ভুল করেছি,প্রায়শ্চিত্য করবো না, তা তো হয় না এমন একটা নতুন দল দরকার যারা মহান মুক্তিযুদ্ধকে রুটি রুজি বানিয়ে পেট চালাবে না; ৭১ এর শহীদ, গাজী মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা মহিলাদের প্রতি সম্মান দেখাতে গিয়ে শুধু মুখে ফেনা তুলবে না বরং তাদের দাবি দাওয়া প্রকৃতপক্ষেই বাস্তবায়ন করবে এবং একইসঙ্গে ধর্মকেও ভালবাসবে তবে এই ভালবাসাটা এমন হবে না যে কোরআন শরীফকে তাকের উপর রেখে শুধু দূর থেকে চুমা খাওয়া, কাউকেই ধর্ম অবমাননাকর কিছু করতে দিবে না কেননা এদেশের সমাজের অধিকাংশ মানুষ নিজের ব্যক্তি জীবনে ধর্মীয় অনুশাসন ঠিকমত মেনে না চললেও অন্য কাউকে ধর্মের প্রতি আঘাত করতে দেখলে ঠিকই প্রতিবাদি হয়ে যায়, ধর্মকে সব কিছুর উপরে স্হান দেয়. নিজে যখন একটা মেয়ের সাথে কথা বলে তখন কোন দোষ নাই কিন্তু অন্য কাউকে পুকুর পাড়ে দেখলেই মাথা গরম হয়ে যায়. দেশে যতগুলো দল, মত আছে প্রত্যেকটিরই পজেটিভ নেগেটিভ উভয় দিকই আছে আর এগুলোর প্রত্যেকটির অনুসারী বা হিতাকাঙ্খী লোকের সংখ্যাও একেবারেই কম নয় কেননা কিছু না কিছু পজেটিভ দিক আছে যা তাদের শুভাকাঙ্খীরা ভালবাসে. উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কুতুববাগী-রাজারবাগীদের কথা তারাও যদি রাজপথে নেমে আসে দেখা যাবে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে এর কারন ঐ ছোট্ট একটা দেশে জনসংখ্যার আধিক্য তার উপর আবার অশিক্ষিত. যে সমাজে টাকা ছিটালেই ভোট কেনা যায় সেখানে গণতন্ত্র উপযুক্ত নয়. মিডিয়াগুলো ব্যক্তি মালিকানাধীন হওয়ায় তারা যখন যেদিকে হুজুগ তুলে দেয় পাবলিক সেদিকেই যায়. সমাজের মানুষ যতদিন না আর্থিক দিক থেকে কিছুটা স্বচ্ছল হচ্ছে ততদিন দেশের প্রচলিত গণতন্ত্র দিয়ে প্রকৃত সফলতা আসবে না কেননা ঘরে খাবার না থাকলে শুধু নীতি কথায় পেট ভরবে না বিধায় মানুষ বিভিন্ন গোষ্ঠীর কাছে বিক্রি হয়ে যাবে, রুটি-রুজি টিকিয়ে রাখতে রাস্তায় নেমে আসবে, আবার গণতান্ত্রিক অধিকারবলে মিছিল মিটিং করে বলে তাতে বাঁধা দেওয়া হবে আইনবিরোধী, রাজপথে অবস্হান করে অন্যদের সমস্যা সৃষ্টি করবে. আজ হয়ত একটা গোষ্ঠীর এক লোক অন্যদের বিপদে ফেলবে কিন্তু কালকেই তাকে অন্য একটা গোষ্ঠীর দ্বারা আক্রান্ত হতে হবে. এভাবে একজনের দ্বারা আর একজন বাঁশ খেতে থাকবে. সমাজের মানুষ যতদিন না হুজুগে বাঙ্গালী জিনিসটা পরিহার করে নিজের বিচার বিবেচনা দিয়ে সবকিছু চিন্তা ভাবনা করতে শিখবে ততদিন এক পার্টির শাসন দরকার যারা স্বাধীনতার কথা বলে রাস্তার মোড়ে মোড়ে শুধু স্মূতিস্তম্ভ বানাবে না বরং যে মুক্তিযোদ্ধা ভিক্ষা/ রিকশা চালাচ্ছে তার জন্য একটা ভাল কাজের ব্যবস্হা করে দিবে. তবে একদলীয় শাসনেও অনেক সমস্যা আছে পার্টির সদস্যদের মধ্যে স্বেচ্ছাচারিতা চলে আসে. তারপরও আশা করা যায় বাংলাদেশের এখনকার পরিস্হিতির বিবেচনায় তৃণমুল লোকজন নেগেটিভের তুলনায় পজিটিভ দিকই বেশি পাবে
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।