আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফেসবুক স্ট্যাটাস সংগ্রহ: ৩৪



২৩ মে, ২০১৩: # আশরাফুলের ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়ার ইতিহাসটা জানা আছে। জানা আছে মাশরাফি মর্তুজার বড় অংকের প্রস্তাব পেয়ে বোর্ডকে জানিয়ে দেওয়ার ঘটনাও। আবার বাংলাদেশী প্লেয়ারদেরই বোর্ডের নিষেধ উপেক্ষা করে ভারতীয় নিষিদ্ধ লীগ আইসিএলে খেলতে যাওয়ার নজিরও আছে। আম্পায়ার নাদির শাহর সাম্প্রতিক ঘটনাটাও জ্বলজ্বলে। তারপরেও দিল্লী পুলিশ 'আইপিএলে এখনও না খেলা এক শীর্ষ বাংলাদেশী খেলোয়াড় আইপিএলের স্পট ফিক্সিংয়ের সাথে জড়িত' বলে যে দাবীটা তুলেছে আজ, তার এখন পর্যন্ত বিন্দু মাত্র প্রমান নেই।

প্রমান করার আগে পর্যন্ত তা নিয়ে ত্যানা পেঁচাপেচির কিছু নেই। আমার দৃঢ় বিশ্বাস সেটা ভুল। বাংলাদেশীরা আসিফ-আমির-শ্রীশান্তদের জন্ম দেয় না। আর ভারতীয়দের কাজ থেকে কথা বেশি বলার ব্যাপারে বেশ সুনাম আছে। আমার ধারণা, এটা সেই সুনাম রক্ষারই অংশ।

তার বেশি কিছু না। ২৬ মে, ২০১৩: # ২০১০ এর বিশ্বকাপ ফাইনালে আরিয়েন রোবেন গোলকিপার ইকার ক্যাসিয়াসকে একা পেয়ে ঠিক একইরকম একটা ওয়ান টু ওয়ান মিস করেছিলো স্পেনের বিপক্ষে। আজ রোমান ভেইডেনফেলারের বিপক্ষে সেই একই মিসের একটা কার্বন কপি দেখলাম। মিল আরেকটা আছে, ক্যাসিয়াস এবং ভেইডেনফেলার দুজনেই ক্যাপ্টেন। তাহলে কী আজ ডর্টমুন্ডই? দারুণ উপভোগ্য উদ্বোধনী শুধু না, অ্যাটাকে-কাউন্টার অ্যাটাকে এখন পর্যন্ত দারুণ খেলা হচ্ছে।

এখন পর্যন্ত ম্যাচ সেরা ম্যানুয়েল ন্যয়ার। একাধিক ফুটবলীয় কারণে ডর্টমুন্ডকে সমর্থন করছি। # অসাধারণ ফাইনাল। দুজন গোলকিপার না, দুজন সুপার হিরোর খেলা দেখলাম। নেভেন সুবোটিচের গোললাইন ক্লিয়ারেন্স তো আছেই, লুকাস পিজ্যেকের রিবেরিকে বোতলবন্দী করে রাখাটা বেশ মন কেড়েছে।

গোটশে দর্শক বেঞ্চে বসেই প্রফেশনালিজমের পরীক্ষা দিলো বটে। যোগ্য দলই জিতেছে। তবে সবচেয়ে বড় যে ব্যাপার, রেফারিং এ তেমন কন্ট্রোভার্সাল কিছু ছিলো না। আর রোবেন, ইউ ম্যান ফায়নালি… ২৭ মে, ২০১৩: # রিকশাওয়ালার সাথে কথোপকথন: কথোপকথন-১ : : ভাই, কোথাও যাবেন নাকি? : না। : যাবেন না? : রাস্তা পার হবো।

রাস্তার ওইপারে যাবো। যাবা? : লন, উডেন (হাসতে হাসতে)। : এক টাকা ভাংতি দিতে পারবা তো? কথোপকথন-২: : সি কে ঘোষ রোড যাবা? : উডেন। : কত? : দিয়েন একটা। : উহু, আগে থেকে কও।

