আমি তোমার পায়ের কাছে কুকুরের মত বসে থাকি তোমার ভেতরের কুকুরটা দেখবো বলে!!! আপনার বাড়ির পিছনে একটা সেফটি ট্যাংকি আছে, কখনও দেখেছেন? ট্যাংকিটাকে নিরাপদে রাখা হয় বলেই এর নাম সেফটি ট্যাংকি। সহজ বাংলায় যে ট্যাংকিতে মল-মূত্র জমা হয় সেটাইতো সেফটি ট্যাংকি, না কি? আপনি নিশ্চই আপনার সেফটি ট্যাংকির ঢাকনা খুলে রেখে তার পাশে বসে সকালে চা খান না! অথবা ঐ ট্যাংকির পাশ দিয়ে মর্নিং ওয়াক করেনা!
আমি ব্যক্তিগত ভাবে রাজনীতি পছন্দ করি। কলেজ জীবন থেকেই মনের ভিতরে রাজনীতি করার একটা ইচ্ছা পুষে আসছিলাম। কিন্তু কিভাবে করবো? আমাদের দেশের রাজনীতির অবস্থান এখন সেফটি ট্যাংকির উপরে, সেই ট্যাংকি এখন উপচে পড়ছে.......... আর কিছু সুইপার মানের অযোগ্য রাজনীতিবিদ ট্যাংকির চারিপাশের ময়লা নিয়ে একে অন্যের গায়ে ছোড়াছুড়ি করছে আর তার ছিটেফোটা লাগছে আমাদের মত সাধারণ জনগনের গায়ে। আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর ঐ সেফটি ট্যাংকির উপরের গদিটার প্রতি লোভ দেখে আমি অবাক হই।
আমি বঙ্গবন্ধুকে সম্মান করি, শ্রদ্ধা করি। আমি বিশ্বাস করি এই দেশ স্বাধীনের সময় তাঁর ভূমিকা ছিল অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারপরও তিনি যে একজন নির্ভুল ছিলেন এইটা আমি বলবো না। মাওলানা ভাসানী একটা কথা বলতেন- 'মুজিব দেশের জনগনকে উত্তেজিত করতে পারতো, কিন্তু জনগনের উত্তেজনা দমাতে পারতো না। ' আমি মনে করি তিনি আরো একটা ভুল করেছিলেন - তাহলো যুদ্ধাপারাধীদের সাধারণ ক্ষমা।
বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি গদিতে বসে এই চার বছরে কি করেছেন? আপনার পিতার হত্যাকারীদের বিচার করেছেন! খুব ভালো কথা, এই বিচার আমিও চেয়েছিলাম। আপনি দেশের জন্য আর কি করেছেন? কয়টা হত্যাকারীর বিচার করেছেন? চালের দাম কত কমিয়েছেন প্রতি কেজিতে? কয়টা বেকারকে ঘুষ ছাড়া চাকরি দিয়েছেন? ঢাকা শহরের কয়টা রাস্তার জ্যাম কমিয়েছেন? এই পর্যন্ত কয়টা রাজাকারকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়েছেন? মানলাম আপনি প্রধানমন্ত্রী! আপনার এইগুলো নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় কই! কিন্তু আপনি কিছু মন্ত্রীকে আপনার গদির কিছু অংশ দিয়েছেন জনগনের এই সমস্যা গুলোকে সমাধান করার জন্য। কিন্তু তারা কি করছে এই খবর কি একবারও নিয়েছেন?
শিক্ষামন্ত্রী, মানলাম সে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নতি করছে, দেশে অনেক মেধাবী তৈরী হচ্ছে পাশাপাশি ছাত্রলীগ থেকে উন্নত মানের সন্ত্রাসীও তৈরী হচ্ছে!
অর্থমন্ত্রী, এই ভটকার কাছে তো কোটি কোটি টাকার কেলেংকারি কোন কেলেংকারিই না! এই শালা কি সকালে পরাটার বদলে এক হাজার টাকার নোট ভাজি করে খায়! দুপুরে-রাতে সবজির বদলে দুই টাকা/পাঁচ টাকার কয়েন গুলো গিলে গিলে খায়! তাহলে তার কৌষ্ঠকাঠিন্য হচ্ছে না কেন!
পরাষ্ট্রমন্ত্রী, তার তো এই চার বছরে কয়টা পাসপোর্ট বইয়ের পাতা শেষ হয়েছে সে নিজেও জানেনা! আর সে এখন তার ক্যামেরার জন্য আনলিমিটেড মেমোরি কার্ড খুজে বেড়াচ্ছে!
