আমার ব্লগে স্বাগতম
সাম্প্রতিক শেয়ার বাজারে ধ্বস নামার কারণ বিশ্লেষণে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা পড়ে সরকার, সরকারের নীতি-নির্ধারকগন, একটি বিশেষ মহল যারা সিন্ডিকেট তৈরী করে শেয়ার বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করেছে তাদেরকেই দায়ী মনে হচ্ছে। আমাদের বাংলাদেশে শেয়ারবাজারে দ্বিতীয়বার ধ্বস নামল। এক্ষেত্রে যদিও প্রথমবার ধ্বস নামার পর-পরই সবার সতর্ক হওয়া উচিত ছিল যাতে করে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীগণ সর্বশান্ত না হয়ে যায়, সেটা যখন হয়নি, আমাদের দ্বিতীয় বার ধ্বস নামার কারণ বিশ্লেষন করে ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে করে আরেকবার ধ্বস নেমে আমাদের পুজিঁবাজারটি ধ্বংস না হয়ে যায়।
কেন এই শেয়ার বাজার?
শেয়ার বাজারে এই ধ্বস নামার পর থেকেই আমি অনেক জায়গায় দেখতে পাচ্ছি যে, আমাদের এই শেয়ারবাজারটিকে ফটকাবাজার বলা হচ্ছে এবং ব্যাপারটি ভালো অর্থে নয়। আমি জানি না এই “ফটকাবাজার” শব্দটি কোথা থেকে এল কিংবা এটি কোন্ ইংরেজী শব্দের বাংলানুবাদ? অর্থনীতির দুটি প্রধান উপাদান পুজিঁবাজার (capital market) ও মুদ্রাবাজার (money market) ।
পুঁজিবাজারে শুধুমাত্র শেয়ারই কেনা-বেচাঁ হয় না। এক্ষেত্রে আরো যা কেনাবেচাঁ হয় বা হতে পারে তা হচ্ছে, অগ্রাধিকারযুক্ত শেয়ার (preferred stock), বন্ড /ডিবেঞ্চার (Bond/Debenture), অপশন (পুট/কল) (call/put option), রাইটস (rights) ইত্যাদি। শেয়ার বাজারটি দেশের অর্থনীতির সাথে সরাসরি যুক্ত। একটি দেশের অর্থনীতি কেমন মজবুত বা কোনদিকে যাচ্ছে, শেয়ারবাজারের লেনদেন, সূচক, মার্কেট ক্যাপিটালিজেশন দেখে আন্দাজ করা যায়। নুতন নুতন কোম্পানী আসবে শেয়ারবাজারের মাধ্যমে, নুতন নুতন জব তৈরী হবে, জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পাবে, অর্থনীতির চাঁকার ঘূর্ণণের গতি বৃদ্ধি পাবে -- এভাবেই এগিয়ে যাবে একটি দেশের অর্থনীতি।
উইন-উইন অবস্থা (Win-Win situation)
ধরা যাক, ‘এবিসি’ একটি প্রাইভেট লিমিটেড টেক্সটাইল কোম্পানি । কোম্পানিটি যদি এক্সপানসনে যেতে চায় এবং আরো একটি ডায়িং বা নিটিং কোম্পানি শুরু করতে চায়, এক্ষেত্রে কোম্পানি তাদের রিজার্ভ লাভ থেকে মূলধন যোগাড় করতে পারে, আর যদি তা না পারে তবে ব্যাংক থেকে উচ্চ ইন্টারেস্ট হারে ঋণ নিতে পারে। এখন কোম্পানিটি স্বভাবতই উচ্চ ইন্টারেস্ট দিতে চাইবে না কারন উচ্চ ইন্টারেস্ট রেট কোম্পানির লাভ বা ভবিষ্যত প্রবৃদ্ধি কমিয়ে দিবে। এখান থেকেই এসেছে শেয়ারবাজার। কোম্পানিটি শেয়ারবাজারের মাধ্যমে মুলধন সংগ্রহ করতে পারে ।
কোম্পানিটি তার প্রত্যাশিত মুলধনটিকে অনেকগুলি শেয়ারে ভাগ করে আইপিও-এর মাধ্যমে প্রাইমারী মার্কেট থেকে সংগ্রহ করতে পারে। এক্ষেত্রে কোম্পানিটি লাভ হলে বছরশেষে স্টকহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিবে, স্টকহোল্ডারদের মতামত সাপেক্ষে লাভের কিছুটা অংশ retained earnings হিসেবে জমাও রাখতে পারে যা কোম্পানিটি রিসার্চ এণ্ড ডেভেলপমেন্টে ব্যয় করতে পারে কিংবা পরবর্তীতে আবার এক্সপানসনে যেতে পারে। আবার