গত অর্থবছরের শেষ দুই মাস মে ও জুনে রেমিটেন্স প্রবাহ সামান্য কমে এলেও চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরের প্রথম মাসে তা আবার বাড়তে শুরু করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মহা ব্যবস্থাপক কাজী সাইদুর রহমান জানান, ঈদ সামনে রেখে প্রবাসীরা তাদের পরিবারের কাছে বেশি টাকা পাঠাচ্ছেন। এ কারণেই রেমিটেন্স প্রবাহ বেড়েছে।
“সর্বশেষ হিসাবে জুলাই মাসে ১২০ কোটি ডলারের রেমিটেন্স এসেছে। দুটি ব্যাংকের হিসাব পাওয়া যায়নি।
সেগুলো পাওয়া গেলে রেমিটেন্সের পরিমাণ কিছুটা বাড়বে। ”
রেমিটেন্স বাড়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভও বেড়েছে বলে জানান তিনি।
রোববার দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১৫ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার, যা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত ২০১২-১৩ অর্থবছরে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ১৪ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়েছেন, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১২ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি।
২০১১-১২ অর্থবছরে ১২ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স দেশে আসে।
গত জুন মাসে প্রবাসীরা ১০৫ কোটি ৭৬ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। মে মাসে আসে ১০৮ কোটি ৭২ লাখ ডলার।
সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স আসে গত অর্থবছরের অক্টোবর মাসে; ১৪৫ কোটি ৩৭ লাখ ডলার। আর জানুয়ারি মাসে আসে ১৩২ কোটি ৭০ লাখ ডলার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।