টুকলিফাই মারাই আমাদের কাজ, চুরা ছেঁচা দেয়াই আমাদের লক্ষ্য।
ঢাকা, জানুয়ারি ২২ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- পুঁজিবাজারের অস্থিরতার জন্য অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের পদত্যাগ দাবি করেছেন বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ।
একইসঙ্গে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এর কর্মকর্তাদেরও পদত্যাগ চেয়েছেন তিনি।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ বলেন, "পুঁজিবাজার থেকে ৯ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। কারা এর সঙ্গে জড়িত, তা সরকার ভালো করেই জানে।
এ ঘটনায় ভুল সিদ্ধান্ত ছিলো বলে স্বয়ং অর্থমন্ত্রী স্বীকার করেছে। তাই অর্থমন্ত্রীসহ এসইসি ও ডিএসই'র কর্মকর্তাদের পদত্যাগ করা উচিৎ। "
পুঁজিবাজারে চলমান অস্থিরতার দায় স্বীকার করে অর্থমন্ত্রী শুক্রবার বলেন, "পুঁজিবাজার পরিচালনায় নিশ্চয়ই এসইসি কর্তৃপক্ষের ভুল হয়েছিলো। তা না হলে পরিস্থিতি এ রকম হতো না। ভুল আমারও হয়েছে।
"
এর একদন পরই মুহিতের পদত্যাগ দাবি করলেন এইচ এম এরশাদের মন্ত্রিসভায় তার সঙ্গে থাকা মওদুদ। এরশাদের সময় মুহিত যখন অর্থমন্ত্রী ছিলেন, তখন মওদুদ ছিলেন যোগাযোগমন্ত্রী। পরে মওদুদ প্রধানমন্ত্রীও হন।
পুঁজিবাজারের 'অনিয়ম' দুর্নীতি দমন কমিশনের মাধ্যমে তদন্তেরও দাবি করে মওদুদ বলেন, "সরকারের দুই বছরে অনেক দুর্নীতি হয়েছে, এই স্বাধীন প্রতিষ্ঠানটি (দুদক) কোনো কিছুই করেনি। তারা যে স্বাধীন, তা এবার প্রমাণ করুক।
"
"আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে, তখনই পুঁজিবাজারে অস্থিরতা ও লুটপাট হয়। ১৯৯৬ সালে তাদের শাসনামলে ৬০০ কোটি টাকা লোপাট হয়েছিলো", বলেন মওদুদ।
তিনি বলেন, ওই সময়ে শেয়ারবাজারের ধসের বিরুদ্ধে মামলা হলেও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
এবারও পুঁজিবাজারে ৯০০০ কোটি টাকা লোপাট হয়েছে বলে দাবি করলেও এ তথ্যের উৎস জানাননি মওদুদ।
স্বদেশ জাগরণ পরিষদ নামে একটি সংগঠনের উদ্যোগে 'আধিপত্যবাদী আগ্রাসন ও একদলীয়, অগণতান্ত্রিক অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই' শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মওদুদ।
মন্তব্যঃ মাল্টিলেভেল আরা শেয়ার মিলে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছে অথচ দেশের মানুষ দেশের উন্নয়নে টাকা বিনিয়োগ করতে পারছেনা ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।