কি বলব
মা যখন মারা গেল
ভেবেছিলাম: এবার একটা মৃত্যুর কবিতা লেখা হবে।
ওটা ক্ষমার অযোগ্য
তবুও নিজেকে ক্ষমা চোখে দেখি
মায়েদের ভালবাসা পেয়ে
ছেলেরা যেমন করতে পারে।
তাঁর কফিনে স্থির চেয়ে থাকি
যদিও জানি কতকাল এই শুয়ে থাকা,
কত জীবনের সুখ স্মৃতি
মগজের কোষে।
ঠিক বলা মুশকিল
কী ভাবে আমরা বিষণ্নতা কাটিয়ে উঠি,
কিন্তু মনে আছে আমার, মাত্র
বারো আমি, ১৯৫১, পৃথিবী তখনো
আমার কাছে অপরিচিত।
আমি মার কাছে (ভয়ে ভয়ে)
তার স্তন দেখার আবদার করি
কোনো দ্বিধা কিম্বা লজ্জা ছাড়াই
মা আমাকে তার কামরায় নিয়ে যায়
আমি স্থির তাকাই ওদের দিকে,
সাহস হয়নি আর কিছু জিগ্যেস করি।
আজ, এতদিন পর, একজন বলে
কর্কট রাশির জাতকেরা মায়ের আশির্বাদ না পেলে
অভিশপ্ত হয়, কিন্তু আমি, কর্কটরাশি হয়েও,
নিজেকে আবার ভাগ্যবান মনে করি। ভাগ্যবান আমি
মা আমাকে তার
স্তন দেখিয়েছিলো
যখন আমার বয়সী
বালিকারা নারী হয়ে উঠছিলো,
কপাল আমার
সে আমাকে কমবেশি শাস্তি
দিতে পারতো। যদি আমি তার
স্তন ছুঁতে কিম্বা
চুষতে চাইতাম,
তাহলে সে কী করতো?
মা স্বর্গ বাসিনী
যে আমাকে নারীদের মাঝে
স্বাভাবিক দেখতে চেয়েছিল,
এই কবিতাটি
সেখানে নিবেদিত
যেখানে আমরা থেমে গেছি, অসম্পূর্ণতার কাছে
যা ছিল চাওয়ার অধিক
এবং
আমরা আবার বাড়ির নিয়মিত কাজে
ফিরে যাই
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।