আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কলেজ গড়তে গয়না বিক্রি করে ১০ লাখ দান



কৈশোরে রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে পড়াশোনা করতে যেতেন পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার শিরিন বেগম। তিনি বললেন, 'এখন আর রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে কাউকে রোজ পড়াশোনা করতে দূরে দূরে যেতে হবে না। আমাদের এলাকার জমিতেই উঠবে কলেজ। ' তিনি নিজেই যে কলেজ তৈরি করতে গয়না বিক্রি করে দিয়েছেন ১০ লাখ টাকা! তাঁর স্বামী দিয়েছেন আরো এক লাখ টাকা। তাঁর এক দেবর দিয়েছেন পাঁচ কাঠা জমি।

শুধু তাঁদের পরিবারই নয়, নিজেদের এলাকায় কলেজ গড়তে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা পঞ্চায়েত সমিতির ১০৪টি গ্রামের মানুষ এক বছরেই প্রায় ৬০ লাখ টাকা চাঁদা তুলে ফেলেছেন। সেই টাকা দিয়ে কেনা হয়েছে ভাবতায় জাতীয় সড়কের পাশে ১৫ বিঘা জমি। আরো চার বিঘা জমি দান হিসেবে পাওয়া গেছে। পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী আবদুস সাত্তারের কথায়, 'ওই জমিতে কলেজ গড়ে দেব। ১০ কোটি টাকার বাজেটও করেছি।

তবে জমি পাওয়া না গেলে কলেজ গড়া যেত না। এলাকার গ্রামবাসীরা যেভাবে জমি সংগ্রহ করে দিয়েছেন, তা সবার কাছে নজির হয়ে থাকবে। ' ২৩ জানুয়ারি সেই কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে। রাজ্যের উচ্চশিক্ষামন্ত্রী সুদর্শন রায় চৌধুরী বলেন, 'এটি সরকারি কলেজই হবে। ' বর্ধিষ্ণু পরিবারের কন্যা ও বধূ শিরিন নিজেও মাদ্রাসা পরীক্ষায় ভালো ফল করেছিলেন।

গ্রামের আলপথ ধরে জাতীয় সড়কে উঠে বাস ধরে তাঁকে বহরমপুরে আসতে হতো। তিনি বলেন, 'রোদ-বৃষ্টিতে কষ্ট পেতাম। তাই এখন যখন আমার আর্থিক সঙ্গতি কিছুটা রয়েছে, বিশেষ করে গ্রামের মেয়েদের কথা চিন্তা করেই গয়না বিক্রি করে ওই টাকা দিয়েছি। ' ভাবতার বাসিন্দা শেখ মহম্মদ ইসমাইল বলেন, 'আমাদের ঘরের ছেলেমেয়েরা উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত। তাই সকলে মিলেই সিদ্ধান্ত নিয়ে এই টাকা চাঁদা তোলা হয়েছে।

' যে কারণে কালাচাঁদ মণ্ডল অনায়াসে ছেড়ে দিয়েছেন তাঁর দুই বিঘা দুই ফসলি জমি। ভাবতা আজিজিয়া হাই মাদ্রাসার শিক্ষকরা নিজেরা চাঁদা তুলে দিয়েছেন লক্ষাধিক টাকা । আমরাও চাই এই রকম উদ্যোগ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.