কোম্পানির নগদ টাকা দরকার হলে কোম্পানি নগদ লভ্যাংশ না দিয়ে স্টক ডিভিডেন্ডও দিতে পারে যা নাকি বোনাস শেয়ার ও স্টক স্প্লিট নামে পরিচিত। শুধু তাই নয়, কোম্পানির যদি লাভের পরিবর্তে ক্ষতি হয়, সেক্ষেত্রে লভ্যাংশ নাও দিতে পারে এবং স্টকহোল্ডাররা সহজেই এটা মেনে নেয় কারণ তারাও কোম্পানির একেক জন মালিক। এভাবেই একটি কোম্পানি ব্যাংক-কে উচ্চহারে ইন্টারেস্ট না দিয়ে মালিকানা বন্টনের মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহ করতে পারে।
সাধারণ শেয়ার ছাড়াও (common stock) একটি কোম্পানি বন্ড/ডিবেঞ্চার ইস্যুর মাধ্যমেও মূলধন সংগ্রহ করতে পারে।
এবার আসি শেয়ারহোল্ডারদের কথায়। আমি বড় বড় ইনস্টিটিউশনাল ইনভেস্টরদের বাদ দিয়ে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের কথাই বলি কারন তারাই আজকের বিষয়। আমাদের জীবনে খরচ বাদ দিয়ে যদি কিছু সঞ্চয় থাকে, নগদ বাড়ীতে জমা করে রাখার কোন যৌক্তিকতা নেই কারন “টাইম ভ্যালু অফ মানি”-এর কারণে আজকের একটাকা আর একমাস পরের একটাকা সমান নয়। সহজ কথায় এর মূল্য ক্রমাগত কমতে থাকে।
তাই আজকের যারা ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী, তারা একসময় ব্যাংকে সেভিংস একাউন্টে তাদের সঞ্চয় জমা করে রাখাই সংগত মনে করত। শেয়ার বাজার আসার পর দেখা গেল যে, টাকা ব্যাংকে না রেখে স্টকে বিনিয়োগ করাই লাভজনক কারন এখানে লভ্যাংশ ছাড়াও ক্যাপিটাল গেইনও করা যায় এবং পরিমাণটি ব্যাংকের সেভিংস একাউন্টের ইন্টারেস্ট রেট-এর চেয়ে বেশী। তাছাড়া ক্ষুদ্র হলেও একটা শেয়ার দিয়ে কোম্পানির ক্ষুদ্র একটি অংশের মালিকানাও পাওয়া যায়, কোম্পানির বাৎসরিক সভায় মতামত আলোচনা করা যায় , এমনকি পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে ভোটও দেয়া যায়।
তাহলে সমস্যা কোথায়?
শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, তারপরে আবার আগের যায়গায় ফিরে যাওয়া -- এর মাঝ থেকেই নিঃস্ব হয়ে গেলেন আমাদের ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীগণ। একশত টাকার শেয়ার দশ/পনের হাজার টাকা হওয়ার মাধ্যমে কিছু লোক হয়ে গেল অস্বাভাবিক লাভবান, আর কিছু লোক হয়ে গেল পথের ভিখিরী।
একজন বিনিয়োগকারী আসলে কীভাবে বিনিয়োগ করেন? গত দশ দিন ধরে দাম বাড়ছে, আগামী এগারোতম দিনেও দাম বাড়বে, তাই শেয়ার যত পার কিনে রাখ। ১০০ টাকার শেয়ার বেড়ে যখন ১০,০০০ টাকা হয়েছে, তখন ১৫,০০০ টাকা তো হবেই, তাই আবার যত পার কিনে রাখ। টাকা উপার্জনের কত সহজ পন্থা, কত শর্টকাট !! আসলেই কি এতটা সহজ ? আসলেই কি শর্টকার্ট? সম্ভবত এখান থেকেই “ফটকা বাজার” ব্যাপারটা এসেছে। একজন বিনিয়োগকারীর অবশ্যই কোম্পানির আর্থিক অবস্থা দেখা উচিত। কোম্পানির সম্পদ, দায়ের পরিমান, মুনাফা, ভবিষ্যৎ গ্রোথ -এর ভিত্তিতে প্রকৃতপক্ষে একটা শেয়ারের দাম কত হওয়া উচিত? প্রাইস-আর্নিং অনুপাত কতটা পর্যন্ত নিরাপদ? এই শেয়ার ব্যবসাটি মোটেই ফটকা ব্যবসায় নয়, এখানে জানার আছে, বোঝার আছে, পড়াশুনা আছে।
