আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রখ্যাত ভারতীয় গায়ক, নায়ক, গীতিকার, সুরকার, প্রযোজক, পরিচালক কিশোর কুমারের ৮৪তম জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছা

আমি সত্য জানতে চাই
নাম ছিল আভাস কুমার গাঙ্গুলি। আসমুদ্রহিমাচল ভারতবাসীর কাছে অবশ্য তিনি কিশোর কুমার। বিখ্যাত ভারতীয় বাঙালি গায়ক এবং নায়ক কিশোর কুমার। অসাধারণ প্রতিভাশালী এই মানুষটি ভারতের শ্রেষ্ঠতম প্লেব্যাক গায়কদের অন্যতম। হিন্দির পাশাপাশি তিনি প্রচুর জনপ্রিয় বাংলা সিনেমাসহ বাংলা আধুনিক গানও গেয়েছেন।

সাধারণত গায়ক হিসাবে তাঁকে দেখা হলেও তিনি হিন্দি সিনেমা জগতের একজন গুরুত্বপূর্ণ অভিনেতাও ছিলেন। ছবিতে অভিনয় ও কণ্ঠ দেওয়া ছাড়াও তিনি সফলভাবে গীতিকার, সুরকার, প্রযোজক, পরিচালক এবং চিত্রনাট্যকারের ভূমিকা পালন করেছেন। কিংবন্তিতূল্য এই গাযকের আজ ৮৪তম জন্মদিন। ১৯২৯ সালের আজকের দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। জন্মদিনে গায়ক নায়ক কিশোর কুমারের জন্য আমাদের ফুলেল শুভেচ্ছা।

কিশোর কুমার ১৯২৯ সালের ৪ আগষ্ট ভারতের মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়াতে এক মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা কুঞ্জলাল গাঙ্গুলি ছিলেন একজন উকিল। তাঁর মার নাম ছিল গৌরী দেবী। কিশোর কুমারের ছোটবেলায় নাম ছিল আভাস কুমার গাঙ্গুলি। চার ভাই বোনের ভিতর কিশোর ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ।

সব থেকে বড় ছিলেন অশোক কুমার তারপর সীতা দেবী। তারপর অনুপ কুমার আর অনুপ কুমারের থেকে পাঁচ বছরের ছোট ছিলেন কিশোর কুমার। কিশোরের শৈশবকালীন সময়েই তাঁর বড়দা অর্থাৎ জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা অশোক কুমার বোম্বেতে হিন্দি চলচ্চিত্র জগতে বড় সাফল্য পান। এই সফলতা ছোট্ট কিশোরের উপরে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল। দাদা অশোক কুমারের ফিল্ম জগতে অনেক পরিচিতি থাকার ফলে কিশোর বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ পান কিন্তু সেগুলিতে দর্শকদের মনে তেমন সাড়া জাগাতে পারেননি।

তবে এই সিনেমাগুলোয় তিনি গান গাইবার সুযোগ পেতেন। কিশোর কুমারের অভিনয় খুব একটা পছন্দ ছিল না। তিনি গান গাইতেই চাইতেন। কিন্তু তাঁর গানের কোন ধরাবাঁধা শিক্ষা ছিল না। ছোটবেলা থেকেই কিশোর বিখ্যাত গায়ক কুন্দন লাল সায়গলের একজন বড় ভক্ত হয়ে উঠেছিলেন।

তিনি সায়গলের গানগুলো অনুকরণ করতেন অর্থাৎ নকল করে গাইতেন। পরে শচীন দেব বর্মনের পরমর্শে তিনি নিজের গাইবার কায়দা পাল্টান এবং এমন এক গাইবার কায়দা উদ্ভাবন করেন যা সেই সময়ের অপর প্রধান দুই গায়ক মহম্মদ রফি এবং মুকেশের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। তাঁর গানের বৈশিষ্ট্য ছিল গলাকে ভেঙে গান গাওয়া যা আগে কখনও শোনা যায়নি। তাঁর এই কায়দা খুবই জনপ্রিয় হয়। বর্তমান কালের প্রতিষ্ঠিত অনেক গায়ক যেমন কুমার শানু, অভিজিৎ, বাবুল সুপ্রিয়, অমিত কুমার প্রায় সকলেই তাঁদের কেরিয়ারের প্রথম দিকে কিশোরের গানগুলোক অনুকরণ বা নকল করে গাইতেন।

