চাই সুন্দর ভাবে বাঁচতে...তাই চাই একটি সুন্দর পৃথিবী......
বিশ্ব বদলে যাচ্ছে। একই সাথে বদলে যাচ্ছে মনুষ্যজাতের জীবন যাপন। প্রযুক্তির অনিবার্যতা আর প্রয়োজনের তাগিদ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলেছে ব্যাপকভাবে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রযুক্তি শুধু অফিস কিংবা আদালতেই নয়; প্রযুক্তি চর্চা চলছে মানুষের জীবনের প্রতিটি মূহুর্তে । এখন কোন পিতা মাতা - ছেলে মেয়েকে, কোন প্রেমিকা-প্রেমিককে হলুদ খামে ভরে কাগজের চিঠি পাঠায় না।
সেখানে স্থান নিয়েছে মোবাইল ফোনের এসএমএস। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা বদলে দিয়েছে রোমান্সের ধরনকে। একই সাথে বদলে দিয়েছে সাধারন চলাফেরাকে। হাতের মুঠোয় মোবাইল ফোন, পকেটে পেন ড্রাইভ, গলায় ঝোলানো ডিজিটাল ক্যামেরা মানুষের ফ্যাশন ভাবনাকে পর্যন্ত নতুন করে চিন্তা করতে শিখিয়েছে। বছর চক্রের সাথে বদলে যাচ্ছে আমাদের জীবন।
প্রাচীনকাল থেকে চালু প্রবাদে আছে ‘বই পড়, নিজেকে জানো, বিশ্বকে জানো’। কিন্তু এই প্রবাদ হয়তোবা পরিবর্তন হতে বসেছে। এখন এই প্রবাদের নতুনকরন করলে হতে পারে‘ইন্টারনেটকে জানো , নিজেকে জানো, বিশ্ব-মহাকাশ সবই জানো’। ইন্টারনেট জীবনের সাথে এমনভাবে জড়িয়ে গেছে যে, একে ছাড়া এখন আধুনিক জীবনযাপন কল্পনা মাত্র। এটা কিন্তু কোন বিলাসিতা বা আনন্দের বিষয় নয়।
এটা প্রয়োজনীয়তার বিষয়। যে তথ্য ১০০০ পৃষ্ঠার মোটা বই খুঁজে পাওয়া যায় , তা এখন সার্চের মাধ্যমে সহজেই পাওয়া সম্ভব। ইন্টারনেটের এতোসব বিশাল প্রয়োজনীয়তার কারনে এটি শুধু কম্পিউটারেই সীমাবদ্ধ থাকে নি। এটি এখন দখল করে নিয়েছে সংবাদপত্রকেও । বড়দের কাছ থেকে শুনেছি আগে পত্রিকা একটা পাওয়া যেতো নাকি পত্রিকার তারিখের ৩/৪ দিন পর, সেটা পড়তে পড়তে আবার আরেকটা তারিখের পত্রিকা পেতো ।
এভাবেই রাজধানী থেকে জেলা/উপজেলা শহরগুলোতে পত্রিকা পৌঁছত। এর পরে এখন রাজধানীতে রাত ১২টার পরেই পত্রিকা পাওয়া যায় হকারের কাছে আর জেলা/উপজেলা শহরগুলোতে ভোর বেলায় পত্রিকা পৌঁছে যায়। এখন আবার পাঠক যে একটা পত্রিকা কিনবে আবার সেটা হাতে নিয়ে হাটবে এ মন মানসিকতা দিন দিনই কমে যাচ্ছে। পাঠক এখন স্বল্প পরিশ্রমে অল্প কথায় খবর বুঝে নিতে চায়, চায় তথ্যের গভীরে পৌঁছাতে। অল্প সময়ে চায় তথ্যকে জানতে ।
তেমনি সংবাদকর্মীরাও এখন অনলাইন সাংবাদিকতা বা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সাংবাদিকতায় ঝুঁকছে । একটা সংবাদ প্রেরন করার জন্য সংবাদকর্মীকে এখন আর আগের মতো একবার কাগজে কলমে লিখা তার পর সেটাকে আবার ডাকযোগে বা ফ্যাক্সের মাধ্যমে পাঠাতে হচ্ছে না। কম্পিউটারে কম্পোজ করেই মুহুর্তের মধ্যে পাঠিয়ে দিচ্ছে ইন্টারনেটে ই-মেইলের মাধ্যমে । এতে যেমন সময় বাঁচলো তেমনি বাঁচা গেলো ঝামেলা থেকেও। আবার পত্রিকার অফিসের দিকে দেখলে সেখানেও সুবিধা।
ডাকযোগে বা ফ্যাক্সযোগে একটা সংবাদ গ্রহন করার পর তা আবার টাইপ করা এরপর একজন প্রুফ দেখে পত্রিকায় ছাপানোর উপযোগী সংবাদ তৈরি করা ইত্যাদি ঝামেলা আর করতে হচ্ছে না। এখন ইমেইলে পাওয়া সংবাদ অফিসে পুনরায় টাইপ না করে শুধু প্রুফ দেখে বা এডিট করে সংবাদ তৈরী করার চমৎকার সুযোগ রয়েছে। এজন্য এখন যে সংবাদপত্র যত বেশী ইন্টারনেটকে ব্যবহার করছে সে সংবাদপত্রই প্রতিযোগীতায় সবার চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। সুতরাং এখন যে সংবাদপত্র ইন্টারনেটকে সফলভাবে ব্যবহার করবে, যারা অনলাইন সাংবাদিকতা বা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সাংবাদিকতা নিয়ে এগিয়ে চলবে সফলতা তাদের দরজায় এসে টোকা দিয়ে একসময় বলার সম্ভাবনা আছে “ভিতরে আসতে পারি?”