: ৩০ টেকা দিয়েন। যে গরম পড়ছে! : ৪০ টাকায় যাবা? কথোপকথন-৩: : মামা, চরপাড়া যাবেন? : উডেন। : কত? : ২৫ দিয়েন। : আসলাম ১৫ টাকায় আর যাওয়ার সময় ২৫? : রাইত হইছে। অহন ২৫ কইরা।

: রাত হলে কি রাস্তা লম্বা হয়ে যায় নাকি? ৩০ মে, ২০১৩: # ১) আগে একটু সময় জুটলেই হাতের কাছে যে উপন্যাসই পেতাম, নিয়ে বসে যেতাম। এখন ফ্রি থাকলেই ফোন দিয়ে ফেসবুক-ব্লগে লগ ইন করি। গল্প-উপন্যাস পড়লেও তা হয় পিডিএফ। কত্তদিন নতুন বইয়ের ধবধবা সাদা পৃষ্ঠার গন্ধ নেওয়া হয়না! দিন বদল। ২) ফেসবুকে লম্বা লেখা দেখে অনেকে অ্যাভয়েড করে হয়তো।

আমার বরং দৈর্ঘ-প্রস্থে লম্বা লেখাগুলো পড়তেই তুলনামূলক বেশি ভালো লাগে। স্ক্রল করে ওগুলোই খুঁজে নেই। দীর্ঘদিন খেয়াল করে দেখেছি দীর্ঘ লেখাগুলো ফালতু হয়না তেমন। বরং ছোট ছোট স্ট্যাটাসের মাঝে মানহীন লেখা থাকার রেশিওটা বেশি। ৩) প্রতিদিন একাধিক গ্রুপে অ্যাড হই ইদানিং।

না, আমি মোটেই বিরক্ত হই না। একটা গ্রুপ লিভ করতে মাত্র ৩-৪ টা ক্লিক লাগে সর্বোচ্চ। এতে বিরক্ত হওয়ার কী আছে? ৪) ফেসবুকে 'ছাগু' টপিক নিয়ে একটার পর একটা পোষ্টে ওয়্যাল ভরে থাকে সবসময়। আমার ধারণা গত এক বছরে ফেসবুকে সবচেয়ে বেশিবার লেখা শব্দটা 'ছাগু'। ছাগু পুন্দানিই দুনিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে ঠাওর হয় কালেভদ্রে।

৫) মাত্র ১ গিগা দিয়ে মাস চালাতে অজস্র হিসেব নিকেশ করে নেট ব্যবহার করতে হয়। ব্লগ পড়তে প্রচুর ডাটা যায়। এত হিশেব কষে ইন্টারনেট ব্যবহার অসম্ভবের রাস্তায় হাঁটছে। ৬) কয়েক বছর আগেও একটু বৃষ্টি হলেই ছাদে অথবা রাস্তায় নেমে যেতাম। তারও আগে স্কুল লাইফে বৃষ্টি হলে মা আমাকে আটকাতে গেটে তালা দিয়ে রাখতো।

এখন কত শত বর্ষাদিন-বর্ষারাত কেটে যাচ্ছে হররোজ, খেয়ালই হয় না! ফাহমিদা নবীর একটা গানের কথা ছিলো, 'চারটি দেয়াল, হঠাৎ খেয়াল। ' ৭) অনলাইনে লেখালেখি বা কথাবার্তার সাথে আমার বাস্তব জীবনের মিল আছে, এটা দাবী করলে নিজেকে একরকম ভন্ড বলা হবে। দু'টো জীবন সম্পূর্ণ আলাদা। আমার অফলাইনের জীবনটাই বেশি উপভোগ্য। ৮) ঋতুপর্ণের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকে মাথার ভিতর 'তিতলি' সিনেমার শুরুতে শ্রীকান্তের গাওয়া 'মেঘ পিয়নের ব্যাগের ভিতর মন খারাপের দিস্তা /মন খারাপ হলে কুয়াশা হয়, ব্যাকুল হলে তিস্তা' গানটা ঘুরছে।

