আমি উন্মাদ, আমি উন্মাদ !! আমি চিনেছি আমারে, আজিকে আমার খুলিয়া গিয়াছে সব বাঁধ
যুগ যুগ ধরে মাদক আমাদের সমাজের আনাচেকানাচে পায়চারী করছে। কেউ এ নিয়ে আতঙ্কিত আর কেউ একে পেয়ে আমোদিত।
যখন কেউ রাস্তায় বসে কেউ গাঁজা খায় তখন সবাই বলে গাঁজাখোর। আর যখন কুষ্টিয়ায় লালনের আখরায় বসে খায় তখন সে হয়ে যায় সন্যাসী।
কি মজার দুনিয়া ! ব্যাপক বিনোদন।
কত মাদক এল আর গেল। কিন্তু মাদকসেবকদের ( অথবা মাদকপ্রেমিক ) মনে স্থান পেয়েছে মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি। সুতরাং বিলম্ব না করে জেনে নিন বিশ্বের সর্বাধিক জনপ্রিয় ১০ মাদকের নাম যাদের কাছে পেলেই মনের মধ্যে গান বেজে উঠে-
তুমি নাই, আমি তাই, উড়ে যাই আকাশে!
.................
১। গাঁজা
গাঁজার নাম যে বলবে শুনি নাই সে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় চাঁপাবাজ। এটা এশিয়ার হাজার বছরের ঐতিহ্য।
এর প্রভাবে সাময়িক বিভ্রম তৈরি হয়।
২। হেরোইন
হেরোইন কিন্তু আসলে শক্তিশালী ব্যাথা নাশক। কিন্তু এর আছে এক যাদুকরী ক্ষমতা। এর প্রভাবে মন প্রফুল্ল থাকে।
আর এর সেবন ছেড়ে দিলে তা জীবন কে কঠিন করে তোলে।
৩। কোকেইন
কোকাকোলা খেয়েছেন নিশ্চই ? ১৯০০ সালে কোন বোতল পেলে খেয়ে দেখবেন। কারণ ওতে ছিল উত্তেজক, চেতনানাশক আর ক্ষুধাবর্ধক কোকেইন। কপাল দোষে এটি আজ নিষিদ্ধ মাদক।
৪। এম.ডি.এম.এ
ছিল মানসিক চিকিৎসার অব্যর্থ ওষুধ। এটি ভয় আর দুঃখ দূর করে মন কে আমোদিত করত এই ছিল এর অপরাধ।
৫। এম্ফিট্যামিন
এই দ্রব্য মনকে স্থির করতে সক্ষম।
এছাড়া এটি শারীরিক অবসাদ দূর করে। স্বয়ং হিটলার প্রতিদিন এম্ফিট্যামিন গ্রহণ করতেন।
৬। বেঞ্জোডায়াজেপিন
এটা এখনও ওষুধ হিসেবে বাজারে পাওয়া যায়। পূর্বে কোন রোগীকে অচেতন করতে ব্যবহার করা হত।
৭। এল.এস.ডি.
কাশি থেকে রক্ষা করতে গিয়ে রসায়নবিদ আলবার্ট হফম্যান এক জাদুকরী ওষুধ আবিষ্কার করে ফেললেন। এটি সেবন করলে প্রথমে চোখে নানা রংবেরং এর আলোর খেলা দেখতে পাওয়া যায়। অদ্ভূতুরে সব শব্দ শোনা যায়। শরীরের স্নায়ু এমন সব অনুভূতি দেয় যা মানুষ স্বাভাবিক ভাবে কখনই পায়নি।
মোট কথা জীবনের রং ই বদলে যায়।
৮। আফিম
আফিম তো আগে মসলা হিসেবে ব্যবহার করা হত। শরৎবাবুর গল্পের বয়স্ক মহিলারা আফিম আর দুধ এক সাথে খেত। সমস্যা একটাই, এটাও নেশা লাগায় দিতে পারে।
৯। হ্যালিউসিনোযেনিক মাসরুম
নাম শুনেই বুঝতে পারছেন এই ব্যাঙ্গের ছাতা খেলে কি হবে। এর প্রতিক্রিয়া এল.এস.ডি. এর মত। তবে ক্ষমতা কম। এর আরেক নাম 'ম্যাজিক মাসরুম'।
১০। সলভেন্ট
বাংলাদেশের পথশিশুদের প্রিয় জিনিশ। এক ব্যাগ পলিথিন এ সামান্য সলভেন্ট নিয়ে পলিথিনটার বাতাস শ্বাস এর সাথে নিলেই কেল্লা ফঁতে। ও হ্যাঁ, এটার আসল পরিচয়-
কাঠ বা চামড়া জোড়া লাগানোর আঠা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।