আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্লগার রাজীব হত্যাকারী প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ জন ছাত্র গ্রেপ্তার! কোথায় যাচ্ছি আমরা যুবসমাজ?(ডিটেইল ভিতরে)

যারা অসংখ্য মানুষের ভালবাসা অর্জন করে তারা হলো সৌভাগ্যবান, আর যারা মানুষকে ভালবাসতে পারে তারা হলো আকাশের মতো মহান। আমি কোন যোগ্যতা ছাড়া অকারণেই খুব সৌভাগ্যবান, তাই এখন স্বপ্ন দেখি আকাশ হবার... Breaking News: ব্লগার রাজীব হত্যাকারী নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ জন ছাত্র গ্রেপ্তার, স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে অস্ত্র উদ্ধার। এই মাত্র ডিএমপি এর সংবাদ সম্মেলন দেখলাম। দাবী করছে যে শিবিরের এক বড় ভাইয়ের প্ররোচনায় তারা হত্যা করেছে। আগে রাজীব কে চিনতো না, বড় ভাইয়ের কাছ থেকে শুনেছে যে সে ইসলাম বিরোধী কাজ করে।

পরে ফেসবুক থেকে তার ছবি নিয়ে শাহবাগে যেয়ে চিহ্নিত করেছে, তারপর ফলো করে মিরপুর এ গিয়ে বাসা চিনে এসেছে। সেইসাথে ক্রিকেট খেলার নাম করে বাসা দেখেছে ভাল করে। সবশেষে ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে শিডিউল জেনে রাতে বাসার সামনে ওত পেতে ছিল,সে ফিরলে সবাই মিলে কুপিয়ে মেরেছে। Oh God, what’s happening here! How the students of such a reputed university like NSU have become so perverted and fundamentalist? They are neither Madrasa students nor illiterate, rather are from elite families! এদের তো ইভেন এত খারাপ বলেও মনে হচ্ছে না দেখে! শিক্ষিত ছেলেপেলের যদি এই হয় অবস্থা তাইলে শুধু জামায়াত কে নিষিদ্ধ করে কি হবে! পুরা রুট থেকে ঠিক করতে হবে যেভাবেই হোক। কি হবে এই দেশের যুবসমাজের! সবাই আগায় আসেন, দেশটারে বাচান।

প্রথম আলো থেকে পড়ুন বিডিনিউজ থেকে পড়ুন এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের পর শনিবার গোয়েন্দা পুলিশের এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানানো হয়েছে। গ্রেপ্তার পাঁচজনই নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তারা এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেয়ার কথা স্বীকার করেছেন বলে গোয়েন্দা পুলিশের মুখপাত্র মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ফয়সাল বিন নাইম (২২), মাকসুদুল হাসান (২৬), এহসানুর রেজা রোমান (২৩), নাঈম সিকদার (১৯) ও নাসির ইমতিয়াজ (২২)। তারা সবাই নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিভাগে পড়েন।

এদের দুজন ছুরি ও চাপাতি নিয়ে সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। বাকি তিনজন ছিলেন আশপাশেই। মনিরুল ইসলাম বলেন, শিবিরের একজন হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনায় ছিলেন বলে গ্রেপ্তারকৃতরা জানিয়েছে। এদের প্ররোচিত করেন শিবিরের ওই ব্যক্তি। ‘পরিকল্পনাকারী’ ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেনি গোয়েন্দা পুলিশ।

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী ছাত্রশিবির নেতা। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে- জানতে চাইলে মনিরুল ইসলাম বলেন, “ঈমানি দায়িত্ব পালনের জন্য এই হত্যাকাণ্ড ঘটানোর কথা বলেছে গ্রেপ্তারকৃতরা। ” তিনি বলেন, “যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের এখনো বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়নি। আদালতের অনুমতি নিয়ে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসবাদে আরো তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করছি।

” রাজীবকে হত্যার পরিকল্পনা মাসখানেক আগে করা হয় বলে গ্রেপ্তারকৃতরা পুলিশকে জানিয়েছে। মনিরুল ইসলাম বলেন, “ফেইসবুকে রাজীবের বিভিন্ন স্ট্যাটাস দেখে তাকে ফলো করা হত। তার বাড়িতেও রেকি করেছিল তারা। ” পাঁচ ছাত্রকে শুক্রবার রাত থেকে সকাল পর্যন্ত খিলগাঁও, কাকরাইল, বারিধারা ও পান্থপথে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। ফয়সালের বাসা ঢাকার মাতুয়াইলে, মাকসুদ থাকেন কেরানীগঞ্জে।

রোমানের বাড়ি ঝিনাইদহে, নাঈমের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এবং নাসিরের বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে। শাহবাগ আন্দোলন শুরুর ১০ দিনের মাথায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মিরপুরের বাসার সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয় স্থপতি রাজীবকে। রাজীব ব্লগে লেখালেখি করতেন। যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে লেখালেখির কারণেই জামায়াত-শিবির রাজীবকে হত্যা করেছে বলে তার সহযোদ্ধা ও স্বজনদের অভিযোগ। যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে দেশব্যাপী গণজাগরণ আন্দোলনের প্রথম শহীদ হিসেবে রাজীবকে অভিহিত করা হচ্ছে।