পঞ্চাশের দশকের শেষ দিকে তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত কমেডি নায়ক হিসাবে জনপ্রিয় হন। তাঁর অভিনয়ের কায়দা ছিল অন্যদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। সেই সময়ের প্রবল জনপ্রিয় এবং ক্ষমতাশালী তিন নায়ক - রাজ কাপুর, দেব আনন্দ এবং দিলীপ কুমার বলিউড শাসন করা সত্ত্বেও কিশোর কুমার নিজের এক পৃথক জায়গা তৈরি করতে সক্ষম হন। পঞ্চাশের দশকের শেষ দিকে তিনি ছিলেন এক প্রবল ব্যস্ত, সফল নায়ক এবং গায়ক। তাঁর অভিনীত বিখ্যাত কয়েকটি কমেডি সিনেমার মধ্যে রয়েছে বাপ রে বাপ (১৯৫৫), চলতি কা নাম গাড়ি (১৯৫৮), হাফ টিকিট (১৯৬২), পড়োশন (১৯৬৮), হাঙ্গামা (১৯৭১), পেয়ার দিবানা (১৯৭৩), বাড়তি কা নাম দাড়ি (১৯৭৪)।

এছাড়া অন্যান্য সিনেমার ভিতর রয়েছে – নোকরি, বন্দী, দূর গগণ কি ছাঁও মে, দূর কা রাহি প্রভৃতি। এছাড়া কিশোর কুমার নানা সময়ে সফলভাবে গীতিকার, সুরকার, প্রযোজক, পরিচালক এবং চিত্রনাট্যকারের ভূমিকা পালন করেছেন। শচীনদেব বর্মন ছাড়াও আরেক সুরকার যিনি কিশোরের সঙ্গীত প্রতিভা বুঝতে পেরেছিলেন তিনি হলেন খেমচাঁদ প্রকাশ। খেমচাঁদ প্রকাশের সুর জিদ্দি সিনেমার গান গেয়ে কিশোর গায়ক হিসাবে পায়ের নিচে মাটি পান। এছাড়া অন্যান্য সুরকার যেমন রবি এবং দুই বিশিষ্ট গীতিকার - মজরু সুলতানপুরি ও শৈলেন্দ্র কিশোরের ভক্ত হয়ে ওঠেন।

এই সময়ের তাঁর গায়ক হিসাবে অন্যতম সিনেমাগুলোর মধ্যে আছে পেয়িং গেস্ট (১৯৫৭), চলতি কা নাম গাড়ি (১৯৫৮), তিন দেবিয়াঁ। ষাটের দশকের শুরু থেকেই কিশোরের ক্যারিয়ারে ব্যর্থতা ঘনিয়ে আসে। কিশোরের অধিকাংশ সিনেমাই ব্যবসায়িকভাবে অসফল হয়। এবং এই সময়ের কিশোরের খুব কম গানই আছে মনে রাখার মত। মুনিমজি (১৯৬২), গাইড (১৯৬৫) এবং জুয়েল থিফ (১৯৬৭) ছাড়া মনে রাখার মত বেশি গানও তিনি গাননি।

১৯৬৬ সালে সুরকার হিসাবে আত্মপ্রকাশ ঘটে শচীনদেব বর্মনের পুত্র রাহুল দেব বর্মনের। ১৯৬৮ সালে 'পড়শন' সিনেমায় রাহুলের সুরে কিশোর বেশ কয়েকটি হিট গান গান। ১৯৬৯ সালে শক্তি সামন্ত'র আরাধনা শুভমুক্তি পায়। চলচ্চিত্রটি ১৯৪৬ সালে হলিউডে 'টু ইচ হিস অউন' শিরোনামে সর্বপ্রথম নির্মিত হয়েছিল যা পরবর্তীতে হিন্দিতে 'আরাধনা' নামে নতুন করে নির্মিত হয়। এই সিনেমার নায়ক ছিলেন নবাগত রাজেশ খান্না।

বছরের সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে এটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করে। শর্মিলা ঠাকুরও ফিল্মফেয়ার সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার লাভ করেন যা হলিউড চলচ্চিত্রে একই ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে অলিভিয়া দ্য হ্যাভিল্যান্ড তাঁর সেরা অভিনেত্রী হিসেবে একাডেমি পুরস্কার লাভ করেছিলেন। হিন্দিতে প্রথমে চলচ্চিত্রটি নির্মিত হলেও পরবর্তীতে বাংলা ভাষায়ও এটি ডাবিং করা হয়। আরাধনা চলচ্চিত্রের ব্যাপক ব্যবসায়িক সাফল্যে আরো দু'টি ভাষা - তামিল ও তেলেগু ভাষায় যথাক্রমে সিবকামিইন সেলভান (১৯৭৪) ও কন্যাবাড়ি কালাউ (১৯৭৪) নামে পুণরায় নির্মিত হয় যাতে শর্মিলা ঠাকুর বনশ্রী চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। রাজেশ খান্নার জন্য এই সিনেমায় কিশোর তিনটি গান গেয়েছিলেন - ‘কোরা কাগজ থা ইয়ে মন মেরা’ (লতা মঙ্গেশকরের) সঙ্গে -আর দুটি হোলো- রূপ তেরা মস্তানা এবং ‘মেরে সপনো কি রানী’।