রিস্ক-রিটার্ন এর ভারসাম্য বিবেচনা করতে হবে। রিস্ক-এর পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে। পোর্টফলিও তৈরী করে রিস্ক ডাইভারসিফাই করতে হবে। একজন বিনিয়োগকারী যদি ১০০ টাকার শেয়ার ১০,০০০ টাকায় না কিনেন, তাহলে ওটার দাম ১০,০০০ টাকা হবে কেন? আর অসাধু সিন্ডিকেট যদি ম্যানিপুলেট করে ১০,০০০ টাকায় নিয়েও যায়, একজন বিনিয়োগকারী তা কিনবে কেন? বিনিয়োগকারীকে ঠিক করতে হবে সে দীর্ঘমেয়াদী নাকি স্বল্পমেয়াদী বিনিয়োগে যাবেন। এভাবেই সাধারণের অজ্ঞতার সুযোগটি নিয়ে অসাধু কিছু মানুষ বিত্তবান হয়ে গেলেন।
এটা আমাদের দেশে নুতন নয়। ৩৯ বছর ধরে এটাই হয়ে আসছে।
এটা তো গেল ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের ব্যাপার। আমাদের দেশে শেয়ারবাজারের রমরমা অবস্থা দেখে অনেকেই এটাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। এটাতে আমার আপত্তি নেই কিন্তু মনে রাখতে হবে যে পেশাটি কিন্ত চাকুরী নয়, পেশাটি হল ব্যবসায় আর যেকোন ব্যবসায় লাভ-ক্ষতি আছেই।
শেয়ার ব্যবাসা ছাড়াও আরো অনেক ব্যবসায় আছে যেখানে অনেকেই সব খুঁইয়েছেন, তাহলে শেয়ার ব্যবসাটির বদনাম হবে কেন? তাছাড়া যেকোন ব্যবসা হওয়া উচিৎ দীর্ঘ মেয়াদী। শর্টকার্টের চিন্তা বাদ দেওয়া উচিত।
আমাদের নিজেদেরই সতর্ক হওয়া উচিৎ যাতে অন্যজন চালাকি করে আমার কষ্টের পয়সাটি না নিয়ে যেতে পারে।
সরকারের কী ভূমিকা ?
আমাদের শেয়ার বাজারের পরিচালনা সংক্রান্ত নিয়ম-নীতিমালা তৈরী করেন আমাদের সরকার, সরকারের অর্থমন্ত্রণালয়, সিকিউরিটি এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, প্রতিটি স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা/ব্যবস্থাপনা বোর্ড। বাজার তার নিজস্ব গতিতে চলবে, বাজারে পণ্যের মূল্য নির্ধারিত হবে পণ্যের চাহিদা ও যোগানের ভিত্তিতে।
আমাদের স্টক মার্কেটও এর ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু বাজারে যদি অসাধু ব্যক্তি/গোষ্ঠী থাকে তখনই সমস্যা হয়। বাজারে অসাধু ব্যক্তি থাকবেই - এটা কিছু মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য তাই এটাকে সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করা সম্ভব নয়। কথায় আছে, কয়লা ধুলে ময়লা যায় না। তবে সরকারের কাজ হল, বাস্তবতার প্রেক্ষিতে, অভিজ্ঞতার আলোকে, জ্ঞানের ভিত্তিতে সঠিক নিয়ম-নীতি তৈরী করা যাতে অসাধু ব্যবসায়ী সুবিধা না নিতে পারে।
আমাদের মার্কেটে বুক-বাইন্ডিং, সার্কিট ব্রেকার ইত্যাদি ব্যবস্থা আছে কিন্ত সব ব্যবস্থাই পরীক্ষায় ফেইল করেছে। নুতন নিয়ম-নীতি তৈরী করতে হবে। সিকিউরিটি এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কি পারে না একটা মনিটরিং সেল তৈরী করতে যার মাধ্যমে প্রতিদিনের লেনদেন মনিটর করা হবে। বর্তমান তথ্য-প্রযুক্তির যুগে এটা খুবই সহজ। মনিটরিং-এর মাধ্যমে লক্ষ্য রাখা যেতে পারে, কোন শেয়ারের লেনদেনের পরিমান অস্বাভাবিক মাত্রা ছাড়াচ্ছে কিনা, কোন শেয়ারের মূল্য কিংবা লেনদেনের পরিমান মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে কারা সেটা কিনছে, কিংবা কারা বিক্রী করছে, যারা এই লেনদেনের সাথে জড়িত তাদের অতীত রহস্য কী, অসামঞ্জস্য থাকলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়া।