কয়েকবার শুনেও ফেলেছি। এতদিন এমনটা হয়নি। মস্তিষ্ক পৃথিবীর সবচেয়ে আনপ্রেডিক্টেবল বস্তু। ভূমিকম্প থেকেও আনপ্রেডিক্টেবল। ৯) রুমমেট হেডফোন নিয়ে হারিয়ে ফেলেছে।

তাই লাউড স্পিকারের মেঘদল চলছে। আজকে মেঘদলের রাত। শিবু কুমার শীলের রাত। 'সিলিঙে ঝুলছে রূপবতী লাশ মহাশূন্যের মত একা। শহরে আজও বৃষ্টি হবেনা তাই কাচপোকাদের নেই দেখা।

' ১০) প্রেম-ভালোবাসাকে সাহারাগামী উঠের পিঠে তুলে দিয়েছি। সেকারণেই দীর্ঘদিন তুমি-তুমি লেখা নেই। তাই আমি-আমি-আমি বলে পোষ্ট দিলাম। ইজি টু অ্যাভয়েড। ৩১ মে, ২০১৩: # যেভাবে আজ সকাল থেকে ফেসবুক-ব্লগে, পেজে-গ্রুপে উৎপল শুভ্রকে নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে তাতে বারকয়েক মনে হয়েছে আশরাফুল-রফিক-সুজন-পাইলটরা না, দেশের ভাবমূর্তি বিসর্জন দিয়ে এই জঘন্য কাজটা উৎপল শুভ্র নিজেই করেছেন অথবা করিয়েছেন।

'সমালোচনা' শব্দটাও ঠিক ব্যাপারটার সাথে যাচ্ছে না, সমালোচনায় যুক্তি থাকে, তাই এটাকে নোংরামি বললে বিন্দুমাত্র অত্যুক্তি হবে না। উৎপল শুভ্র, আপনি এককালে ফর্মে থাকা আশরাফুলের পিঠ চাপড়েছেন কেন, তাই এখন সব দোষ আপনার। আশরাফুলের পড়তি ফর্মের সময়ও তাকে হাইলাইট করেছেন কেন, তাই সব দোষ আপনার। আজকে ফিক্সিং কেলেঙ্কারী ফাঁস করে দিলেন কেন, তাই সব দোষ আপনার। আপনি না জানালে তো আর কেউ কোনোদিন জানাতো না।

আইসিসি ফিডারে দুদু খেত বসে বসে। আর আপনি, ছি:। মাথায় উঠালে আর তো নামানোর নিয়ম নেই, জানেন না? আপনাকে পক্ষপাত করতে হবে। বলতে হবে 'আশরাফুলকে ব্যবহার করা হয়েছে। ও দুধের শিশু।

ও এসব বোঝেই না। ' আপনি হাঁটে হাড়ি ভেঙে দিয়েছেন। মাটির হাঁড়ি পেলেই ভেঙে দিবেন, অ্যা? আপনি ভারতের দালাল। আপনি পাকিস্তানের দালাল। @[638240201:Utpal]দা', বলি কী, আপনার জুনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিক কলিগদের দেখে কিভাবে পিঠ বাঁচিয়ে চলতে হয়, পাবলিক সেন্টিমেন্ট রক্ষা করে কিভাবে বাহবা পেতে হয়, কিভাবে উভয়পক্ষ রক্ষা করে লিখতে হয় তা এবেলা শিখে নেন।

২ জুন, ২০১৩: # ১) খোলা মাঠের মধ্যে দিয়ে মানুষের চলাচলের ফলে পায়ে হাঁটা যে রাস্তা তৈরি হয়, খেয়াল করে দেখেছি তা কখনোই সোজা হয় না। সবসময়ই আঁকাবাঁকা হয়। দেখে মনে হতে বাধ্য মানুষের হাঁটা বাঁকা। অঞ্জন দত্তের একটা গানের লাইন খুব প্রিয়, 'আমার রাস্তা হাঁটে, আমি হাঁটি না। ' ২) সমাজ পরিবর্তনের অভিলাষ নিয়ে অনলাইনে লেখালিখি করে ফয়দা নেই।

