আমি কেবলই আমার মতো
আমার বাসার নিকটেই একেবারে ইস্টার্ন প্লাজার পশ্চাদদেশ সংলগ্ন কোন একটি বাসার ছাদে সামিয়ানা টানিয়ে, সম্ভবত শব্দ উৎপাদনের মাঝারি ধরনের যন্ত্র সেট করে বাংলা, হিন্দি নানান রকমের গান গাওয়া চলছে। হবে হয়ত গায়ে হলুদ বা এজাতীয় কোন অনুষ্ঠানের আনন্দ উৎসব।
বাসার খুব কাছে হওয়ায় দরজা-জানালা বন্ধ করেও রেহাই পাচ্ছিনা শব্দ দূষণের কালোহাত থেকে। অবশ্য আমাদের এই বয়সে গান-বাজনা খারাপ লাগার কথা নয়, কিন্তু লাগছে। এটা এজন্য যে, এই আয়োজনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা না থাকা, গান-বাজনা শোনার মানসিক পূর্বস্তুতি না থাকা ইত্যাদি।
যদিও স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে, সেখানে তরুন-তরুনীসহ নানা বয়েসীরাই উপভোগ করছে। তবু বাসায় শুয়ে-বসে কোন কিছু করেই শান্তি পাচ্ছি না। স্বাভাবিক কোন কাজই করতে পারছিনা। বাসামেট এমাথা থেকে ওমাথা শুধু হাঁটছে বিরক্তিতে। কিন্তু কী আর করা! একটু আগে গান হলো ... বন্ধু তুমি কই, কই কই।
আমিও বলি... নীরব শান্তি তুমি কই কই কই।
আমাদের দেশেরই কেউ একজনের লেখায় পড়েছিলাম এমন একটা গল্প মনে পড়ছে। লেখক লন্ডনে তাঁর একবন্ধু হাউজ অব কমন্সের সদস্যকে একবার জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তোমাদের দেশে রাজনৈতিক নেতাদের কী ধরনের ব্যক্তিগত সমস্যা সমাধান করতে হয়? উত্তরে ব্রিটিশ সেই নেতা নাকি বলেছিলেন, তাঁর নির্বাচনী এলাকায় খুব কমন নালিশের একটি হলো কার কুকুর কার বাগান বা লন ময়লা করেছে, এবং অপরটি হলো মাঝরাতের পরও পাশের বাড়িতে সঙ্গীত বাজতে থাকা যার কারনে প্রতিবেশির ঘুমের ব্যাঘাত।
আমাদের দেশে প্রথম সমস্যা থাকা তো দুরের কথা অনেকেই এখনও এমন সমস্যা হতে পারে ভাবতেই পারেনা। কিন্তু দ্বিতীয় সমস্যাটি হররোজ হলেও সমাধানের নজির তেমন একটা শোনা যায় না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।