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৫তম অধিবেশনে যোগ দিতে ১৮ সেপ্টেম্বর সকাল আটটা ১৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানযোগে নিউইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। যুক্তরাষ্ট্র গমন থেকে শুরু করে ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে ভাষণ দেয়া পর্যন্ত যে যে সংবাদ দেশের ৪ টি অনলাইন সংবাদপত্র এবং ৪ টি দৈনিক সংবাদপত্র প্রকাশ করেছে সেসব সংবাদের তুলনামূলক আলোচনা এখানে তুলে ধরছি।
৪ টি অনলাইন সংবাদপত্রের মধ্যে রয়েছে প্রথম আলো অনলাইন, বিডিনিউজটোয়ন্টিফোর, শীর্ষ নিউজ ডট কম এবং বাংলানিউজ। ৪টি জাতীয় দৈনিকের মধ্যে রয়েছে প্রথম আলো, ইত্তেফাক, কালের কণ্ঠ এবং যুগান্তর।
প্রথমেই দেখা যাক ৪টি অনলাইন সংবাদপত্রের কে কী ধরণের সংবাদ পরিবেশন করেছে। এদের সংবাদের ট্রিটমেন্টই বা কেমন। তারিখ সহকারে ৪টি অনলাইন সংবাদপত্রের মধ্যকার তুলনামূলক পার্থক্য নিচে তুলে ধরছি :
১৯ সেপ্টেম্বর , ২০১০
শীর্ষ নিউজ ডট কম :
শিরোনাম- 'ইউরোপ প্রবাসীদের দেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর '
রাত ১০ টায় এই সংবাদটি দেখতে পাই দ্বিতীয় লিড হিসেবে।
যেখানে প্রধানমন্ত্রী , আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির উন্নয়নে দেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য ইউরোপে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ইন্টারন্যাশনাল হোটেল শেরাটনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। জাতিসংঘের ৬৫তম সাধারণ সভায় যোগদানের পথে যাত্রাবিরতিতে ব্রাসেলসে এ সভা আয়োজিত হয়। .....
এই সংবাদটিতে মোট ১৮৯ টি শব্দ রয়েছে। ইনসার্টে প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেয়া হয়েছে।
তবে কোন সূত্র উল্লেখ করেনি।
প্রথম আলো :
শিরোনাম- 'সাধারণ পরিষদের অধিবেশন; প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কে পৌঁছাবেন আজ'
এটি ছিল প্রথম আলোর শিরোনাম। যেখানে বলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৫তম অধিবেশনে যোগ দিতে গতকাল শনিবার সকাল আটটা ১৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানযোগে নিউইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। ....... সংবাদটির সূত্র হিসেবে প্রথম আলো ব্যবহার করেছে- বাসস ও ইউএনবিকে।
এখানে অনেক বড় করে প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেয়া হয়েছে।
মোট ৩১০শব্দের এই সংবাদটি।
বাকি দুটি অনলাইন সংবাদপত্র -বিডিনিউজ২৪ এবং বাংলা নিউজ এদিন প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কোন সংবাদ পরিবেশন করেনি।
প্রথম আলো এবং শীর্ষ নিউজ ডট কম, আলাদা বিষয় নিয়ে শিরোনাম করেছে। শীর্ষ নিউজ কোন সূত্রের উল্লেখ করেনি। তবে প্রথম আলো বাসস এবং ইউএনবিকে সূত্র উল্লেখ করেছে।
তবে দুটি অনলাইন সংবাদপত্রেই ছবি ব্যবহারকরা হয়েছে।
২০ সেপ্টেম্বর , ২০১০
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর .কম .বিডি :
শিরোনাম: 'নিউইয়র্কে সম্মাননা পুরস্কার নিলেন প্রধানমন্ত্রী'
এদিন বিকেল ৪টায় এটি প্রধান সংবাদ/লিড হিসেবে দেখতে পাই। শিশুমৃত্যু হার কমানোয় ভূমিকা রাখার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে বিশেষ সম্মানজনক পুরস্কার দিয়েছে জাতিসংঘ। স্থানীয় সময় রোববার বিকেলে এ পুরস্কার গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার দুপুরে নিউইয়র্কে পৌঁছে স্থানীয় সময় বিকেলে একটি হোটেলে এ পদক প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি।
...... নিউইয়র্ক থেকে মনোয়ারুল ইসলামের পাঠানো সংবাদ এটি। পিআইডি থেকে প্রাপ্ত ছবি এরা ব্যবহার করেছে। মোট ২৭৪ টি শব্দ রয়েছে এ সংবাদটিতে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম :
শিরোনাম: 'প্রধানমন্ত্রী নিউ ইয়র্কে'
বিকেল ৪টায় দ্বিতীয় লিড হিসেবে এটি দেখতে পাই। তবে সংবাদটি দেয়া হয়েছে বাংলাদেশ সময় সকাল ১০ টা ২৫ মিনিটে।
নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাধারণ পরিষদের ৬৫তম এ অধিবেশন শুরু হচ্ছে সোমবার। ..... মোট ১৯৮টি শব্দ রয়েছে এতে। সূত্র হিসেবে বাসস এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রথম আলো :
শিরোনাম: 'সহস্রাব্দের লক্ষ্য মাত্রা অর্জনের সাফল্যে বাংলাদেশ পুরস্কৃত '
বিকেল সাড়ে ৪টায় এটি দেখতে পাই ৩য় লিড হিসেবে।