সে চিন্তাও মাথায় নিয়ে যারা আসেন, আমি ভাবতে পছন্দ করি তারা বোকার স্বর্গে বালুঘর বানিয়েছেন। যে হাদারাম লোকটা ভাবতো ফেসবুকে-ব্লগে লিখে সমাজের বদল করে ছাড়বে, সে জেলের ঘানি টানতেছে। জামিন হয়নি। ৩) ভার্চুয়াল জগতে আপনার সাথে আমার মতের মিল নাও হতে পারে। না হওয়াটাই স্বাভাবিক।

নিজের মতকে প্রতিষ্ঠিত করতে ভিন্ন মতের জুড়ি নেই। তাই বলে ভার্চুয়াল জগতের মতবিরোধ বাস্তব জীবনে টেনে আনার বিন্দুমাত্র কারণও খুঁজে পাইনা। অনলাইনের জীবন আর অফলাইনের জীবন সম্পূর্ণই আলাদা। সাদৃশ্য খোঁজা অনর্থক। # 'কর্মকর্তারাই খেলোয়াড়দের ম্যাচ ছেড়ে দিতে বলেছেন।

ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের ম্যানেজার সাবেক ক্রিকেটার সানোয়ার হোসেনের রুমেই হয়েছিলো চিটাগং কিংসের কাছে হারের পরিকল্পনা। ' -মোহাম্মদ রফিক গতকাল মিডিয়ার সামনে নাকি কথাগুলো বলেছেন। এটা পড়ে বিশাল এক খটকা লেগে গেছে। রফিক বলেছেন, 'খেলোয়াড়দের', রিড অ্যাগেইন, 'খেলোয়াড়দের' ম্যাচ ছেড়ে দিতে বলেছেন কর্মকর্তারা। তাহলে প্রশ্ন হলো, আশরাফুল ছাড়া আর কোন কোন খেলোয়াড়কে এই কথা বলা হয়েছিলো? আর কে কে ওই ম্যাচটা ছেড়েছিলো? তাহলে আশরাফুল নেতৃত্বে থাকলেও নিশ্চয়ই একা ম্যাচটা ছাড়েনি, সাথে আরও কিছু সতীর্থ ছিলো; রফিকের উক্ত কথায় এটুকু স্পষ্ট।

তাই না? আরেকটা ব্যাপার, ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের বোলিং কোচ এবং মেন্টর ছিলেন রফিক। তিনি যখন জানতেন যে খেলোয়াড়দের ম্যাচ ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে এবং কার রুমে মিটিংয়ে বলা হয়েছে তাও জানতেন তাহলে তিনি আকসু, বিসিবি বা গেম অনকে ব্যাপারটা তখনই জানাননি কেন? এ কথাটা স্বীকার করে তো নিজের সততার উপরই একটা বড়সড় যুতসই প্রশ্নবোধক চিহ্ন লাগিয়ে দিলেন রফিক। ৩ জুন, ২০১৩: # এক দামিনী কয়েক মিনিট ধর্ষিত হওয়াতে প্রায় দেড়শ' কোটি মানুষের একটা দেশের ভিত্তি কেঁপে যেতে দেখেছিলাম। অথচ মাত্র ১১ বছরের একটা হিন্দু মেয়ে, পূর্ণিমাকে ধর্মান্তরিত করে মুসলিম বানিয়ে টানা ৫৫ দিন ধর্ষণ করায় বেশি হলে এখন দেড়শ' মানুষের মুখ দিয়ে একটু 'চুক-চুক' শব্দ শুনবো। তাও ভালো, 'চুক-চুক' শব্দটা বোরিং না, শুনতে ভালোই লাগবে।