রাজীব হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বাবা মামলা করেছেন, ডিবি তা তদন্ত করছে। রাজীবের লাশের পাশে থাকা ল্যাপটপে রক্তের ছোপ ছিল এবং হাতে লেগে ছিল কিছু চুল। ধারণা করা হচ্ছে, ওই চুল হত্যাকারীর। হত্যাকাণ্ডের সময় রাজীব বাঁচতে খুনির চুল ধরেছিল। এই বিষয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, চাপাতি দিয়ে আঘাত করার ফলে রাজীবের চুলও কাটা যায়।

ওই চুল রাজীবেকরও হতে পারে। তবে পরীক্ষা করলেই জানা যাবে। জমে থাকা ওই রক্ত এবং চুলের ডিএনএ পরীক্ষার আদেশ দিয়েছে আদালত। ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধানকে ওই দুটি আলামতের ডিএনএ পরীক্ষার পর তা তদন্ত কর্মকর্তাকে দিতে বলা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য ডিবি পুলিশ দাবি করেছে, গ্রেপ্তার আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন তাঁরা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নামাজ কক্ষে নামাজ পড়তে গিয়ে পরষ্পরের সঙ্গে পরিচিত ও ঘনিষ্ঠ হন।

সেই সূত্রে তাঁরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা ও ইন্টারনেটে বিভিন্ন তথ্য শেয়ার করতেন। ডিবির দাবি, গ্রেপ্তার ছাত্ররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন তাঁদের দলের এক বন্ধু একসময় বাংলাদেশ ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি তাঁদের কিছু ব্লগের ঠিকানা দেন। সেখান থেকেই তাঁরা ‘থাবা বাবা’সহ কয়েকজন ব্লগারের লেখার সঙ্গে পরিচিত হন এবং ‘থাবাবাবা’ নামধারী ব্লগারকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা করেন। আর এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মিরপুরের পলাশনগর এলাকার নিজ বাসার সামনের রাস্তায় রাজীবকে খুন করেন।

রাজীবকে হত্যার জন্য দুটি দল গঠন? ডিবি পুলিশ দাবি করেছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ছাত্ররা পুরো হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাটি সম্পর্কে তাঁদের জানিয়েছে। সে ভাষ্য অনুযায়ী, রাজীবকে হত্যা পরিকল্পনার পর তাঁরা ‘ইনটেল গ্রুপ’ গঠন করেন। এই দলের কাজ ছিল ব্লগ ও ফেসবুক থেকে তাঁর সম্পর্কে নানা তথ্য সংগ্রহ করা ও তাঁর পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া। আর রাজীবকে হত্যার জন্য তাঁরা ‘এক্সিকিউশন গ্রুপ’ গঠন করেন। প্রায় এক মাস সময় ধরে তাঁরা রাজীবকে অনুসরণ করেছেন।

হত্যাকাণ্ডে ব্যবহূত সরঞ্জাম উদ্ধার গ্রেপ্তার ছাত্রদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহূত দুটি চাপাতি, চারটি ছোরা, একটি বাই সাইকেল, এক জোড়া কেডস, সাতটি বিভিন্ন মডেলের মোবাইল সেট ও একটি স্কুল ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে বলে ডিবি জানিয়েছে। তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কাকরাইলে জাতীয় চলচ্চিত্র প্রকাশনা অধিদপ্তরের পুকুর পাড় থেকে জুতা জোড়া উদ্ধার করে পুলিশ। এ ছাড়া একটি চাপাতি ও চারটি ছোরা শেরে বাংলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের রাস্তার পাশের ড্রেন থেকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিস্তারিত তথ্য ফয়সালের বাড়ি ঢাকার মাতুয়াইলে। তিনি কোডা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।

মাকসুদুলের বাড়ি ঢাকার কেরানীগঞ্জে। তিনি ম্যাপললিফ থেকে ও লেভেল এবং এ লেভেল পাস করে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তাঁরা দুজনই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সম্মান শেষ বর্ষের ছাত্র। এহসানের বাড়ি ঝিনাইদহ জেলায় ও নাঈমের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এবং তাঁরা দুজনই নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিক অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র। নাফিসের বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে।

তিনি সানসাইন গ্রামার স্কুল থেকে ও লেভেল এবং এ লেভেল পাস করে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ-তে ভর্তি হন। তিনি তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। বিভিন্ন এলাকায় অভিযান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য পশ্চিম বিভাগের ডিসি মোল্যা নজরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে এডিসি মশিউর রহমান, এডিসি মানস কুমার পোদ্দার ও জ্যেষ্ঠ এসি মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে ডিবির একাধিক দল ঢাকার কাকরাইল, বারিধারা বসুন্ধরা, পান্থপথ ও খিলগাঁও এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে রাজীব হত্যায় জড়িত সন্দেহে এই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। - See more at: Click This Link ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.