আমি একজন সাধারণ মানুষ
আমরা দেশের বৃহত্তর স্বার্থে কোন কাজের এত বিরৃধীতা করি এবং তার সাথে হুজুগে বাংগালী কিছু মানুষ এত উৎসাহিত হয় তা দেখে আমার অনেক দুঃখ হয়। দেশের জলাধার আইন অনুযায়ী আড়িয়ল বিলে বিমান বন্দর করা যাবেই যাবে। কারন এই আইনের উপর ভিত্তি করে বন্যার পানি প্রবাহ অঞ্চলে বালি ভরাট করে বসুন্ধরা সহ অনেক গুলি প্রতিষ্ঠান তাদের বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালিত করছে। এবং আমি এও বলতে চাই এই সব প্রকল্পে অনেক ধনী প্রতিবাদকারির একাধিক প্লট বা ফ্লাট রয়েছে। সচেতন যারা তারা ঢাকা - মাওয়া সড়কের দুই পাশে বালি ভরাট ও এখনও ভরাট হয়নি কিন্তু ভরাটের প্রস্তুতি হিসেবে প্রতিষ্টানের সাইনবোর্ড গুলি খেয়াল করলে বুঝবেন।
দেখে নিই আইন কি বলে :
প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন, ২০০০
২ (চ) "প্রাকৃতিক জলাধার" অর্থ নদী, খাল, বিল, দীঘি, ঝর্ণা বা জলাশয় হিসাবে মাষ্টার প্লানে চিহ্নিত বা সরকার, স্থানীয় সরকার বা কোন সংস্থা কর্তৃক, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বন্যা প্রবাহ এলাকা হিসাবে ঘোষিত কোন জায়গা এবং সলল পানি এবং বৃষ্টির পানি ধারণ করে এমন কোন ভূমিও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
৩৷ আপাততঃ বলবত অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইন ও তদধীনে প্রণীত বিধির বিধানাবলী কার্যকর থাকিবে৷
৫৷ এই আইনের বিধান অনুযায়ী ব্যতীত, খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার হিসাবে চিহ্নিত জায়গার শ্রেণী পরিবর্তন করা যাইবে না বা উক্তরূপ জায়গা অন্য কোনভাবে ব্যবহার করা যাইবে না বা অনুরূপ ব্যবহারের জন্য ভাড়া, ইজারা বা অন্য কোনভাবে হস্তান্তর করা যাইবে না৷
৮ (১) কোন ব্যক্তি এই আইনের কোন বিধান লঙ্ঘন করিলে তিনি অনধিক ৫ বত্সরের কারাদণ্ডে বা অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
৮ (২) ধারা ৫ এর বিধান লঙ্ঘন করিয়া যদি কোন জায়গা বা জায়গার অংশ বিশেষের শ্রেণী পরিবর্তন করা হয়, তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নোটিশ দ্বারা জমির মালিককে অথবা বিধান লঙ্ঘনকারী ব্যক্তিকে নোটিশে উল্লেখিত জায়গার শ্রেণী পরিবর্তনের কাজে বাধা প্রদান করিতে পারিবে এবং নির্ধারিত পদ্ধতিতে অননুমোদিত নির্মাণকার্য ভাংগিয়া ফেলিবার নির্দেশ দিতে পারিবে এবং অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উক্তরূপ ভাংগিয়া ফেলিবার জন্য কোন ক্ষতিপূরণ প্রদেয় হইবে না।
(৩) এই আইনের বিধান লঙ্ঘন করিয়া যদি কোন নির্মাণকার্য সম্পাদিত বা অবকাঠামো তৈরী হইয়া থাকে সেই সকল অবকাঠামো আদালতের আদেশে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাবরে বাজেয়াপ্ত হইবে৷ (আমি রোদের ছেলের লিখা হতে নেয়া)