পুশি ক্যাট চুক-চুক করে দুদু খায়। ও হ্যা, তার থেকে আর কী বেশি হবে শুনি? পত্রিকার এক কোনায় একটা ছোট কলাম আর খুব বেশি হলে লোকাল থানায় একটা মামলা, তাই তো? কিছুদিন পরে সেই ফাইলটায় চকবার আইসক্রিমের মত জমে যাবে এক প্রস্থ ধূলার মেটে রংয়ের আস্তরণ। এসবে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। ওয়ান অ্যান্ড অনলি কারণ, মেয়েটা হিন্দু এবং তাকে হিন্দু থেকে মুসলিমে রূপান্তরিত করে ধর্ষণ করা হয়েছে, মুসলিম থেকে হিন্দুতে রূপান্তরিত করে নয়। এর উল্টোটা হলে এই বঙ্গদেশে এতক্ষণে অনুভূতির তুফান বয়ে যেত, জাতোদ্ধারের সিডর মোকাবেলায় হিমশিম খেতে হতো।

পূর্ণিমা, ভাগ্যিস মালাউন ঘরে জন্মে জাতিটাকে এযাত্রা বাঁচিয়ে দিলি বোন। আরেকটা অনুভূতির দূর্যোগের ধাক্কা সামলাবার ক্ষমতা এ জাতির ছিলো না। এখন যা, দেশান্তরী হ। দূরে গিয়ে মর! # ১) খোলা মাঠের মধ্যে দিয়ে মানুষের চলাচলের ফলে পায়ে হাঁটা যে রাস্তা তৈরি হয়, খেয়াল করে দেখেছি তা কখনোই সোজা হয় না। সবসময়ই আঁকাবাঁকা হয়।

দেখে মনে হতে বাধ্য মানুষের হাঁটা বাঁকা। অঞ্জন দত্তের একটা গানের লাইন খুব প্রিয়, 'আমার রাস্তা হাঁটে, আমি হাঁটি না। ' ২) সমাজ পরিবর্তনের অভিলাষ নিয়ে অনলাইনে লেখালিখি করে ফয়দা নেই। সে চিন্তাও মাথায় নিয়ে যারা আসেন, আমি ভাবতে পছন্দ করি তারা বোকার স্বর্গে বালুঘর বানিয়েছেন। যে হাদারাম লোকটা ভাবতো ফেসবুকে-ব্লগে লিখে সমাজের বদল করে ছাড়বে, সে জেলের ঘানি টানতেছে।

জামিন হয়নি। ৩) ভার্চুয়াল জগতে আপনার সাথে আমার মতের মিল নাও হতে পারে। না হওয়াটাই স্বাভাবিক। নিজের মতকে প্রতিষ্ঠিত করতে ভিন্ন মতের জুড়ি নেই। তাই বলে ভার্চুয়াল জগতের মতবিরোধ বাস্তব জীবনে টেনে আনার বিন্দুমাত্র কারণও খুঁজে পাইনা।

অনলাইনের জীবন আর অফলাইনের জীবন সম্পূর্ণই আলাদা। সাদৃশ্য খোঁজা অনর্থক। ৪) একটা বড় বোন ছিলো। আই মিন হইছিলো। ক্লাস নাইন-টেন পর্যন্ত।

মায়ের কলিগের মেয়ে। কথায় কথায় উপদেশ দিতো। ওর নাম দিয়েছিলাম 'মিস উপদেশ'। প্রচন্ড মেজাজ খারাপ হতো তখন। অনেকদিন কেউ কোনো উপদেশ দেয় না।

তাই হঠাৎ করে আজকে আমার ডেল কর্নেগী, লুৎফর রহমান পড়তে ইচ্ছে করছে। একটু উপদেশমূলক আর নীতিবাক্য আর কী! ৫) নিমাই ভট্টাচার্য্যের একটা উপন্যাসে পড়েছিলাম, পুরুষ মানুষ মা-বাবা-স্ত্রী-সন্তান সুন্দর কি-না তা খেয়ালই করে না। সুন্দরী হলেও মা, কুৎসিত হলেও মা। মা মা'ই। লোকটার লেখা আমার ক্ষেত্রে ফলে নি।