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, হালায় তো একটা লুইচ্চা নাম্বার ওয়ান! মাঝে ফেসবুকে একটা ছবি দেখেছিলাম- হালায় এক মহিলা পুলিশের বুকের দিকে লুলের মত তাকিয়ে আছে! আর হালার পুতে কয়- সাগর-রুনির নৈতিক চরিত্র নাকি ভাল ছিলনা।
স্থানীয় সরকার, ভাবটা পুরা নায়ক ইলিয়াস কাঞনের মতো! প্রথম প্রথম ভালোই লাগতো। কিন্তু হালায় যে ব্রেক ছাড়া ঠেলাগাড়ি এইটা পরে বুঝছি, কারে কখন কি কয় সে নিজেই জানেনা!
বাকিদের কথা আর কি বলবো!
সেক্টর কমান্ডর মেজর জিয়া সাহেব, তাকেও আমি সম্মান করি।
কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সাধারন ক্ষমার পর উনি খাল কেটে কুমির নিয়ে এসেছেন! সেই কুমিরের বাচ্চাগুলো আমাদের দেশে এখন হায়েনার মত হয়ে গেছে।
গোলাপি আপা, জামাত-শিবির কি আপনার বয়ফ্রেন্ড লাগে? শিবিরের পোলাপাইনতো আপনার ঠোটের প্রশংসায় পঞ্চমুখ! আপনার কি বুড়া বয়সে ভিমরতী ধরছে নাকি আপনার পার্লার খরচ সাইদী-নিজামী দেয়!
মির্জা সাহেব তো এক সময় মিঠা মিঠা কথা বলতো! তারে কি সাইদী তাবিজ পড়া দিছে নাকি!
এতক্ষন তো বললাম সেফটি ট্যাংকির উপরের কথা। ট্যাংকির উপরে যারা বসে, ট্যাংকি থেকে উপচে পড়া ময়লা নিয়ে যারা ছোড়াছুড়ি করছে সেই সব সুইপারদের কথা, যাদের ট্যাংকির গদিটার প্রতি লোভ তাদের কথা!
এবার কি ট্যাংকির ভিতরে যাবেন? ট্যাংকির ভিতরে কিন্তু জামাত-শিবির! এখন আপনারাই ব্যাখ্যা করেন তাদের কথা!
আন্দালীব পার্থ এক সময় তো সংসদে খুব ফাটাইলেন- এয়াটেল বর্জন করুন, অমুক বর্জন করুন তমুক বর্জন করুন!!! এখন আপনি কই? ট্যাংকির ভিতরে ঢুকছেন নাকি উপরেই আছেন!!!
ড ইউনুস, জাফর ইকবাল স্যার, আনিসুল হক স্যার আরও সুশীল সমাজ রাজনীতিতে কেন আসেন না জানেন? তাদের শরীর পরিষ্কার পানিতে ধৌত করা, তারা এই উপচে পড়া নোংরা ট্যাংকির কাছে যাবেনা।
শাহাবাগ নিয়ে দুটি কথা না বললেই নয়। আমি শাহাবাগের আন্দোলনকে সমর্থন করি।
আমি সেখানে নিয়মিত যাচ্ছি এবং যাই একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে। গতরাতে একজনের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেখলাম- 'শাহাবাগ নাকি পুলিশি পাহাড়ায় গার্লফেন্ড নিয়ে ডেটিং করার চমৎকার জায়গা। ' আমি তাকে শুধু এইটুকুই বলতে চাই- 'আমি ডেটিং করতে যাই তোমার মত কুলাঙ্গারের বোনকে সাথে নিয়ে। '
রাজনীতিতো অনেকেই করেছেন, তাঁরা দেশের উন্নতিও করেছেন। শেখ মুজিব, মেজর জিয়া, মাওলানা ভাসানী, মাহাত্মা গান্ধী, ওবামা, হিটলার সবাইতো দেশ চালিয়েছে।
আপনারদের সাথে তাঁদের পার্থক্য একটাই- তাঁরা দেশ চালিয়েছে দরবারে বসে, ময়দানে বসে আপনাদের মত সেফটি ট্যাংকির উপর বসে না।
আমি কথাগুলো চিৎকার করে বলতে পারিনা, আমার লেখাগুলো চিৎকার করতে পারে না। যেদিন রমনা পার্কের বেঞ্চে বসে কানের ময়লা পরিষ্কার করবেন আরেকদিকে পকেট কেটে সাফ হবে সেদিন সব কথা কানে ঢুকবে।
সেইদিন আর বেশি দূরে না........... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।