যদি পথের রাজা পাজেরো আজ দেখে ঈর্ষা হয়,তবে যেনে রেখো দু-চাকার ঐ হিরো কম যে নয়
২০০৩ এর শেষভাগ বা ২০০৪ এর প্রথম ভাগের কথা। মাইলস্টোন কলেজের ২য় ব্যাচ আমরা, সাইন্স গ্রুপের E সেকশন এর ছাত্র। আমাদের ফর্ম টিচার ছিলেন ফিজিক্সের বিখ্যাত সাফায়েত স্যার (এখন আমরা বুঝি কত বড় বাটপার ছিল বেটা...প্রতি ব্যাচের মেয়েদের সাথে প্রেম করা যার কাজ ছিল, এখন অবশ্য বিয়ে করছে এবং সে মাইলস্টোনের ই ছাত্রী)। যাই হোক আসল ঘটনায় আসি, কলেজ লাইফএ গ্রুপিং করা হতো, আমাদের ও গ্রুপ ছিলো, এবং উত্তরার বাঘা বাঘা সব বড় ভাই এর ছোটো ভাইরাই ছিলো আমাদের গ্রুপ এর সাথে, ফলে E সেকশন ছিলো সব চাইতে খারাপ এবং নামকরা সেকশন, আমাদের জালানোর চোটে কম্পিউটার কোর্স এর কোনো স্যার ই ক্লাস নিতে চাইতোনা। শেষে এক স্যার দেয়া হলো যার কথা বলার সময় অনেক থুথু বের (Main hoo na এর ফিজিক্স এর স্যার এর মতো) হতো, তাজিন নামের আমাদের এক বান্ধবী ছিলো তার থুথুর প্রধান শিকার কারন তার সিট ছিলো প্রথম বেঞ্চ।
প্রথম বেঞ্চএ বসার প্রধান কারন ছিলো সাফায়েত। সাফায়েত স্যারের প্রথম প্রেমিকাই ছিলো আমাদের তাজিন। শুধু সেই কারনেই তাজিন ঐ দুই বছর থুথু সহ্য করে এসেছে। যেই কাহিনী বলতে এই লেখা তা হলো এক বাংলা ক্লাসের কথা নিয়ে। যথারীতি আমি আর ফয়সাল(নীরব) শেষ বেঞ্চে বসছি।
আমাদের সামনে আবার ওই দিন বসছে আমার বন্ধু ইকবাল(এখন একি ভার্সিটিতে পড়ি যদিও আলাদা ডিপাঃ)। তো ম্যাডাম (লাকী ম্যাডাম)ক্লাস নিচ্ছেন ওই দিকে আমি আর নীরব গল্প জুড়ে দিছি। তো ম্যাডাম পড়ানো থামিয়ে আমাদের জিগেস করলেন কি পড়াচ্ছেন? আমরা তো বলতে পারিনা... তিনি আমাদের দাড়াতে বললেন। এবং বাকী ক্লাস দাঁড়িয়ে থাকার শাস্তি দিলেন। ম্যাডাম চলে যাওয়ার আগ মূহূর্তে আমি বলে উঠলাম ম্যাডাম কেউ ই বলতে পারবেনা কি পরাচ্ছেন, সবাই ইংরেজী হোম ওয়ার্ক করছে।
তো ম্যাডাম ইকবাল কে জিগেস করলেন, ইকবাল দাড়ালো, আর সাথে সাথে তার প্যান্টের পেছনের সামান্য অংশ পেরেকের কোনার সাথে লেগে হাল্কা কাপড় ফেসে গেলো, আর ইন করা সার্টের সাদা অংশ দেখা যেতে লাগলো, আর ঠিক ওই মূহূর্তেই নীরব ওর পশ্চাতদেশে (ওই ছেড়া যায়গায়) হাত দিয়ে বলল “এহ, ছিড়া গেসে” আর এই কথা শুনে আমার কি হল জানিনা এমন হাসি আসলো যে হাসি আর থামেনা...আমার হাসি দেখে নীরব ও হাসা শুরু করল। ক্লাসে তখন এমন অবস্থা হাসি দেখে সবার মাঝে তা লাফিং গ্যাসের মত কাজ শুরু করল, ইকবাল আর ম্যাডাম ছাড়া সবাই হাসে...পুরা ক্লাসে এক আজব হাসি...আমার ই যে কেনো হাসি পাইলো...আর আমার হাসি শুনেই যে সবাই কেনো হাসি শুরু করলো সে এক আজব ব্যাপার...ম্যাডাম কোনোভাবেই বন্ধ করাতে পারেনা হাসি...শেষ পর্যন্ত সাফায়েত স্যার আসলেন, উনি ম্যাডাম কে অন্য রুমে পাঠালেন, দরজা বন্ধ করে আমাদের হাসার সময় দিলেন...আস্তে আস্তে আমাদের হাসি থামলো...উনি হাসার কারন জিগেস করলেন...কোনোই কারন দিতে পারলাম না...আসলে বললাম না ...ক্লাসে অনেক মেয়ে ছিলো...ব্যাপার টা ইকবালের জন্য লজ্জাকর হয়ে যেত।
ঘটনা টা আজকে হঠাত ছাদে মনে পড়ল, লোডশেডিং চলতেছিলো, ছাদে হাটতে হাটতে মনে পড়লো ঘটনাটি অনেকদিন ওই রকম প্রান খুলে হাসা হয়না...........................
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।