আমি খেয়াল করেছি, আমার মা ভীষণ সুন্দর। তার থেকে সুন্দর নারী আমি কোথাও দেখিনি। ৫ জুন, ২০১৩: # : বাবুল, আশরাফুল এত বড় ভুল ক্যামনে করতে পারলো? : স্যার, দোষটা ঠিক ওর না। সেই ২৯ বছর আগে আলহাজ্ব আব্দুল মতিন এবং শাহিদা খাতুন ভুলবশত ছেলের নাম 'আশরাভুল' রাখতে গিয়ে আশরাফুল রেখে ফেলেছিলেন। ছেলে শুধু বাপ-মায়ের ভুল শোধরাতেই ভুলটা প্রাকটিক্যালি করে দেখালো আর কী! ৬ জুন, ২০১৩: # না না হৃদয়ঘটিত না, ফেসবুকঘটিত কিছু সমস্যা: ১) আমাকে সারাদিন নাকি অনলাইন দেখায়।

চ্যাটে অফলাইন রাখার পরেও। ইনবক্সে নক আসে। অথচ সারাদিনে টোটাল ১ ঘন্টাও অনলাইনে থাকি না। তবে দিনের মাঝে ফাঁকে ফাঁকে কয়েকবার ফোন থেকে লগ ইন করি নোটিফিকেশন চেক করতে, সেটা কয়েক মিনিটের জন্যই। এটাও অ্যাভয়েড করা যেত কিন্তু অন্য একটা সমস্যাও আছে।

বাপি মাঝে মাঝে অনলাইনে আসে। নিশ্চয়ই ভাবছে, পড়াশুনা ফেলে ছেলে আমার ফেসবুক উদ্ধার করে বেড়াচ্ছে! ক'দিন আগে একবার দেখি আমি অফলাইনে থাকা অবস্থায় চ্যাটেও নক করেছে! এর সমাধান কী? বাই দ্যা ওয়ে, কেউকে রিপ্লাই না দিতে পারলে বুঝে নিবেন, সমস্যাটা আমার না, জুকারের। ২) ১১ জনকে ফলো করি। তাদের ফ্রেন্ডলিস্টে জায়গা হয়নি, তাই। কিন্তু শো করে ১৫ জনকে ফলো করছি।

৪ জনকে অনেক খুঁজেও না পেয়ে ভাবছি এই 'ইনভিন্সিবল ফোর' কারা? আমার ধারণা ফ্রেন্ডলিস্টও অনেক বেশি দেখাচ্ছে অরিজিনাল সংখ্যার তুলনায়। এই সমস্যার সমাধান কী? ৩) ইদানিং ওয়্যালে অনেককে লিখতে দেখছি ৪-৫ টা রিকোয়েস্ট পেন্ডিং থাকলেই নাকি ফেসবুক ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট সেন্ড ব্লক করে দেয় এক মাসের জন্য? সঠিক সংখ্যাটা কত? আমার কয়েকজনকে রিকোয়েস্ট পাঠানো দরকার, এই সমস্যা সম্পর্কে না জেনে পাঠাতে চাইছি না। ৪) একটা বোনাস সমস্যা। এটা ব্লগঘটিত। এক বন্ধু সামুতে একাউন্ট খুলে দিতে বলেছে।

দু'দিন ধরে চেষ্টা চালালাম। কিছুতেই পারছি না। সামুর সার্ভারের সমস্যা ঠিক করতে গিয়ে তো দেখি মাল্টিপল সমস্যা তৈরি করে দিয়েছে। এটার সমাধান জানা আছে কারো? আমি এসব ব্যাপারে একদম নাদান কিসিমের। টেকি এবং এক্সপার্ট ভাইদের দিকে তাকিয়ে এই সাময়িক স্ট্যাটাসটা দিলাম।