সহস্রাব্দের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অসাধারণ সাফল্যের জন্য বাংলাদেশ জাতিসংঘ পুরস্কার অর্জন করেছে। সহস্রাব্দের লক্ষ্যমাত্রা বিশেষ করে শিশু মৃত্যুর হার কমানোর সাফল্যের জন্য বাংলাদেশকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার নিউইয়র্কের একটি হোটেলে এক জমকালো অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে পুরস্কারটি তুলে দেওয়া হয়। ......... বাসসকে সূত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর অনেক বড় ছবি দেয়া হয়েছে।
মোট ১১৮শব্দের মধ্যে এ সংবাদটি করা হয়েছে। প্রথম আলো : 'সহস্রাব্দের লক্ষ্য মাত্রা অর্জনের সাফল্যে বাংলাদেশ পুরস্কৃত' এটিকে ফ্ল্যাশে নিয়ে আসে।
প্রথম আলো এবং বাংলা নিউজ, প্রধানমন্ত্রীর পুরস্কার প্রদানের বিষয়টি নিয়ে শিরোনাম করেছে। কিন্তু বিডি নিউজ শুধু বলছে, প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্ক পৌছেঁছেন এই খবরটি।
অন্যদিকে, শীর্ষ নিউজ এদিন প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কোন সংবাদ দেয়নি।
২১ সেপ্টেম্বর , ২০১০
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর .কম .বিডি :
শিরোনাম: 'প্রতিশ্রুত সহায়তা ছাড়া এমডিজি অর্জন সম্ভব নয়: শেখ হাসিনা'
বিকেল ৫ টা ৪৭ মিনিটে এটি দেয়া হয় বলে বাংলানিউজটোয়োন্টিফো বলছে। তবে আমি দেখতে পাই ৬টার পরে। প্রথম লিড হিসেবে ছিল এটি। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সময় মতো অর্থ সহায়তা না দিলে এমডিজি অর্জন সম্ভব নয়। এজন্য ধনীদেশগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।
এটিই ছিল প্রধানমন্ত্রীর আহবান। ছবিও ছিল। মোট ১৫৩টি শব্দ ছিল এ সংবাদে।
প্রথম আলো :
শিরোনাম: '২০১৫ সালের মধ্যে এমডিজি অর্জনে বাংলাদেশ অঙ্গীকারবদ্ধ : প্রধানমন্ত্রী'
রাত ৮ টা ৩০ মিনিটে আমি এই সংবাদটি দেখতে পাই দ্বিতীয় লিড হিসেবে। তবে এর আগে স্ক্রলে ফ্ল্যাশ হিসেবে দেখা গেছে বিকেল ৬টা থেকে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য উন্নত দেশগুলোকে বর্ধিত সহায়তা দেওয়ার অঙ্গীকার করার আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল সোমবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-সংক্রান্ত (এমডিজি) শীর্ষ সম্মেলনের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি এ আহ্বান জানান। .......সূত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে বাসসকে। বড় করে ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। মোট ৩৯০ শব্দের এই সংবাদটি।
শীর্ষ নিউজ ডট কম :
শিরোনাম: 'ধনী দেশগুলোর সহায়তা ছাড়া এমডিজি অর্জন সম্ভব নয়: প্রধানমন্ত্রী'
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এটি দেখতে পাই। দ্বিতীয় লিড হিসেবে এটি ছিল। ছোট করে ছবি ব্যবহার করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ধনী দেশগুলোর সহায়তা ছাড়া সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য (এমডিজি) অর্জন সম্ভব নয়। এজন্য ধনী দেশগুলোকে প্রতিশ্রুত অর্থ নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
........সংবাদটিতে মোট ১০১টি শব্দ আছে।
এমডিজি অর্জন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য দিয়েই শিরোনাম করেছে তিনটি অনলাইন সংবাদপত্র। তবে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর ১৫৩ শব্দ, প্রথম আলো ৩৯০ শব্দ এবং শীর্ষ নিউজ ১০১ শব্দের সংবাদ দিয়েছে।
অন্যদিকে, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে এদিন কোন সংবাদ দেয় নি।
২২ সেপ্টেম্বর , ২০১০ :
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর .কম .বিডি :
শিরোনাম : 'জাতিসংঘে আন্তর্জাতিক জলবায়ু পরিবর্তন তহবিল গঠনের আহ্বান শেখ হাসিনার '
বাংলাদেশ সময় ৪ টা ৫৮ মিনিটে এ সংবাদটি দেয়া হয়।
বড় করে ছবি দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোর দাবি অনুযায়ী আন্তর্জাতিক জলবায়ু পরিবর্তন তহবিল গঠন করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে উন্নতদেশগুলোকে তাদের প্রতিশ্রুত সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ….......মোট ১৮১টি শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। ফ্ল্যাশে ছিল: আন্তর্জাতিক জলবায়ু পরিবর্তন তহবিল গঠনের আহ্বান শেখ হাসিনার।
এদের লিড স্টোরি ছিল তখন এটি।
প্রথম আলো :
শিরোনাম: 'এলডিসি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে শেখ হাসিনা; খাদ্যনিরাপত্তায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতার আহ্বান '
