আমি মেলবনা আর স্বপ্নডানা ঐ নীল মেঘেদের ছোয়ায়,আমি লিখবনা আর কাব্য কোন, স্মৃতির ছেড়া পাতায়...
শিরোনাম দেখে চমকে যাননিতো? অনেকেই ব্যাপারটা জানেন, আবার অনেকেই হয়তোবা জানেন না। যারা জানেন না তাদেরকে জানানোর জন্য আর যারা জানেন তাদের মনে করিয়ে দেবার জন্যই এই লেখা। ভূমিকা না করে মূল প্রসন্গে চলে আসি।
কয়েকদিন আগে আমি একটা টিউশনীর অফার পাই আমার এক বন্ধুর কাছে থেকে । আমার বাসার কাছেই হওয়ায় আমিও আগ্রহ প্রকাশ করি।
টাকার পরিমানটাও ভালোই ছিলো। পরে জানতে পারি আমার ওই বন্ধুর কাছে একটি টিউশনী মিডিয়া বুয়েটের ছাত্র চেয়েছে। তাই ওই মিডিয়া আমার সাথে যোগাযোগ করে। কথা বলার পর ওরা আমাকে বললো যে আমাকে আমার নাম বলতে হবে পারভেজ আর বলতে হবে যে আমি বুয়েটের electrical engineering – এ পড়ি। উল্লেখ্য যে আমার নাম পারভেজ নয় আর আমি বুয়েটের chemical engineering – এ পড়ছি ।
এর কারন জানতে চাইলে ওরা আমাকে জানায় যে ঢাকা শহরের অনেক মানুষের ধারনা যে যারা বুয়েটের electrical, computer, civil dept – এ পড়ে শুধুমাত্র তারাই ভালো পড়াতে পারে। তাই সবাই ফোন করে এই সব বিভাগের ছাত্র খোজে । আর তারা তখন বুয়েটের ছাত্র না পেয়ে অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের ছাত্রকে মিথ্যা বলা শিখিয়ে ওইসব বাসায় পাঠায়। ওরা আরো বলে যে এটা এখন হরদম হচ্ছে । যার সাথে কথা হচ্ছিলো সে নিজেই শান্তিনগরে viqarunnisa –র এক ছাত্রীকে পড়ায় বুয়েটের ছাত্র সেজে।
একজন tutor কিরকম পড়াতে পারবে এটা অবশ্যই সে কোথায় পড়ে তার উপর নিভর্র করে না । এটা ব্যক্তি ভেদে ভিন্ন হয় । ঐ টিউশনীটা শেষ পর্যন্ত আমি নিইনি । কারন ঐ ফ্যামিলিকে বলা হয়েছিলো তারা chemical engineering এর ছাত্র দিয়ে পড়াতে আগ্রহী কিনা, ঐ ফ্যামিলি বললো তারা শুধুমাত্র electrical engineering এর ছাত্র দিয়েই পড়াবে । বেশি খেতে চাইলেতো এটাই সমস্যা ।
তাদের কপালে শেষ পর্যন্ত কোন এক ডিগ্রী কলেজের fake electrical engineering student (ofcourse from Buet) জুটলো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।