অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার দুই বছরের মাথায় গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব থেকে নোবেলজয়ী ইউনূসকে অপসারণের পর থেকে ‘চাপ’ সামলাতে হচ্ছে তাকে।
সোমবার গ্রামীণ ব্যাংক কমিশনের প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক সাংবাদিকদের কাছে তুলে দেয়ার সময় নিজের ‘যাতনার’ কথা জানান মুহিত, যে ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠার সময় অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
“ইউনূস সাহেব যে বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, সরকার প্রধান, সংসদ সদস্যদের দিয়ে চিঠি লেখান, এর উত্তর দিতে দিতে আমার ঘাম বের হয়ে যায়। এটা একটা যাতনা। ”
২০১১ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব থেকে ইউনূসকে অপসারণের পর তার সমালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ।
এরপর গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপেও প্রতিক্রিয়া দেখায় পশ্চিমা দেশগুলো।
ইউনূস নিজেও অভিযোগ করেন, সরকার গ্রামীণ ব্যাংককে ভেঙে ‘টুকরা টুকরা’ করতে চাইছে। তা প্রতিরোধে দেশবাসীর সহায়তাও চান তিনি। আর এতে তার প্রতি সমর্থন জানায় বিএনপি।
অন্যদিকে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার গ্রামীণ ব্যাংক ‘দখল’ করতে চায়- ইউনূসের এ দাবি ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’।
উল্টো গ্রামীণ ব্যাংকের বিষয় ধরে ইউনূস সরকারবিরোধী ‘অপপ্রচারে’ লিপ্ত বলেও অভিযোগ করেন মুহিত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।