খাদ্য উৎপাদনে আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন, রপ্তানি ও বৈশ্বিক খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার (সাউথ-সাউথ অ্যান্ড নর্থ কো-অপারেশন) আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘ সদর দপ্তরে গতকাল মঙ্গলবার স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এই আহ্বান জানান। ......সংবাদটিতে ইউএনবির সূত্র উল্লেখ করা হয়েছে। মোট ৪৫০টি শব্দ রয়েছে।
বেশ বড় করে প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। কিছুক্ষণের জন্য এটি লিড হিসেবে টপে ছিল।
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর ১৮১ শব্দ এবং প্রথম আলো ৪৫০ শব্দ ব্যবহার করেছে। তবে দুটি অনলাইন সংবাদপত্রেই প্রধানমন্ত্রীর বড় ছবি দেয়া হয়েছে। শীর্ষ নিউজ এবং বিডিনিউজ২৪ এদিন প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কোন সংবাদ ছিল না।
২৩ সেপ্টেম্বর , ২০১০ :
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর .কম .বিডি :
শিরোনাম: 'যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পণ্যের শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকারের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর '
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পণ্যের শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকারের বিধান রেখে নতুন আইন প্রণয়নের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্থানীয় সময় বুধবার মার্কিন চেম্বার অব কমার্সের নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ আহ্বান জানান তিনি। .....বাংলাদেশ সময় দুপুর ১ টা ২২ মিনিটে এই সংবাদটি আপলোড করা হয়। আমি এটি দেখতে পাই দুপুর ৩টায়। মোট ২০০টি শব্দ এখানে ব্যবহার করা হয়েছে।
বাকি ৩টি অনলাইন সংবাদপত্রে এদিন প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কোন সংবাদ ছিল না।
২৪ সেপ্টেম্বর , ২০১০ :
এদিন এই ৪টি অনলাইন সংবাদপত্রে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কোন সংবাদ দেখা যায়নি।
২৫ সেপ্টেম্বর , ২০১০ :
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর .কম .বিডি :
শিরোনাম: 'জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী বাংলায় ভাষণ রাতে'
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৫তম অধিবেশনে বাংলাদেশ সময় শনিবার দিবাগত রাত ৩ টায় বাংলায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় হবে শনিবার বিকাল ৫টা। এটি নিউউয়র্ক থেকে আরিফ আরমানের প্রতিবেদন ছিল।
........বাংলাদেশ সময় ৭ টা ১৮ মিনিটে এই সংবাদটি আপলোড করা হয়। লিড ছিল তখন এটি। ছোট করে অধিবেশনের ছবি দেয়া হয়েছে। মোট ১৭৯টি শব্দ রয়েছে এতে।
প্রথম আলো :
শিরোনাম: 'এমডিজি অর্জনে সাফল্যে হাসিনাকে অভিনন্দন ওবামার '
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য (এমডিজি) অর্জনে বাংলাদেশের সাফল্য ও এমডিজি পুরস্কার পাওয়ার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
.........নিউইয়র্ক থেকে ইব্রাহীম চৌধুরী খোকন এর পাঠানো প্রতিবেদন এটি। মোট শব্দ সংখ্যা ৪৪০টি। কোন ছবি ব্যবহার করা হয় নি।
শীর্ষ নিউজ ডট কম :
শিরোনাম: 'আজ প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ: ২ দলেই ব্যাপক শোডাউনের প্রস্তুতি '
সন্ধ্যা ৬টায় আমি এটি দেখতে পাই। তবে তৃতীয় লিড হিসেবে।
নিউইয়র্ক থেকে শাহীন চৌধুরীর পাঠানো প্রতিবেদন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। নিউইয়র্ক সময় বিকেল ৫টায় তার ভাষণ দেয়ার কথা রয়েছে। ........সংবাদটিতে মোট ৩০০শব্দ রয়েছে। ইনসার্টে প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যবহার করা হয়েছে।
শীর্ষনিউজ এবং বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের কথা উল্লেখ করেছে । শীর্ষনিউজ ৩০০ এবং বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর ১৭৯ টি শব্দ ব্যবহার করেছে। তবে প্রথম আলো, মার্কিন প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন জানানো নিয়ে শিরোনাম করেছে।
অপরদিকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম এদিন কোন সংবাদই দেয় নি।
২৬ সেপ্টেম্বর , ২০১০ :
প্রথম আলো , ২০১০ :
শিরোনাম : 'সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী; বিশ্বকে শান্তিপূর্ণ আবাস হিসেবে গড়ে তুলুন'
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বকে আগামী প্রজন্মের জন্য শান্তিপূর্ণ আবাস হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধে অনুদান প্রদান এবং বাংলাকে জাতিসংঘের অন্যতম দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে গ্রহণ করারও আহ্বান জানান। .............. সূত্র হিসেবে দিয়েছে, বাসস ও ইউএনবি। মোট ৭৬০শব্দের এই প্রতিবেদনটি করা হয়েছে।