তিনটি গানই বিপুল জনপ্রিয়তা পায় এবং কিশোর কুমারের সঙ্গীতজীবনকে আবার উপরে উঠিয়ে দেয়। এই সিনেমায় রূপ তেরা মস্তানা গানের জন্য কিশোর প্রথম বার ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কার পান। পুরো কেরিয়ারে কিশোর আটবার শ্রেষ্ঠ গায়কের ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কার পান। যথাঃ ১। ১৯৬৯ সালে রূপ তেরা মস্তানা (আরাধনা), ২।

১৯৭৫ সালে দিল অ্যায়সা কিসি নে মেরা তোড়া (অমানুষ), ৩। ১৯৭৮ সালে খাইকে পান বনারস বালা (ডন), ৪। ১৯৮০ সালে হাজার রাঁহে (থোড়িসি বেবফাই), ৫। ১৯৮২ সালে পগ ঘুঙরু বাঁধ মীরা (নমক হালাল), ৬। ১৯৮৩ অগর তুম না হোতে (অগর তুম না হোতে), ৭।

১৯৮৪ সালে মঞ্জিলে আপনি জাগা (শরাবী) এবং ৮। ১৯৮৫ সালে সাগর কিনারে (সাগর)। পরবর্তী বছরগুলোতে কিশোর গায়ক হিসাবে ব্যাপক সাফল্যতা লাভ করেন। সে সময়ে বলিউডে প্রতিষ্ঠিত সব নায়ক যেমন রাজেশ খান্না, শশী কাপুর, ধর্মেন্দ্র, রণধীর কাপুর, সঞ্জীবকুমার এবং দেব আনন্দের গলায় তিনি গান গান। এই সময়ে শচীন দেব বর্মন এবং রাহুল দেব বর্মনের সুরে তিনি প্রচুর কালজয়ী গান গেয়েছেন।

রাহুল দেব বর্মনের সুরে তিনি বম্বে টু গোয়া সিনেমাতে প্রথমবারের জন্য অমিতাভ বচ্চনের জন্য গান করেন। ১৯৭৩ সালে অমিতাভের 'অভিমান' সিনেমার জন্য তাঁর গানগুলি সুপারহিট হয়। এরফলে পরবর্তী মেগাস্টার অমিতাভের নেপথ্য গায়ক হিসাবে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। কিশোরের এই সাফল্যের পরে বলিউডের অন্য সুরকারেরাও তাঁকে নিজেদের প্রধান গায়ক হিসাবে বেছে নিতে বাধ্য করে। এঁদের মধ্যে প্রধান ছিলেন লক্ষ্মীকান্ত পেয়ারেলাল জুটি।

লক্ষ্মীকান্ত পেয়ারেলালের সুরেই কিশোর ও মোহাম্মদ রফি একসাথে গান করেন এবং কিশোর ও লতা মঙ্গেশকরের বেশ কিছু ভাল ডুয়েট গান তৈরি হয়। কিশোর কুমার এবং সুরকার কল্যাণজী-আনন্দজী জুটিও বেশ কিছু হিট গান উপহার দেন। যেমন ধর্মাত্মা, লাওয়ারিস, কাবিলা, জনি মেরা নাম, ডন, কাগজ, সফর, মুকাদ্দর কা সিকন্দর প্রভৃতি সিনেমার গান। সত্তর এবং আশির দশক জুড়ে কিশোরের জয়যাত্রা অব্যাহত থাকে। উত্তম কুমারের জন্য তাঁর প্লেব্যাক করা উল্লেখযোগ্য ছবির ভিতর রয়েছে রাজকুমারী, অমানুষ, আনন্দ আশ্রম এবং ওগো বধূ সুন্দরী।

একটি বাংলা ছবি লুকোচুরিতে তিনি নায়কের অভিনয় এবং গান করেছেন। সত্যজিৎ রায়ের দু'টি সিনেমা চারুলতাএবং ঘরে বাইরের জন্য তিনি রবীন্দ্র সঙ্গীত গেয়েছিলেন। বাংলা সিনেমার বিখ্যাত দুই নায়ক প্রসেনজিৎ এবং তাপস পালের কেরিয়ারের দুই উল্লেখযোগ্য হিট যথাক্রমে অমর সঙ্গী এবং গুরুদক্ষিণার জন্যও তিনি প্লেব্যাক করেছিলেন। কিশোর কুমারের প্লেব্যাক করা বাংলা ছবিঃ ১। অমরকন্টক, ২।