তবে আর সিন্ডিকেট তৈরী হবার সুযোগ থাকে না। একটা ভয় অবশ্য আছে - যে সর্ষে দিয়ে ভূত ছাড়ানোর কথা, সেই সর্ষেতেই যদি ভূত থাকে তবে ভূত কীভা্বে ছাড়ানো হবে। এটা সম্ভব যদি মনিটরিং ব্যক্তিকেন্দ্রিক না হয়ে সঠিক নিয়মের ভিত্তিতে হয়। এক্ষেত্রে একটি বিষয় না উল্লেখ করে পারছি না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে আমাদের ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক সালাউদ্দিন আহমেদ খান , চীফ অপারেটিং অফিসার ছিলেন বিখ্যাত কস্ট একাউন্টেন্ট সাতিপতি মৈত্র (এফসিএমএ), চীফ টেকনোলজী অফিসার এ এস এম খায়রুজ্জামান যার টেকনোলজী ও ব্যবস্থাপনা উভয় বিষয়ে জ্ঞান আছে।
চমৎকার কম্বিনেশন। আমাদের স্টক মার্কেটের আধুনিকায়নে তাদের অবদান অনস্বীকার্য। কিন্ত আমি আশ্চর্য হলাম যে, হাসিনা সরকার আসার পর সিইও হলেন সাতিপতি মৈত্র আর সিওও নিয়োগ দেওয়া হল অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জনাব জহুরুল আলমকে। সিটিও আগেরজনই আছেন। সিইও বা সিটিও নিয়ে আমার কোন আপত্তি নেই।
কিন্ত চীফ অপারেটিং অফিসারের মত একটি গুরুত্ত্বপূর্ণ দায়িত্ব কেন একজন অবসরপ্রাপ্ত আর্মি অফিসারকে দেওয়া হল। প্রশ্ন জাগে নিয়োগটি কি যোগ্যতার ভিত্তিতে নাকি রাজনৈতিক? আমাদের দেশে এখনো আর্মি পরোক্ষভাবে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হয়ে আছে। আমি এখানে শুধুমাত্র ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের কথা বললাম, প্রতিটা ক্ষেত্রে নিয়োগ হওয়া উচিৎ যোগ্যতার ভিত্তিতে। জানি না এটা বলার জন্য আমার কী হবে কারন ইউনুস-এর মত একজন নোবেল বিজয়ীকেও সরকার নাস্তানাবুদ করছেন।
স্টক এক্সচেঞ্জে লিস্টেড কোম্পানিগুলো বছর শেষে বাৎসরিক সাধারণ সভায় তাদের বাৎসরিক রিপোর্ট প্রদান করেন।
এটি তৈরী করে থাকে কোম্পানি নিজে আর অডিট করানো হয়ে থাকে বাইরের এক্সটারনাল অডিটর কোন চার্টার্ড একাউন্টেন্ট ফার্ম কে দিয়ে। কোম্পানীর এই রিপোর্টের তথ্য আসলে কতটুকু সত্যি? কারণ আমি অনেক ক্ষেত্রেই দেখেছি যে, কোম্পানির বাৎসরিক রিপোর্ট তৈরী ও অডিট - দুটিই অডিট ফার্ম করে থাকে । এক্ষেত্রে স্বচ্ছতার প্রশ্নটি চলে আসে। আবার যদিও কোম্পানির তৈরীকৃত বাৎসরিক হিসাব অডিট ফার্ম অডিট করে থাকে, তাদের অডিট কতটূকু সঠিক? এটা আমাদের দেশে মনিটরিং-এর ব্যবস্থা নাই। চার্টার্ড একাউন্টেন্ট ফার্ম গুলিকে মনিটর করার ব্যবস্থা আমাদের দেশে নাই।
যারা এতবড় গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজের সাথে জড়িত, তাদের মনিটরিং-এর ব্যবস্থা গড়ে তোলা উচিৎ।
আমাদের সরকারকে খেয়াল রাখতে হবে যাতে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী হারিয়ে না যায়, এরাই আমাদের মার্কেটের চালিকাশক্তি যেমন একটি দেশের উন্নয়নের প্রধান স্তম্ভ হল সেই দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণী । অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে হলে মধ্যবিত্ত শ্রেনীটিকে ধরে রাখতে হবে, তা নাহলে আমাদের দেশের ফেইলিওর আটকে রাখা যাবে না।
সঞ্চয় রহমান
জানুয়ারী ৩০, ২০১১
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।