প্রথম আলো এদিন প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আরো একটি প্রতিবেদন দেয়, তা হল:
শিরোনাম: 'জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক '
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি জোসেফ ডেইসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল শনিবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
......বাসস থেকে নেয়া সংবাদ। মোট ১০০টি শব্দ রয়েছে এখানে।
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর .কম .বিডি :
শিরোনাম: 'বাংলাকে জাতিসংঘের ভাষা ও নতুন বিশ্ব গড়ার আহবান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার'
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের অন্যতম দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে বাংলাকে অর্ন্তভুক্ত করার আহবান জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি বিশ্বশান্তি ও সমৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে নতুন বিশ্ব গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। …......নূরনবী সিদ্দিক সুইনের পাঠানো প্রতিবেদন এটি।
বাংলাদেশ সময় রাত ৪ টা ১০ মিনিটে এটি আপলোড করা হয়। মোট ১৪৮০ শব্দের প্রতিবেদন এটি। ছবি ব্যবহার করা হয়েছে, তবে বেশ ছোট।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম :
শিরোনাম: 'মন্দা মোকাবেলায় বিশেষ তহবিল গঠনের প্রস্তাব হাসিনার'
বিশ্ব অথনৈতিক মন্দার প্রভাব মোকাবেলায় জাতিসংঘের আওতায় একটি বিশেষ তহবিল গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। …........সকাল ৯ টা ১৮ মিনিটে এটি আপলোড করা হয়।
মোট ৫০০ শব্দের এই প্রতিবদেনটি।
শীর্ষ নিউজ ডট কম :
শিরোনাম: 'বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করার দাবি প্রধানমন্ত্রীর'
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বের ৩০০ মিলিয়ন মানুষ আজ বাংলায় কথা বলে। এ ভাষার রয়েছে সমৃদ্ধ ইতিহাস ঐতিহ্য। এ জন্য বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ গত বছর বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে গ্রহণ করার অনুরোধ করে একটি সর্বসম্মত প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। তাই আমি বাংলাকে জাতিসংঘের অন্যতম দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে গ্রহণ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
জাতিসংঘর ৬৫তম অধিবেশনে ভাষনদানকালে প্রধানমন্ত্রী এ দাবি জানান। ............জাতিসংঘ ভবন থেকে শাহীন চৌধুরীর পাঠানো প্রতিবেদন এটি। ৫১৫ টি শব্দ রয়েছে এ সংবাদটিতে। ইনসার্ট করে প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেয়া হয়েছে। রাত ৩ টা ২৮ মিনিটে এটি আপলোড করা হয়।
বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করার দাবি প্রধানমন্ত্রীর, এই বিষয়টি নিয়ে শীর্ষ নিউজ ডট কম এবং বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর শিরোনাম করেছে। তবে বাকি দুটো আলাদা বিষয়কে সামনে এনে শিরোনাম করেছে। চারটি অনলাইন সংবাদপত্রই তাদের শিরোনামকে এদিন ফ্ল্যাশ হিসেবে ব্যবহার করেছে। তবে প্রথম আলো অনলাইন 'জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক ' অর্থাৎ তাদের দ্বিতীয় এই সংবাদটি ফ্ল্যাশে নিয়ে আসেনি। এদিন প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ নিয়ে প্রথম আলো ৭৬০ শব্দ , বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর ১৪৮০শব্দের , বিডিনিউজ২৪ ৫০০ শব্দের এবং শীর্ষনিউজ ৫১৫ টি শব্দ ব্যবহার করেছে।
এবার দেখা যাক, প্রথম আলো ৪টি জাতীয় দৈনিক প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে কিভাবে সংবাদ পরিবশেন করলো..........
১৯ সেপ্টেম্বর , ২০১০ :
প্রথম আলো :
শিরোনাম : 'সাধারণ পরিষদের অধিবেশন; প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্ক পৌঁছাবেন আজ। '
প্রথম পৃষ্ঠায় ১ কলামের সংবাদ। জাম্প :- পৃষ্ঠা-২, কলাম-৮। একবারে বাম পাশে ফোল্ডের কছুটা ওপরে।
ইত্তেফাক :
শিরোনাম: নিউইয়র্কের পথে ব্রাসেলসে প্রধানমন্ত্রী
শেষ পাতায় ১ কলামের সংবাদ, ছবি আছে।
জাম্প:- পৃষ্ঠা-১১, কলাম-৪। we‡kl প্রতিনিধির পাঠানো প্রতিবেদনটির শুরুটা ছিল- cÖavbgš¿x †kL nvwmbv ¯’vbxq mgq MZKvj kwbevi `ycy‡i eªv‡mjm AvšÍR©vwZK wegvbe›`‡i †cuŠ‡Q‡Qb| †ejwRqv‡g evsjv‡`‡ki ivóª`~Z BmgZ Rvnvb I †m †`‡ki ciivóª gš¿Yvj‡qi Kg©KZ©viv wegvbe›`‡i Zv‡K ¯^vMZ Rvbvb|.......