আশ্রিতা, ৩। অনিন্দিতা, ৪। অমর সঙ্গী, ৫। গুরুদক্ষিণা, ৬। জীবন মরণ, ৭।

জ্যোতি, ৮। তুমি কত সুন্দর, ৯। দোলন চম্পা, ১০। পাপ পুণ্য, ১১। সুরের আকাশে ইত্যাদি।

তাঁর জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যেঃ ১। আমার মনের ময়ূর মহলে, ২। আমার পূজার ফুল, ৩। এক পলকের একটু দেখা, ৪। এ আমার গুরুদক্ষিণা, ৫।

একদিন পাখী উড়ে যাবে যে আকাশে, ৬। এই যে নদী, ৭। কি আশায় বাঁধি খেলাঘর, ৮। কি উপহার সাজিয়ে দেব, ৯। তোমায় পড়েছে মনে, ১০।

নীল নীল আকাশে, ১১। প্রেমের খেলা কে বুঝিতে পারে, ১২। শুনো শুনো গো সবে উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও, 'নয়ন সরসী কেন ভরেছে জলে' শিরোনামীয় গানটি কিশোর নিজেই সুর করেছিলেন। ব্যাক্তিগত জীবনে কিশোর কুমার চারবার বিয়ে করেছেন।

রুমা গুহ ঠাকুরতা (১৯৫০-১৯৫৮), ২। মধুবালা (১৯৬০-১৯৬৯), ৩। যোগিতা বালী (১৯৭৫-১৯৭৮) এবং ৪। লীনা চন্দাভারকর (১৯৮০-১৯৮৭)। কিশোরের প্রথম পুত্র (মাতা রুমা গুহ ঠাকুরতা) অমিত কুমার একজন বিখ্যাত গায়ক।

তিনি তাঁর বাবার মত সাফল্য না পেলেও বেশ কিছু হিট গান উপহার দিয়েছেন। কিশোরের ছোট ছেলে সুমিত কুমার (মাতা লীনা চন্দাভারকর) গায়ক হবার চেষ্টা চালাচ্ছেন। অশোক কুমার সর্ম্পকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ ১. অশোক কুমারের কাছে একটি ব্যক্তিগত কাজে গিয়েছিলেন গায়ক-সংগীত পরিচালক শচীন দেব বর্মণ। সেখানে কিশোর কুমারকে গাইতে শুনে সেদিনই ছবিতে গান গাওয়ার জন্য রাজি করান তাঁকে। ২. ৭০ দশকের মাঝামাঝি তাঁর প্রযোজনায় একটি ছবিতে অতিথি শিল্পী হিসেবে অভিনয়ে অস্বীকৃতি জানালে অমিতাভ বচ্চনের জন্য গান না গাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন কিশোর কুমার।

৩. ১৯৭৫-৭৭ সালে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর জারি করা জরুরি অবস্থার বিরোধিতা করে রাষ্ট্রীয় সব অনুষ্ঠান ও মাধ্যম থেকে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। রেডিওতে তাঁর গান প্রচার বন্ধ করা হয়, এমনকি দ্বৈত সংগীতগুলো থেকে তাঁর গাওয়া অংশগুলো কেটে দেওয়া হয়। ৪. মধুবালাকে বিয়ে করার জন্য ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং নাম নেন করিম আবদুল। ৫. যত বড় পরিচালকই হোক না কেন, সম্পূর্ণ পারিশ্রমিক না পাওয়া পর্যন্ত গান রেকর্ডিং করতেন না। ৬. লতা মুঙ্গেশকরের অসম্ভব ভক্ত ছিলেন।

তাঁর সম্মানে সব সময় পারিশ্রমিক নিতেন লতার চেয়ে ১ রুপি কম। ৭. তাঁর অভিনয়ে পাগলামির ছাপ ছিল স্পষ্ট, যা তিনি ইচ্ছা করেই তৈরি করেছিলেন। এমনকি খান্ডোয়ায় তাঁর বাড়ির সামনে নিজেই 'মেন্টাল হসপিটাল' লেখা সাইনবোর্ড লাগিয়েছিলেন। ১৯৮৭ সালের ১৩ই অক্টোবর এই মহান শিল্পীর মৃত্যু ঘটে। মত্যুর পরেও হিন্দি সিনেমার সঙ্গীতের উপর তাঁর প্রভাব এখনও বিশাল ও ব্যাপক।

তাঁর গানের এখনও রয়েছে খুব ভাল বাজার। কিংবন্তিতূল্য এই গাযকের আজ ৮৪তম জন্মদিন। ১৯২৯ সালের আজকের দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। জন্মদিনে কিশোর কুমারের জন্য আমাদের ফুলেল শুভেচ্ছা।
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.