এখন কোনো সহৃদের চোখে পড়লেই হয়! ৭ জুন, ২০১৩: # ধর্ষণের এজ লিমিট কমতে কমতে ১৭ মাসের মেয়ে শিশুতে এসে ঠেকেছে। খুব শীঘ্রই একদিন এই অদ্ভুত উঠের পিঠে সাওয়ার দেশটায় সদ্যজাত ১৭ মিনিটের বাচ্চার ধর্ষণের খবরও শুনবো বলেই ঠাওর হয়। নিউরণে-নিউরণে পুরুষত্ত্বানুভূতি সঞ্চারিত হতে হবে। সেরেব্রাল কর্টেক্সের বদলে মাথার ভিতর থাকবে উত্থিত শিশ্ন। তবেই না পুরুষাঙ্গের প্রাপ্য মর্যাদাটা ঠিকঠাক প্রতিষ্ঠা হবে! আপনি মোহামেডান সাপোর্ট করেন তাই আবাহনীর বিরোধীতা করেন।

আপনি বার্সেলোনা সাপোর্ট করেন তাই রিয়াল মাদ্রিদের বিরোধীতা করেন। আপনি ফেদেরারকে সাপোর্ট করেন তাই নাদালের বিরোধীতা করেন। আপনি বাংলাদেশকে সাপোর্ট করেন তবু পাকিস্তানের বিরোধীতা করতে এত বাঁধে কেন? পাকিস্তানের প্রতিটা পরাজয়ই তৃপ্তির। জয় বাংলা। ৯ জুন, ২০১৩: # মানিব্যাগ খোয়া গেছে।

মানিব্যাগে টাকার সাথে ডিবিবিএলের কার্ড, ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফটোকপি এবং মেডিকেল কলেজের আইডি কার্ড ছিলো। ব্যাংকে যাচ্ছি কার্ড তোলার অ্যাপ্লিকেশন করতে, জিডি করতে থানায়। আর কোনো প্রসিডিওর লাগবে? এই প্রথম এই ধরণের পরিস্থিতির শিকার হলাম। # ১) প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ লো-স্কোরিং ম্যাচ দেখতে ভীষণ মজা। আজকাল হরহামেশা এই ধরণের সুযোগ হয় না।

একটা সময় ভেবেছিলামও আর কখনও বোলারদের ডোমিনেট করতে দেখা যাবে কি-না! কারণটা সম্ভবত টি-টুয়েন্টির আগ্রাসন। কিন্তু না। এই টুর্নামেন্টে এর মধ্যেই একাধিক লো-স্কোরিং ম্যাচ দেখা হয়ে গেছে। আরও কিছু দেখা যাওয়াটাই স্বাভাবিক হবে। ২) বার্মিংহ্যামের এসবাস্টন, লন্ডনের ওভাল বা কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনস, কোথাও ইংল্যান্ডের প্রথাগত সুইং দেখলাম না।

একটার পর একটা সর্পিল সুইং ব্যাট মিস করে উইকেটকিপারের হাতে যাচ্ছে আর পেসাররা তৃপ্তি নিয়ে রান-আপে ফিরছে, এমন কিছুরই প্রত্যাশা ছিলো টুর্নামেন্টের আগে। পিচে ক্যারি আছে, বাউন্স আছে কিন্তু সুইং নেই বলতে গেলে। কদিন আগে ভারতের প্রথাগত উপমহাদেশীয় পিচেই স্টেইন-ফালক্ִনার-জনসন-ভুবনেশ্বরদের সুইং করাতে দেখলাম, অথচ ইংল্যান্ডের মাটিতে, খানিকটা ফেভারেবল আবহাওয়ায়ও সেটা নেই। জেমস অ্যান্ডারসন যখন সুইং পাবে না তখন আপনার বাকিটা বুঝে নিতে দেরি হওয়ার কথা না। বরং পিচগুলোতে বেশ টার্ন আছে স্পিনারদের জন্য।

তার প্রমান প্রথম ৪ টা ম্যাচ। স্পিনাররা বেশ সফল। টুর্নামেন্টের প্রগ্রেশনের সাথে সাথে দুই স্পিনার নিয়ে নামাটাই ট্যাকটিকস হয়ে যাবে বলেই মনে হয়। অস্ট্রেলিয়ার ইংল্যান্ডের কাছে ধরা খাওয়ার মূল কারণটাই ছিলো স্পিনার ছাড়া দল সাজানো। ৩) দলগুলোর ফিল্ডিং হচ্ছে অসাধারণ।