যুগান্তর :
শিরোনাম: নিউইয়র্কে ব্যস্ত সময় কাটাবেন প্রধানমন্ত্রী
শেষ পাতায় ১ কলামের সংবাদ। জাম্প:- পৃষ্ঠা-১৯, কলাম-৩। নিউইয়র্ক প্রতিনিধি হেলাল উদ্দিনের প্রতিবেদন।
কালের কণ্ঠ :
শিরোনাম: নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ছেন প্রধানমন্ত্রী
১ম পাতায় ১ কলামের সংবাদ।
ফোল্ডের নিচে। জাম্প :- পৃষ্ঠা-১৮, কলাম-৪। নিউইয়র্ক থেকে আবদুল্লাহ আল ফারুকের পাঠানো প্রতিবেদন। সংবাদটির শব্দ সংখ্যা ৬৮০। ।
৪টি পত্রিকাতেই প্রায় একই বিষয় নিয়ে সংবাদ করেছে। যুগান্তর শুধু জানাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ব্যস্ত সময় কাটানোর বিষয়টি।
২০ সেপ্টেম্বর , ২০১০ :
প্রথম আলো :
শিরোনাম: প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কে পৌছেঁছেন
শেষ পাতায় ১ কলামের সংবাদ। জাম্প:- পৃষ্ঠা-২১, কলাম-৪।
ইত্তেফাক :
শিরোনাম: দেশে আরো বিনিয়োগ করতে প্রবাসীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহবান; ব্রাসেলসে বাংলাদেশীদের সমাবেশ
শেষ পাতায় ১ কলামের সংবাদ।
সংবাদ সূত্র হিসেবে দেয়া হয়েছে ব্রাসেলস থেকে বাসস। জাম্প:- পৃষ্ঠা-১১, কলাম-১।
যুগান্তর :
শিরোনাম: নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীর এমডিজি পদক গ্রহণ
শেষ পাতায় ১ কলামের সংবাদ। জাম্প:- পৃষ্ঠা-১৯, কলাম-৪। ১০৩০ শব্দের সংবাদ এটি।
কালের কণ্ঠ :
শিরোনাম: যুক্তরাষ্ট্রে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মুখোমুখি
১ম পাতায় ১ কলামের সংবাদ। জাম্প:- পৃষ্ঠা-১৮, কলাম-৬। নিউইয়র্ক থেকে আবদুল্লাহ আল ফারুকের প্রতিবেদন।
এর নিচেই আরেকটি প্রতিবেদন রয়েছে। যেটি বাসস সূত্রে জানানো হয়েছে।
শিরোনাম: প্রবাসীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী দেশে আরো বিনিয়োগ করুন
১ কলামের সংবাদ। জাম্প:- পৃষ্ঠা-১৮, কলাম-৪।
৪টি পত্রিকা নিজেদের মত করে বিভিন্ন আঙ্গিকে সংবাদ উপস্থাপন করেছে। প্রত্যেকের শিরোনামই আলাদা। তকে ইত্তেফাক এবং কালের কণ্ঠের দ্বিতীয় সংবাদটির সঙ্গে মিল রয়েছে।
প্রবাসীদের দেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
২১ সেপ্টেম্বর , ২০১০ :
প্রথম আলো :
শিরোনাম: জাতিসংঘ পদক গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
১ম পাতায় ১ কলাম। জাম্প:- পৃষ্ঠা-১৯, কলাম-৩। তবে ৩ কলামে পুরস্কার গ্রহণের ছবি। প্রায় ফোল্ডের ওপর পর্যন্ত।
'সহস্রাব্দের লক্ষ্য মাত্রা অর্জনের সাফল্যে বাংলাদেশ পুরস্কৃত ' এটি ছিল প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণের শিরোনম। যেহেতু প্রথম আলো অনলাইন এবং পত্রিকার জন্য ইব্রাহিম চৌধুরী খোকন নিউইয়র্ক থেকে সংবাদ দিয়ে থাকেন তাই সংবাদের ভেতরকার লেখার আধেয় প্রায়ই এক থাকে। যেটুকু সম্পাদনা করা হয় তা সহ-সম্পাদকই করে থাকেন।
ইত্তেফাক :
শিরোনাম : জাতিসংঘ পদক গ্রহণ করলেন শেখ হাসিনা; সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন
১ম পাতায় ১ কলামে সংবাদ। ওপরে পুরস্কার নেয়ার ছবি বেশ বড় করে আছে।
জাম্প :- পৃষ্ঠা-২, কলাম-২
যুগান্তর :
শিরোনাম: জাতিসংঘ পুরস্কার গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
শেষ পাতায় ১ কলামে সংবাদ। জাম্প:- পৃষ্ঠা-১৯, কলাম-১। পুরস্কার গ্রহণের ছবি রয়েছে।
কালের কণ্ঠ :
শিরোনাম: শিশু মৃত্যু হ্রাসে সাফল্যের জন্য জাতিসংঘ পদক নিলেন প্রধানমন্ত্রী
১ম পাতায় ১ কলামে সংবাদ। জাম্প:- পৃষ্ঠা-১৮, কলাম-৬।
প্রথমেই দেয়া আছে এবং অনেক বড় ছবি। আবদুল্লাহ আল ফারুকের পাঠানো প্রতিবেদনে বলা হয়- সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জন, বিশেষ করে শিশু মৃত্যুহার কমানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিশেষ কৃতিত্বের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের সময় গত রবিবার (বাংলাদেশে গতকাল) জাতিসংঘ পদক গ্রহণ করেছেন। নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের ওয়ালডর্ফ-অ্যাস্টোরিয়া হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। ....... মোট ৪১০ শব্দের সংবাদ এটি।
