বুদ্ধের কথা ভাবলেই আমার খুব বিস্ময় লাগে এই জন্য যে,কতকাল আগের কথা,প্রায় আড়াই হাজার বছর,তখনও সক্রেটিস আসেননি,যিশু আসেননি,মানব সভ্যতার ভালো করে বিকাশ হয়নি। সেই কালেও গৌতম বুদ্ধ এত সুক্ষ্ম দর্শনের অধিকারী হলেন কি করে?কী করে চিন্তা করলেন এমন এক ধর্মের কথা,যাতে ঈশ্বরের স্থান নেই
সে যাই হোক, হিমিকে আমি প্রথম দেখতে পাই বসন্তের এক সকালে। সে বসেছিল পশ্চিমের ব্যালকনিতে। আকাশের দিকে তাকিয়েছিল আকাশি রঙের শাড়ি পড়ে। হিমিকে দেখেই আমার বুকের ভেতর ধড়াস ধড়াস করতে লাগল।
হিমির দৃষ্টি আর্কষন করা বড় শক্ত ব্যাপার। ব্যালকনিতে তাকাতেই মনে পড়ল এই কবিতাটি "এই শান্ত স্তব্দ ক্ষনে/অনন্ত আকাশ হতে পশিতেছে মনে/চরম-বিশ্বাস ক্ষীন ব্যর্থতায় নীল/জয়হীন চেষ্টার সঙ্গীত। আশাহীন/কর্মের উদ্যম- হেরিতেছে শান্তিময়/শূন্য পরিনাম। "
সেইদিন রাতেই আমি হিমিকে স্বপ্নে দেখি। দেখি,লেকের পাড়ে বসে আছি,আমি আর হিমি।
আমি বললাম,হিমি আমার দিকে তাকাও। এ কী তোমার চোখে পানি কেন?হিমি বলল,হ্যাঁ চোখ ভেজা কিন্তু আমি কাঁদছি না। আমি হিমিকে বললাম,আমার চোখে কেন জল আসে না?ভেতরটা কি একেবারে শুকিয়ে গেছে?যারা ভালোবাসতে পারে,তারাই কাঁদতে পারে। আমার খুব ইচ্ছে করে--। হিমি বলল,আরে বোকা,পুরুষ মানুষদের কাঁদতে নেই।
ভালো দেখায় না। আমি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললাম,মাঝে মাঝে তোমাকে মনে হয় অনেক দূরের মানুষ। মাঝখানে দুস্তর ব্যবধান...। হিমি বলল,আমি এই তো কাছে,তোমার পাশে আছি। কোন ভয় নেই।
আমি বললাম,আমার ভবিষ্যতে কী আছে জানি না,আজ যদি তোমার হাতটা ধরতে চাই দিবে?হিমি,নিজের ডান হাতের দিকে একটুক্ষন তাকিয়ে রইল,প্রায় ফিস ফিস করে বলল,এই হাত,শুধু একজনেরই জন্য- তারপর ডান পাশে ফিরে বাড়িয়ে দিল হাত খানি।
আমি হিমির হাত ধরে চুপ করে বসে রইলাম। মনে হচ্ছে আর কেউ কোথাও নেই। সমস্ত কথার প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে। আমরা চুপ করে বসে রইলাম।
ইউনির্ভাসিটি এলাকা ক্রমশ নির্জন হয়ে যাচ্ছে। বাতাস বইছে নীরবে। দুই একটা রিকশা যাচ্ছে-আসছে। সবাই ঘরে ফিরছে। আমাদের দু'জনের যেন কোনও ঘর বাড়ি নেই,কোথাও ফিরতে হবে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।