব্যক্তির
নাম প্রকাশ
করেনি গোয়েন্দা পুলিশ।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন,
ওই ব্যক্তি নর্থ সাউথ
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইসলামী ছাত্রশিবিরের
সাবেক এক নেতা। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশ
চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড
ঘটানো হয়েছে-
জানতে চাইলে মনিরুল ইসলাম
বলেন, “ঈমানি দায়িত্ব
পালনের জন্য এই হত্যাকাণ্ড
ঘটানোর কথা বলেছে গ্রেপ্তারকৃতরা। ” তিনি বলেন, “যাদের গ্রেপ্তার
করা হয়েছে, তাদের
এখনো বিস্তারিত
জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়নি।
আদালতের
অনুমতি নিয়ে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসবাদে আরো তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করছি। ” রাজীবকে হত্যার
পরিকল্পনা মাসখানেক
আগে করা হয়
বলে গ্রেপ্তারকৃতরা পুলিশকে জানিয়েছে। মনিরুল ইসলাম বলেন,
“ফেইসবুকে রাজীবের বিভিন্ন
স্ট্যাটাস
দেখে তাকে ফলো করা হত। তার
বাড়িতেও রেকি করেছিল
তারা। ” পাঁচ ছাত্রকে শুক্রবার রাত
থেকে সকাল পর্যন্ত খিলগাঁও,
কাকরাইল, বারিধারা ও
পান্থপথে অভিযান
চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।
ফয়সালের বাসা ঢাকার
মাতুয়াইলে, মাকসুদ থাকেন
কেরানীগঞ্জে। রোমানের
বাড়ি ঝিনাইদহে, নাঈমের
বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়
এবং নাসিরের বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে। শাহবাগ আন্দোলন শুরুর ১০
দিনের মাথায় গত ১৫
ফেব্রুয়ারি রাজধানীর
মিরপুরের বাসার
সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয়
স্থপতি রাজীবকে। রাজীব
ব্লগে লেখালেখি করতেন।
যুদ্ধাপরাধের বিচার
নিয়ে লেখালেখির কারণেই
জামায়াত-শিবির
রাজীবকে হত্যা করেছে বলে তার সহযোদ্ধা ও স্বজনদের
অভিযোগ।
যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ
শাস্তির
দাবিতে দেশব্যাপী গণজাগরণ
আন্দোলনের প্রথম শহীদ
হিসেবে রাজীবকে অভিহিত
করা হচ্ছে। রাজীব হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়
তার বাবা মামলা করেছেন,
ডিবি তা তদন্ত করছে। রাজীবের লাশের
পাশে থাকা ল্যাপটপে রক্তের
ছোপ ছিল এবং হাতে লেগে ছিল
কিছু চুল। ধারণা করা হচ্ছে, ওই চুল
হত্যাকারীর। হত্যাকাণ্ডের
সময় রাজীব বাঁচতে খুনির চুল
ধরেছিল।
এই বিষয়ে মনিরুল ইসলাম
বলেন, চাপাতি দিয়ে আঘাত
করার ফলে রাজীবের চুলও
কাটা যায়। ওই চুল রাজীবেকরও
হতে পারে।
তবে পরীক্ষা করলেই জানা যাবে। জমে থাকা ওই রক্ত এবং চুলের
ডিএনএ পরীক্ষার আদেশ
দিয়েছে আদালত।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের
ফরেনসিক বিভাগের
প্রধানকে ওই দুটি আলামতের ডিএনএ পরীক্ষার পর তা তদন্ত
কর্মকর্তাকে দিতে বলা হয়েছে।
link=http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article597222.bdnews;jsessionid=801745CFBB7B453E1ED61AE28446BAB3.jvm1
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।