এদিন ৪টি পত্রিকাই প্রধানমন্ত্রীর পদক গ্রহণের সংবাদটি ফলাও করে ছেপেছে।
শব্দের সংখ্যাগত দিক কিংবা সাজানোর ধরণ আলাদা হলেও ঘটনার বিষয়বস্তু এক।
২২ সেপ্টেম্বর , ২০১০ :
প্রথম আলো :
শিরোনাম: খাদ্য নিরাপত্তায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতার আহবান; এলডিসি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে শেখ হাসিনা
১ম পাতায় ২কলামের সংবাদ। ছবি আছে ১ কলামের। জাম্প :- পৃষ্ঠা-১৯, কলাম-২।
ইত্তেফাক :
শিরোনাম: দরিদ্রদের উন্নয়নে ধনী বিশ্বকে এগিয়ে আসতে হবে; জাতিসংঘের এমডিজি সম্মেলনে শেখ হাসিনা
শেষ পাতায় ২ ও ৩ নম্বর কলাম জুড়ে ২ কলামের সংবাদ।
জাম্প :- পৃষ্ঠা-১৯, কলাম-২।
যুগান্তর :
শিরোনাম: এমডিজি'র সফল বাস্তবায়নে ২২১০ কোটি ডলারের আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
শেষ পাতায় বড় ছবিসহ ৩ কলামের সংবাদ। জাম্প :- পৃষ্ঠা-১৯, কলাম-৪।
কালের কণ্ঠ :
শিরোনাম: জাতিসংঘের এমডিজি সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী; সাহায্যের প্রতিশ্রুতি রক্ষার আহবান ধনী দেশগুলোকে
১ম পাতায় ১ম লিডের নিচে ২ কলামের সংবাদ। ছবি আছে।
জাম্প :- পৃষ্ঠা-১৮, কলাম-৬।
এদিনের সংবাদেও এমডিজি সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর আহবানের খবরটিই প্রকাশ করেছে পত্রিকাগুলো। যুগান্তর এবং ইত্তেফাক শেষের পাতায় সংবাদটি ছেপেছে। বাকি দুটি পত্রিকা ১ম পাতাতেই সংবাদটি ছেপেছে।
২৩ সেপ্টেম্বর , ২০১০ :
প্রথম আলো :
শিরোনাম: জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় কৌশল প্রণয়নের আহবান প্রধানমন্ত্রীর; শুল্কমুক্ত পণ্যের প্রবেশ দাবি
শেষ পাতায় ১ কলামের সংবাদ।
ছবি নাই। জাম্প :- পৃষ্ঠা-২১, কলাম-৫।
ইত্তেফাক :
শিরোনাম: যুক্তরাষ্ট্রে পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার চাই- প্রধানমন্ত্রী
শেষ পাতায় ২ কলাম জুড়ে সংবাদ। ছবি আছে। জাম্প :-পৃষ্ঠা-১৯, কলাম-৬।
যুগান্তর :
শিরোনাম: বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি শেখ হাসিনা; পরস্পরকে দোষারোপ না করে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলা করুণ
শেষ পাতায় ৩ কলামের সংবাদ। সাথে বড় ছবি রয়েছে। জাম্প :- পৃষ্ঠা-১৯, কলাম- ৬।
কালের কণ্ঠ :
শিরোনাম: বিশ্বনেতাদের প্রতি হাসিনা; জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবেলায় এক যোগে কাজ করুন
১ম পাতায় ১ কলামের সংবাদ। জাম্প :- পৃষ্ঠা-১৮, কলাম-১।
সাথে বড় ছবি দেয়া হয়েছে একদম প্রথমেই।
এখানে আবার প্রথম আলো এবং ইত্তেফাক একই বিষয় নিয়ে শিরোনাম করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে শুল্কমুক্ত পণ্যের প্রবেশাধিকারের কথা বলেছে এরা। অন্যদিকে যুগান্তর এবং কালের কণ্ঠ জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবেলায় এক যোগে কাজ করার প্রধানমন্ত্রীর আহবান নিয়ে শিরোনাম করেছে।
২৪ সেপ্টেম্বর , ২০১০ :
প্রথম আলো :
শিরোনাম: উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য নতুন এমডিজি চাই: প্রধানমন্ত্রী
শেষ পাতায় ১ কলামের খবর একদম উপর থেকে ৮নম্বর কলামে।
জাম্প :- পৃষ্ঠা-২১, তলাম-৪। ছবি দেয়া আছে।
ইত্তেফাক :
প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কোন সংবাদ এদিন এই পত্রিকাটি দেয়নি।
যুগান্তর :
প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে এরাও কোন সংবাদ এদিন ছাপেনি।
কালের কণ্ঠ :
শিরোনাম: ইউনিসেফের সেমিনারে সহায়তা কামনা; দেশের প্রত্যেক নাগরিককে শিক্ষিত করে তুলতে চাই: প্রধানমন্ত্রী
শেষ পাতায় বেশ বড় ছবি দিয়ে ২ কলামের সংবাদ ছেপেছে এই পত্রিকাটি।
জাম্প :- পৃষ্ঠা-১৮, কলাম-১
ইত্তেফাক এবং যুগান্তর এদিন প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে কোন সংবাদ করেনি। তবে প্রথম আলো এবং কালের কণ্ঠ আলাদা শিরোনামে ভিন্ন দুটি বিষয় নিয়ে সংবাদ করেছে।
২৫ সেপ্টেম্বর , ২০১০ :
প্রথম আলো :
শিরোনাম: এমডিজি অর্জনে সাফল্যে হাসিনাকে অভিনন্দন ওবামার