আমি কোন বিতর্কে যাব না। আমি শুধু সকলকে বলব । সরকার ঘোষনা দিয়ে এই জমি গুলি নিচ্ছে বলে আমারা আজ প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠছি। কিন্তু কিছু সরকারি ও বে.সরকারি কোং অঘোষিত ভাবে যে, আমাদের ফসলি জমি গুলি খেয়ে ফেলছে তা তো আমাদের চোঁখে পড়ছে না।
বাবু বা নয়াবাজার যাই বলুন সেই ব্রিজ হতে মুন্সিগঞ্জ এ যাওয়ার পথে দুই ধারে কিছু দিন আগেও সবুজ ধান আর সরিসার হলুদ ফুল সহ নানা ফসল গুলি আমাদের খাদ্য নিরাপত্তার প্রতিচ্ছবি ছিল । কিন্তু সকলের চোঁখের সামনে জমি গুলি ক্রমে ক্রমে কতগুলি ভুমি দস্যু প্রতিষ্ঠান খেয়ে ফেলছে। এবং আমারা যারা বিমান বন্দর না হওয়ার প্রতিবাদে সোচ্চার তারা গিয়ে অতি উচ্চ মূল্যে সেখানকার প্লট কিনছি। আর এই জমি গুলি কিন্তু সাধারন কৃষক বা মানুষ বেশী দামে লোভে পড়ে ঐ ভূমি দস্যূদের নিকট বিক্রি করে দিচ্ছে। আড়িয়ল বিলে যদি কোন বেসরকারি কোং কোন প্রজেক্ট করার জন্য অতি কৌশলে জমি কিনত তাহলে দেখা যেত আজ যারা প্রতিবাদ করছে তারা তাদের এই শেষ সম্বলটুকু বেশী দামে বিক্র করে দিত।
এখন সরকার যেহেতু সরকারি দামে জমি নিবে তাই তাদের এত আপত্তি। ঢাকা - মাওয়া সড়কের দুই ধারে এমন অসংখ্য সাইনবোর্ড দেখা যায়। কোন সাংবাদিক ধারাবাহিক ভাবে এই বিষয় গুলি লিখে না। কারন সাংবাদকিতাও আজ অর্থের কারেন্ট জালে জড়িয়ে গেছে । নাহ মন্তব্য অনেক বড় হয়ে গেল ।
সত্য বলাতে হয়ত অনেকেরই সমালোচনার সম্মুখীন হব। তবে বিরুধীতার জন্য বিরুধিতা না করে আমাদের সঠিক বিরুধিতা করতে হবে। এই মানরে একটি বিমান বন্দর এখন না হলেও ২০ বছর পড়ে আমাদের লাগবে। কিন্তু প্রয়োজনীয় জমি এখনই অধিগ্রহন করতে হবে। তা না হলে ভূমি দস্যুরা এই আড়িয়ল বিল খেয়ে ফেলবে ।
তখন আমাদের ফসল আর বিমান বন্দর কিছুই হবে না। শুধু আমরা আহাম্মকের মত হাওয়া খেয়ে থাকব।
আর পদ্মা সেতুর পাশেই যদি বিমান বন্দরটি হয় তা হলে মুন্সিগঞ্জ হবে বাংলাদেশের প্রাণ কেন্দ্র এটা মুন্সিগঞ্জ বাসির বোঝা উচিত।
তবে ঢাকার উপর চাপ কমানোর জন্য এখন্ই নারায়নগঞ্জ হতে মুন্সিগঞ্জ সদর হয়ে বালিগাও হয়ে ঢাকা-মাওয়া সড়ক ধরে আবার ঢাকার সাথে সংযোগ করে যদি রেললাইন করে দেয় সরকার তাহলে ঢাকার ৩০ ভাগ লোকের চাপ কমে যাবে।
যার লিখার উপর ভিত্তি করে এই লিখা তার প্রতি -আপনার তথ্য বহুল লিখার জন্য প্রথমেই ধন্যবাদ।
আমর এই লিখার মূল লক্ষ্য হল আড়িয়ল বিল সহ আইন অনুযায়ী সকল জলাশয় রক্ষার জন্য যাতে আমরা এগিয়ে আসি। আড়িয়ল বিল নিয়ে আগের একটি লিখার লিংক। যারা আগে পড়েননি তাদের জন্য- Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।