অন্য মানের। প্রায় সব দলই ফিল্ডিংয়ে দুর্দান্ত। সেকেন্ডের ফ্রাকশান টাইমের রিয়াকশনে ধরা ক্যাচগুলো দেখার মত। গ্রাউন্ড ফিল্ডিংটাও। ৪) নিউজিল্যান্ডের জার্সিটা ভীষণ ভালো লেগেছে।

অবশ্য বেশ কয়েকবছর আগে থেকেই নিউজিল্যান্ডের কিটগুলো বাকি সব দলগুলোর থেকে সুন্দর থাকে। ৫) ইংল্যান্ডে উপমহাদেশীয় দলগুলোর প্রচুর সমর্থক। অবাক করার মত। ভারত-পাকিস্তান-শ্রীলংকা থেকে সাপোর্টার বেশি আছে শুধুমাত্র স্বাগতিক ইংল্যান্ডেরই। ৬) একটা মাত্র রিভিউ চান্স থাকায় এখনও যথেষ্টই ভুল সিদ্ধান্ত হচ্ছে।

এমনিতে থার্ড আম্পায়ার কল করে কত সময় অপচয় হয় আর ফেয়ার আম্পায়ারিংয়ের স্বার্থে একটা মাত্র রিভিউ বাড়াতে আইসিসির এতটা কষ্ট কেন বুঝি না! আজকের শ্রীলংকার পরাজয়টার পিছনেও মাত্র একটা ডিআরএস বেশ ভূমিকা রেখেছে। ৭) সব দলের একটা করে ম্যাচ হয়ে গেলে সাধারণত সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়ন সম্পর্কে খানিকটা অনুমান করা যায়। কিন্তু এই টুর্নামেন্টে অনুমান করা যাচ্ছে না। সব দলই কম্পিটিটিভ। গ্যালারি ভর্তি দর্শক।

তারপরও আইসিসি বলেছে, চ্যাম্পিয়নস লীগের জনপ্রিয়তা নাকি হ্রাস পেয়েছে! ১০ জুন, ২০১৩: # একটা পত্রিকায় দেওয়া বাপ্পা মজুমদারের সাক্ষাৎকারের কথা মনে পড়ে। বেশ কয়েকবছর আগের। @[744865412:Bappa]দা'কে প্রশ্ন করা হয়েছিলো, আপনার অনেক গানের সুরগুলো ধরতে গেলে প্রায় একই ঘরানার হয়ে যাচ্ছে। স্টাইলটা ভেঙে এটা থেকে বের হননা কেন? যদ্দুর মনে পড়ে বাপ্পাদা' উত্তর দিয়েছিলেন, অন্যভাবে নেবেন না, তুলনার জন্যেও বলছি না, একটা কমন সুর শুনলেই এক ঝটকায় বুঝে ফেলা যায় এটা রবীন্দ্রসঙ্গীত। আমারও নিজের একটা ধারা আছে।

এখান থেকে বের হতে চাই না। কখনোই না। আমি চাই আমার মৃত্যুর পর একটা স্পেসিফিক সুর শুনে কেউ বলে দেবে এটা বাপ্পা মজুমদারের গলা। স্পষ্ট উত্তরটা বেশ মনে ধরেছিলো আমার। একটা স্বকীয় ধারা সবসময়ই প্রিফার করি, সেটা গান, লেখালেখি, চিত্রকল্প, খেলাধুলা বা আচার-আচরণ-কথাবার্তা, যাই হোক।

বাপ্পা মজুমদার শুনি। সাথে দলছুট। সঞ্জীবদা'র গান কানে আসলেই একটা আক্ষেপ ঝনঝন করে গোটা মস্তিষ্কে। কিছু নতুন সহ পুরানো সলো অ্যালবামগুলো নিয়ে বসেছি। 'জলের দামে দিলাম খুলে রাতেরও দুয়ার সস্তা ভেবে উড়াল দিলো, উষ্ণ হাহাকার এখন এমন কেউ নেই যে আমার আধার এলেই খুলে দেবে দুয়ার।

'


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.