প্রথম পাতায় ৬নম্বর কলামে ১ কলাম জুড়ে এ সংবাদটি আছে। জাম্প :- পৃষ্ঠা-২, কলাম-৫, তবে কোন ছবি নাই। ইব্রাহিম চৌধুরী খোকন নিউইয়র্ক থেকে যে সংবাদটি পাঠিয়েছেন তার ইন্ট্রো ছিল এমন- সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য (এমডিজি) অর্জনে বাংলাদেশের সাফল্য ও এমডিজি পুরস্কার পাওয়ার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
......... মোট ৪৪০শব্দের প্রতিবেদন এটি।
ইত্তেফাক :
শিরোনাম: এমডিজি সাফল্যে হাসিনাকে ওবামার অভিনন্দন
ফোল্ডের নিচে প্রথম পাতায় ২ কলামের সংবাদ এটি। নিউইয়র্ক থেকে খোন্দকার মুহম্মদ খালেদ ও শহীদুল ইসলামের পাঠানো প্রতিবেদন। জাম্প:- পৃষ্ঠা-২, কলাম-৬।
যুগান্তর :
শিরোনাম: 'বিশ্ব নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক: সহযোগিতা বৃদ্ধির আশ্বাস; এমডিজি বাস্তবায়ন সাফল্যে ওবামার অভিনন্দন '
শেষ পাতায় ২ কলাম জুড়ে সংবাদ।
বড় ছবিও রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। জাম্প :- পৃষ্ঠা-১৯, কলাম-৬।
কালের কণ্ঠ :
শিরোনাম: যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রসঙ্গ জাতিসংঘে
সিঁদুর রঙ্গে শিরোনাম করা হয়েছে যেটি লিড নিউজ এবং ৪ কলামের। জাম্প:- পৃষ্ঠা-১৫, কলাম-২। ইনসার্টে ছবি দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর জাতিসংঘের ৬৫ তম সাধারণ পরিষদের ভাষণের ওপর এই প্রতিবেদনটি লেখা।
এখানে দেখা যাচ্ছে কালের কণ্ঠ বাদে বাকি তিনটি পত্রিকা যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সেটি তুলে ধরেছে। তবে কালের কণ্ঠ এদিন প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে এবং যুদ্ধাপরাধের বিচারের প্রসঙ্গটি নিয়ে এসেছে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ থেকে। তাছাড়া লাল কালির শিরোনাম দিয়ে একে লিড নিউজ করেছে।
২৬ সেপ্টেম্বর , ২০১০ :
প্রথম আলো :
শিরোনাম: সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী; বিশ্বকে শান্তিপূর্ণ আবাস হিসেবে গড়ে তুলুন
শেষ পাতায় ২ কলাম জুড়ে।
প্রতিবেদনটির অবস্থান ৭ ও ৮ নম্বর কলামে। ছবি আছে। জাম্প :- পৃষ্ঠা-২১, কলাম-২।
ইত্তেফাক :
শিরোনাম: জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ
শেষ পাতায় ১ কলামের খরব। সাথে ছবি আছে।
জাম্প :- পৃষ্ঠা-১৯, কলাম-৩।
তবে ইত্তেফাক পরদিন ২৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ নিয়ে বেশ জায়গা নিয়ে খবর ছাপে।
এদিন শিরোনাম ছিল এমন: সুবিচারই অতীত ভুলের অবসান ঘটাতে পারে; জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী
১ম পাতায় প্রধানমন্ত্রীর বেশ বড় ছবি দিয়ে ৩ কলামে নিউজ ছাপে। জাম্প :- পৃষ্ঠা-১২, কলাম-১। অর্থাৎল প্রধানমন্ত্রীর ভাষণটি পরদিন গুরুত্ব দিয়ে ছেপেছে।
যুগান্তর :
শিরোনাম: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশকে সহায়তা দিন
১ম পাতায় ৩ কলামের খবর। ছবি নাই। জাম্প :- পৃষ্ঠা-১৪, কলাম-৩।
৩টি পত্রিকাই প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের বিষয়টি নিয়ে সংবাদ করেছে। কালের কণ্ঠে আগের দিন ২৫সেপ্টেম্বরই প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ নিয়ে সংবাদ ছেপেছে।
ট্রিটমেন্ট, সংবাদ মূল্য নির্ধারণ, বিষয়ের প্রাধান্য, মেকআপ, অনলাইনের বেলায় ফ্ল্যাশ দেয়া এসব পর্যব্ক্ষেণ করে দেখা যায় একেক অনলাইন সংবাদপত্র এবং জাতীয় দৈনিকের চরিত্র একেক রকম। প্রায় প্রত্যেকেই নিজস্ব ঢঙে সংবাদ পরিবশেন করেছে। তবে জাতীয় পত্রিকাগুলোতে অনলাইনের চেয়ে সংবাদের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ বেশি এসেছে। অনলাইনগুলো সংবাদ পাওয়া মাত্রই তা দেবার চেষ্টা করেছে। জাতীয় দৈনিকগুলোর মধ্যে ছিল বৈচিত্র্য।
যেমন: যুগান্তর এবং ইত্তেফাক, প্রধানমন্ত্রীর সংবাদগুলো বেশিরভাগই শেষের পাতায় ছেপেছে। একটি-দুটি বাদে। অপরদিকে প্রথম আলো এবং কালের কণ্ঠ তাদের প্রথম পাতায়ই বেশির ভাগ সংবাদ ছেপেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।